নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ৬ এপ্রিল: একদিকে প্রবীণ নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাঁদের অভিমান, এত বছর ধরে দলের ভালোমন্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার পরও এভাবে দল থেকে নীরবে সরে যেতে হচ্ছে। লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলীমনোহর যোশি, কলরাজ মিশ্র, ভুবনচন্দর খান্ডুরি, শান্তাকুমারকে আর প্রার্থী করা হচ্ছে না এবার লোকসভা নির্বাচনে। আবার পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও যে নতুন নেতৃত্ব খুব স্বস্তিতে আছে এমন নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি নীতিন গাদকারি যেমন একাধিকবার সরব হয়েছেন বর্তমান দলের কাজকর্ম নিয়ে। পরোক্ষে হলেও তিনি এমন কিছু কথা বলেছেন যা অস্বস্তিতে ফেলেছে দলীয় নেতৃত্বকে। সেই গাদকারিই আবার মুখ খুলেছেন। এবং দলকে একরাশ অস্বস্তি উপহার দিয়েছেন।
একটি সর্বভারতীয় মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, আমরা সরকারে এসে গত পাঁচ বছরে কী কী কাজ করেছি সেটা জনগণ দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন। দেশবাসী কিংবা ভোটার যদি মনে করেন আমরা কাজ করিনি কিংবা যথাসাধ্য আশাপূরণ করতে পারিনি, তাহলে অন্য দল বা বিরোধীদের সুযোগ দেবেন তাঁরা। এটাই তো গণতন্ত্র। এবার মানুষের সামনে আমাদের পরীক্ষা দিতে হবে যে তাঁরা আমাদের কাজকে কীভাবে গ্রহণ করেছেন। রাজনীতি শুধু তো ক্ষমতা লাভের জন্য নয়। রাজনীতি সমাজের সঙ্গে থেকে সমাজের জন্য কাজ করা। সেক্ষেত্রে সমাজই যদি মনে করে আমরা কাজ করেছি তাহলে আমাদের তাঁরা ফিরিয়ে আনবেন। গাদকারি বলেছেন, আমি তো মাঝেমধ্যেই মানুষকে বিভিন্ন সমাবেশে বলি আমার মন্ত্রকের অনেক কাজই করেছি। অনেক কাজ করতে পারিনি। কিন্তু অনেক এমন কাজ করেছি যা কেবল সূত্রপাত। অর্থাৎ আরও সময় পেলে গোটা কাজটি দেখাতে সক্ষম হব। কিন্তু বিচারের ভার মানুষের উপর ছেড়ে দেওয়াই উচিত।
বস্তুত গাদকারি বিজেপির মধ্যে উদারপন্থী নেতা হিসেবেই পরিচিত। তিনি বলেছেন, আমাদের বিরোধী পক্ষের মানুষ ও নেতারাও কিন্তু চাইবেন যে আমি আবার নির্বাচিত হই কিংবা কাজ করার সুযোগ পাই। কারণ আমি কোনও রঙ দেখে কাজ করিনি। সকলের জন্যই কাজ করেছি। এটা হওয়া উচিত। প্রসঙ্গত গাদকারি এর আগেও একাধিকবার দলকে সতর্ক করেছেন বিনয়ী ও উদার হওয়ার জন্য। ব্যর্থতার দায়ও নেতৃত্বকে নিতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন আগে। তাই গাদকারির মন্তব্য নিয়ে সর্বদাই যথেষ্ট জল্পনা চলে রাজনৈতিক মহলে। বিশেষ করে তিনি আরএসএসের কাছের মানুষ।