কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
সলমনের অনুপস্থিতিতে বিদায়ী সহ সভাপতি হিসাবে স্বাগত ভাষণ দিতে গিয়ে প্রফুল্ল প্যাটেল বলেন,‘সলমনের সঙ্গে আমার উপর আস্থা রাখায় আপনাদের ধন্যবাদ। পরবর্তী বিশ্বকাপএশিয়ায়। কাতারের বিশ্বকাপকে সফল করার জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। এই চার বছরে এশিয়ার ফুটবলকে অন্য উচ্চতায় নিতে যেতে চেষ্টা করব। প্রতিটি দেশের যুব উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। এশিয়ায় মহিলা ফুটবলে জোয়ার আনতে হবে। ২০১৭ সালে এশিয়ার মাটিতেই অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ হচ্ছে। এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে মহিলা ফুটবলের উন্নতিতে আগামী চার বছর তাই অতি গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সিও এএফসি’র সহ সভাপতি হয়েছিলেন। ফিফার সাব কমিটিতেও ছিলেন। জার্মান বিশ্বকাপে ম্যাচ কমিশনার রূপে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু ফিফা কাউন্সিলে যেতে পারেননি।
প্রফুল্ল প্যাটেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এআইএফএফ-এএফসি থেকে ফিফায় ‘শিফট’ করে গেলেন। এআইএফএফ কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়ানীতি মেনে নিয়েছে। তাই ২০২০ সালে ৬৩ বছর বয়স হলেও তাঁকে এআইএফএফ থেকে সরে যেতে হবে। কারণ ফেডারেশনে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর তিনটি টার্ম শেষ হচ্ছে। ফেডারেশনের সভাপতি হিসাবে তাঁর ইনিংস শেষ হওয়ার ২০ মাস আগেই তিনি প্রথম ভারতীয় ফুটবল প্রশাসক হিসাবে ফিফায় চলে গেলেন। তিনি জানতেন এএফসি’র এই নির্বাচন হবে এপ্রিলে। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই। তাই লোকসভা নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বিকল্প হিসাবে আগেই তিনি চলে গিয়েছেন রাজ্যসভায়।
উল্লেখ্য, গত এক মাস এএফসি থেকে ফিফা যাওয়ার আগে বিভিন্ন দেশে তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন ফেডারেশনের সহ সভাপতি সুব্রত দত্ত ও সচিব কুশল দাসকে নিয়ে। সুব্রত দত্ত ছিলেন নির্বাচন ক্যাম্পেনে প্রফুল্ল প্যাটেলের চিফ কো-অর্ডিনেটর। ৪৬টির মধ্যে প্যাটেল ৩৮টি ভোট পাওয়ায় নিজের দায়িত্বে সফল সুব্রত দত্ত। গাঙ্গুলি-কুরেশি কমিটির সংবিধান সংশোধনের রিপোর্টে ফেডারেশনের সহ সভাপতিদের পদাধিকারী ধরা হচ্ছে না। কারণ তাঁদের কিছুটা ক্ষমতা থাকলেও চেক সইয়ে অধিকার নেই। তাই কুয়ালালামপুরে এই দিনের সভায় প্রফুল্লর ভোট ম্যানেজার পদে দারুণ কাজ করায় ২০২০ সালে ফেডারেশনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদে বসার ক্ষেত্রে সুব্রত দত্তর সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হল। অনেকে বলছেন, প্রফুল্ল প্যাটেল কোনও রাজনীতিবিদ কিংবা এফএসডিএলের কোনও শীর্ষ কর্তা-কর্ত্রীকে তাঁর পদে বসিয়ে দেবেন ২০২০ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু ফেডারেশনের সভাপতি পদে লড়ার ন্যূনতম যোগ্যতা হল চারটি সাধারণ সভায় কোনও রাজ্য সংস্থা থেকে প্রতিনিধিত্ব করা। কোনও রাজনীতিবিদ বা এফএসডিএলের কোনও কর্তা-কর্ত্রীর এই রেকর্ড নেই। একমাত্র আছে লাজং এফ সি’র মালিক লারসেন মিঙের। এই জন্যই লাজং নেই ক্লাব জোটে।
প্রফুল্ল এমন একটি সময়ে ফিফা কাউন্সিলে থাকছেন যখন বিশ্বকাপ হবে এশিয়ায়। কাতার বিশ্বকাপে তিনি নিঃসন্দেহে ফিফা কর্তাদের মধ্যে বড় মুখ হয়ে উঠবেন। ফেডারেশনে তাঁর টার্ম শেষ হওয়ার তিন মাস আগে অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলাদের বিশ্বকাপ ভারতে। ফিফা কাউন্সিলে যাওয়ার পর নতুন ফরম্যাটে ক্লাব বিশ্বকাপ যাতে ভারত পায় সেই দিকে তিনি নজর দেবেন। সেই সঙ্গে আরও বেশি ফিফা ফ্রেন্ডলি, এজ গ্রুপ দলকে বিদেশে ট্রেনিং নিতে পাঠাবেন প্রফুল্ল প্যাটেল। তিনি আরও জানান,‘এরপর ফুটবলে উন্নত দেশগুলির সঙ্গে যুব উন্নয়ন নিয়ে অনেক বেশি মউ সই হবে।’