কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
দু’দিন আগে আদবানি ব্লগ পোস্টে যে মন্তব্যগুলি করেছেন, তা নিয়ে শোরগোল চলছে রাজনৈতিক মহলে। আদবানির বক্তব্য ছিল, রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমত পোষণকারীদের বিজেপি কখনও ‘দেশ বিরোধী’ বা ‘শত্রু’ বলে বিবেচনা করেনি। প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেছে মাত্র। বিরোধীরা দাবি করছে, মোদি-অমিত শাহদের কাজকর্মে বিরক্ত হয়েই ওই মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী। শনিবার শরিক দল শিবসেনাও প্রশ্ন তুলে দিল, আদবানির মন্তব্য কার উদ্দেশ্যে? শনিবার দলীয় মুখপত্র ‘সামানা’র সম্পাদকীয়তে শিবসেনা এই প্রশ্ন তুলেছে। উদ্ধব থ্যাকারের দলের বক্তব্য, লালকৃষ্ণ আদবানি শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভাঙলেন। এবার লিখিতভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি ব্লগে লিখলেন, কিন্তু তা করলেন পাঁচ বছর পর। আদবানি লিখেছেন, প্রতিপক্ষকে ‘দেশ বিরোধী’ বলে বিবেচনা করা বিজেপির ঐতিহ্য নয়। আদবানির মতো একজন প্রবীণ বিজেপি নেতা একথা বলায় তা তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসের মুহূর্তে নিজের ‘মত কি বাত’ জোরালোভাবে প্রকাশ করেছেন তিনি। কিন্তু বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের এই মন্তব্যের উদ্দেশ্য কী?
শিবসেনার বক্তব্য, নির্বাচনী সভাগুলিতে ‘বিরোধীরা পাকিস্তানের সুরে কথা বলছে’ ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে। প্রচারে উন্নয়ন, অগ্রগতি, মুদ্রাস্ফীতির মতো ইস্যুগুলি পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। পাকিস্তান, জাতীয় নিরাপত্তার মতো ইস্যুগুলি গুরুত্ব পাচ্ছে। মনে হচ্ছে পুলওয়ামা হামলায় জওয়ানদের মৃত্যু ও বালাকোটে হামলার ঘটনা বাকি সব ইস্যুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এটি সাময়িক বিষয়। আদবানির লেখা থেকে মনে হচ্ছে, বিরোধীদের এয়ার স্ট্রাইকের প্রমাণ চাওয়াটা যেমন সঠিক নয়, তেমনই সঠিক নয় বিরোধীদের দেশ বিরোধী বলে বিবেচনা করা। বিজেপির প্রচারের মুখ্য জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যাঁরা মোদির সঙ্গে নেই তাঁরা দেশেরও সঙ্গে নেই। বিরোধী শিবির এসব মানতে নারাজ। বিরোধীরা বলছেন, মোদি ভারত নন। তাঁদের বক্তব্য হয়তো ভুল নয়, তবে ১৯৭৫ সালের পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে যা হয়েছিল, তার সঙ্গে পার্থক্যও নেই। সেই সময় ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া’ স্লোগান তোলা হয়েছিল। আর তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম এখন বলছেন, ‘মোদি ভারত নন’। ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া’ স্লোগান মানুষ ভালোভাবে নেননি। এটাই আমাদের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আদবানিজিও একই অভিমত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমার কাছে সবচেয়ে আগে দেশ। তারপর দল। ব্যক্তি সবার শেষে। এই প্রবীণ নেতা এই মন্ত্র আঁকড়েই বেঁচেছেন ও লড়াই করেছেন। কিন্তু আদবানির মন্তব্য কার উদ্দেশ্যে?
আদবানির বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে তোপ দাগলেন মায়াবতীও। বিএসপি সুপ্রিমোর বক্তব্য, মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকারের কাজকর্মকে বাস্তবের আয়না দেখিয়ে দিয়েছেন আদবানি। এটি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। পাশাপাশি মানুষের কাছে আবেদন রাখা, জন-বিরোধী এই মোদি সরকার ফের ক্ষমতায় আসার অযোগ্য।