কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
৭২ বছরের অভিনেতা-রাজনীতিবিদ যে বিজেপি ছাড়বেন এটা আগেই নিশ্চিত ছিল। বিজেপি এবার তাঁকে পাটনা সাহিব থেকে টিকিটও দেয়নি। শত্রুঘ্ন আগেই জানিয়েছিলেন তিনি কংগ্রেসে যোগ দেবেন। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে তিনি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেও নানাবিধ কারণে সেদিন দলে যোগ দেননি। অবশেষে এদিন তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তারপরেই তোপ দাগলেন পুরনো দলের বিরুদ্ধে। বিশেষত, নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটিই ছিলেন তাঁর লক্ষ্য। শত্রুঘ্ন বলেন, এখন বিজেপি ‘ওয়ান ম্যান শো’ এবং ‘টু-মেন আর্মি’তে পরিণত হয়েছে। সোজা কথায় শত্রুঘ্ন বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখন বিজেপি চালাচ্ছেন দুই ব্যক্তি, নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। আর নরেন্দ্র মোদিকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ বলেন, বিজেপিতে এখন আর কথা বলার জায়গা নেই। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, এখন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের লোকেদেরই মূল্য দেয় না। শুধু তাই নয়, কেউ কোনও বিষয়ে বিরোধিতা করলেই তাঁকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়।
চলতি নির্বাচনে বিজেপি টিকিট দেয়নি দুই বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ও মুরলী মনোহর যোশিকে। এদিন সেই বিষয়টি উল্লেখ করে শত্রুঘ্নর অভিযোগ, বর্ষীয়ান নেতাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে। তাঁদের ‘মার্গদর্শক মণ্ডলে’ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিন নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পাটনা সাহিবের সাংসদ। তোপ দেগে বলেন, বিজেপিতে এখন আর কোনও গণতন্ত্র নেই। সবটাই ধীরে ধীরে স্বেচ্ছাচারীতে পরিণত হয়েছে। গোটা দলটাই চলছে একজনের মর্জিতে। তাঁর ভাষায় ‘ওয়ান ম্যান শো’ আর ‘টু মেন আর্মি’। তিনি বলেন, যখনই কিছু বলতে গিয়েছি, তখনই বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ক্ষোভের সঙ্গেই শত্রুঘ্ন বলেন, যদি সত্যি বললে আপনাকে বিদ্রোহী বলে তকমা দেওয়া হয়, তবে আমি বিদ্রোহী।
এরপরেই নরেন্দ্র মোদির নাম উল্লেখ না করে তাঁর তীব্র সমালোচনা করেন শত্রুঘ্ন। বলেন, মানুষ আপনার ধাপ্পাবাজি ধরে ফেলেছে। আপনি প্রতিশ্রুতির নামে যে সব ভাঁওতা দিয়েছেন, তা লোকে বুঝে গিয়েছে। আপনার পর্দা এবার ফাঁস হবেই। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ভূয়সী প্রশংসা করে শত্রুঘ্ন বলেন, তিনি একজন পরীক্ষিত, সফল ও দৃঢ়চরিত্রের নেতা। দেশের মুখ হিসেবে রাহুল গান্ধীকে চিহ্নিত করে শত্রুঘ্ন বলেন, ভবিষ্যত তাঁরই হবে। কংগ্রেসের ‘ন্যায়’ প্রকল্পের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এমন বিষয় এর আগে কেউ কখনও বলেনি। তারপরেই অবশ্য ঠেস দেন বিজেপিকে। বলেন, প্রচারে যে অর্থ খরচ করা হচ্ছে, তা যদি দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো হতো, তবে অনেক কিছু পাল্টে যেত। এদিন শত্রুঘ্নকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, এতদিন একটি ভুল দলে যোগ্য রাজনীতিবিদ ছিলেন।
এদিনই কংগ্রেস পাটনা সাহিবের প্রার্থী হিসেবে শত্রুঘ্নর নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তাঁর সঙ্গে লড়াই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের। ফলে পাটনা সাহিবে এবার লড়াই সেয়ানে-সেয়ানে। পাশাপাশি এদিন হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নামও ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। বিজেপির অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে লড়বেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রামলাল ঠাকুর। এদিন পাঞ্জাবেরও তিনটি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস।