Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

তাহলে কি মহাকাশে যুদ্ধ আসন্ন?
মৃণালকান্তি দাস

হলিউডের সেই বিখ্যাত সিনেমা ‘আর্মাগেডন’ দেখেছেন? সে এক ‘অন্তিম যুদ্ধ’-র কাহিনী। যার পরিণতিতে নাকি পৃথিবীটাই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে! বিলুপ্ত হতে পারে মানব জাতি। বাঁচাতেই হবে বসুন্ধরাকে। গত ২৭ মার্চের ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে সেই আর্মাগেডন (১৯৯৮) সিনেমার একটি অনবদ্য দৃশ্যের কথা। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতির উদ্দেশে একটি মহাকাশ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করছেন। যে ঘোষণায় গোটা দুনিয়া জানল, পৃথিবীর দিকে প্রবল বেগে ধেয়ে আসা এক গ্রহাণুর হানায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা! মানবজাতিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একদল সাহসী বিজ্ঞানী তাঁদের জীবন তুচ্ছ করে সেই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে চলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট যখন এই ভাষণ দিচ্ছেন, তখন ব্রিটেন থেকে চীন, ফ্রান্স থেকে সৌদি আরব, গোটা দুনিয়ার সব মানুষ উদ্বেগের সঙ্গে অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুণতে শুরু করে দিয়েছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে শুরু করেছে। অজানা আতঙ্কে কেউ টিভির সামনে সেঁটে বসে। কেউ রেডিওতে কান পেতে।
২৭ মার্চ, দিনটি শুরু হয়েছিল একইভাবে। আচমকা টিভিতে ‘ব্রেকিং নিউজ’। একটি ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, সকাল ১১.৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তিনি দেশবাসীকে একটি বিশেষ বার্তা দেবেন। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে ট্যুইটটির খবর। পরের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ছিল ভারতের কাছে ‘আর্মাগেডন’-এর মতো মুহূর্ত। যাবতীয় সম্প্রচারমূলক অনুষ্ঠান ও রিপোর্টিং বন্ধ করে দিয়ে টিভিতে দেখান হল উদ্বিগ্ন দর্শকদের মুখ। অফিস, কলেজের ক্যান্টিন, হাসপাতাল, রেল স্টেশন—সর্বত্র তখন একই ছবি। এই অবস্থা ততক্ষণ পর্যন্ত চলতে থাকল যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিভির পর্দায় আবির্ভূত হলেন।
ইতিমধ্যে একটি টিভি চ্যানেলের সুবাদে ছড়িয়ে গিয়েছে, ‘বিগ ক্যাচ’! মাসুদ আজহার না দাউদ ইব্রাহিম? টেলিভিশনের পর্দাতেও শুধুই আলোচনা, কী হবে? শুধু কনফার্ম করা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক হয়েছে। ঘড়ির কাঁটা সওয়া ১২টাও পেরিয়ে গেল। অতঃপর! প্রধানমন্ত্রী এলেন। ১০ মিনিটের লম্বা ভিডিও বার্তায় নরেন্দ্র মোদিকে বেশ বিচলিত দেখাচ্ছিল। তাঁর হাত কাঁপছিল। গোটা ভারতবাসীর প্রবল উদ্বেগে জল ঢেলে তিনি জাতির উদ্দেশে বললেন, ভারত আজ অন্তরীক্ষ মহাশক্তি হিসেবে নিজের নাম নথিবদ্ধ করেছে। এত দিন আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের এই সক্ষমতা ছিল। এবার ভারত হয়ে উঠল চতুর্থ দেশ, যারা এই সক্ষমতায় পৌঁছল। প্রত্যেক ভারতবাসীর জন্য এর চেয়ে গর্বের মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না। উপগ্রহ-বিধ্বংসী (এস্যাট) এই প্রকল্পের নাম ‘মিশন শক্তি’। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও) এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হেনেছে যে উপগ্রহে, সেটিও ভারতীয় উপগ্রহ। লোয়ার অর্বিটে ভ্রাম্যমান উপগ্রহটির কার্যকাল আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই প্রকল্পটি কোনও দেশের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের সর্বাধুনিক মহাকাশ যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রের প্রদর্শন মাত্র। সমালোচকরা বললেন, গোটা পর্বটাই একেবারে নির্বাচনী স্ক্রিপ্ট!
সেই সমালোচনাকে উসকে দিয়ে দেশের এই সাফল্যে মুহূর্তে রাজনীতির রং লাগালেন অর্থমন্ত্রী নিজেই। বিজেপির মঞ্চ থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে পাশে নিয়ে অরুণ জেটলি অভিযোগ তুললেন, ২০১২-তেই দেশের বিজ্ঞানীরা এই কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের সেই ক্ষমতাও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইউপিএ-সরকার সেই অনুমতি দেয়নি। অরুণ জেটলির অভিযোগ, তখন সরকারের সেই সাহস ছিল না। চিন্তাভাবনার স্বচ্ছতা ছিল না। ইউপিএ-সরকার যে সাহস দেখাতে পারেনি, সেটাই নরেন্দ্র মোদি করে দেখালেন। ডিআরডিও-র প্রাক্তন প্রধান ভি কে সারস্বত, বর্তমানে মোদি সরকারের নীতি আয়োগের উপদেষ্টা তাঁকে সমর্থন জানিয়ে বললেন, আমরা জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সামনে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। একই যুক্তি দিয়েছেন ইসরো-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার। গত বছর বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নায়ারের বক্তব্য, ভারতের হাতে দশ বছর আগেই এই ক্ষমতা এসে গিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী মোদি উদ্যোগী হয়েছেন। যদিও তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের পাল্টা দাবি, ডিআরডিও তখন এমন কোনও আর্জিই জানায়নি। সারস্বতের বক্তব্য প্রসঙ্গে একটি ওয়েবসাইটকে মেনন বলেন, ‘এই প্রথম এমন কথা শুনলাম। এই বিষয়ে ডিআরডিও ঘরোয়া প্রেজেন্টেশন দিয়েছিল। কিন্তু সারস্বত কোনও দিন এমন পরীক্ষার জন্য আমার কাছে অনুমতি বা সম্মতি চাননি।’ বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, কেন ঠিক ভোটের সময়ই মহাকাশে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হল? অভিযোগ, দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতেই ঢাকঢোল পিটিয়ে মহাকাশ সাফল্যের ঘোষণা করেছেন মোদি। ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, ‘ভারতের মহাকাশ গবেষণা বরাবরই বিশ্বমানের। তার জন্য আমাদের বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্ব বোধ করি। বহুবছর ধরে লাগাতার মহাকাশ সম্পর্কিত গবেষণা চালিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু নিজে সবকিছুর কৃতিত্ব নিতে অভ্যস্ত নরেন্দ্র মোদি। ভোটের আগে তাই ফায়দা তুলতে নেমে পড়েছেন।’
ভোটকে কেন্দ্র করে ভারতের মাটিতে রাজনীতি যাই হোক না কেন, আসলে মহাকাশ এখন এক নতুন রণাঙ্গন। রাজনৈতিক স্বার্থে ভোটের মুখে কেউ কেউ বলছেন, ‘মিশন শক্তি’-র সাফল্য মানে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে আরও একবার সমঝে দেওয়া গেল। অত্যুৎসাহী এক নেতা এমনও বলছেন, এটা যথেষ্ট নয়। পাকিস্তানকে শিক্ষা দিতে আরও প্রত্যক্ষ আঘাত হানা প্রয়োজন। সব মিলিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট, খাতায় কলমে মহাকাশে যু্দ্ধ এখনও হয়নি। কিন্তু সেই যুদ্ধের প্রস্তুতির যুদ্ধটাও কম বিপজ্জনক নয়। কে না জানে, আকাশ, মাটি, জলের পর এখন মহাকাশ দখলই শক্তিশালী দেশগুলির লক্ষ্য। আটের দশকের গোড়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগান বলেছিলেন ‘স্টার ওয়ার্স’, বা মহাকাশ যুদ্ধের প্রস্তুতির কথা। যদিও সেই প্রস্তাব ছিল শুধুই একটি পরিকল্পনা, যা এখনও তেমনভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। রেগান থেকে ট্রাম্প— এই সময়ে আমেরিকা মহাকাশে স্থাপন করেছে সামরিক উপগ্রহ। একই পথে হেঁটেছে রাশিয়া, চীন। এই মুহূর্তে মহাকাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ৮৫৯টি উপগ্রহ। এর মধ্যে ১৫৯টি ‘সামরিক’ উপগ্রহ, যেগুলি সরাসরি অপারেট করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। চীন, রাশিয়ার রয়েছে যথাক্রমে ৭৫ ও ৩৬টি সামরিক উপগ্রহ।
অবিভক্ত সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডা যুদ্ধের সময় রাশিয়া এবং আমেরিকা পাল্লা দিয়ে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াচ্ছিল মহাকাশে। সেই সময় দুই দেশই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল নিয়ে গবেষণা শুরু করে। ১৯৫৯ সালে আমেরিকা প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে। তবে সেই ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ থেকে ছুঁড়তে হতো। অন্য দিকে ১৯৬৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সফল ভাবে মাটি থেকে ছোড়া যায় এমন উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করে। অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের প্রাথমিক উদ্দেশ্য, মহাকাশে নিজের দেশের যে সমস্ত কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে এবং গবেষণামূলক কাজকর্ম চলছে সেগুলিকে নিরাপত্তা দেওয়া। সেই সঙ্গে মহাকাশ থেকে কোনও শত্রু দেশের আক্রমণ হলে তা যেন মহাকাশেই প্রতিহত করা যায়, তা নিশ্চিত করা। অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইলের সঙ্গে প্রয়োজনে পরমাণবিক অস্ত্রও যুক্ত করা যায়। আমেরিকা রাশিয়ার পর চীন তৃতীয় শক্তি হিসেবে ২০০৭ সালে সফল ভাবে ওই প্রযুক্তির ব্যবহার করে। চীনের সাফল্য মহাকাশে ভারতের নিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরপর থেকে ভারতও সেই একই প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করে। ২০১২ সালের মধ্যেই অ্যান্টি স্যাটেলাইট মিসাইল তৈরির প্রযুক্তি তৈরিতে সক্ষম হন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। এই সাফল্যের ঔজ্জ্বল্য যতই চোখ ধাঁধিয়ে দিক, প্রশ্ন উঠছে তার ভবিষ্যৎ নিয়েও। মহাকাশে এই সাফল্য ফ্র্যাঙ্কেনস্টাইনের দৈত্য হয়ে উঠবে না তো?
জোসেফ ডব্লিউ এশি, কমান্ডার-ইন-চিফ অব ইউএস স্পেস কমান্ড। মহাকাশ বিষয়ক মাসিক পত্রিকা প্রোগ্রেসিভ ম্যাগাজিন, জানুয়ারি ২০০০-এ লিখেছিলেন, ‘রাজনৈতিক ভাবে বিষয়টি স্পর্শকাতর। কিন্তু তা ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। কিছু মানুষ তো বিষয়টি নিয়ে শুনতেই চায় না। কিন্তু নিশ্চিতভাবেই আমরা মহাকাশ থেকে যুদ্ধ ও মহাকাশে যুদ্ধের দিকে এগিয়ে চলেছি। আর তাই উচ্চ-শক্তি সম্পন্ন ও মারণাস্ত্র তৈরি করছি। আমরা জাহাজে, বিমানে ও মূলত ভূমি হতে মহাকাশে নিক্ষেপণ-যোগ্য অস্ত্র তৈরির দিকে মনোযোগী হচ্ছি।’ আর সেই পথ ধরেই পেন্টাগন ও মার্কিন প্রতিরক্ষাদপ্তরকে ‘স্পেস ফোর্স’ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সেনাবাহিনী হবে মার্কিন নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, মেরিন, সেনাবাহিনী এবং উপকূলরক্ষীর সমকক্ষ, কিন্তু আলাদা। এটি হবে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর ষষ্ঠ শাখা। ২০২০-র মধ্যেই খোলা হবে। মহাকাশে মার্কিন গর্বের উত্তরাধিকারকে পুনর্প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাঁর কথায়, মহাকাশ, একটি রণাঙ্গন, ঠিক যেমন আকাশ, মাটি, জল। নিজস্ব উগ্র জাতীয়তাবাদী মেজাজে ট্রাম্প বলেছেন: মহাকাশে আমেরিকার নিছক উপস্থিতিই যথেষ্ট নয়, মহাকাশে থাকা উচিত মার্কিন আধিপত্য। একই সুরে বলেছেন নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জিম ব্রাইডেনস্টাইন। সম্প্রতি ওয়াশিংটন এক্সামিনারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এনার্জি গ্রিড থেকে ওয়াল স্ট্রিট— আজ মারাত্মকভাবে নির্ভরশীল জিপিএস উপগ্রহগুলির উপর। ‘প্রতিটি ব্যাঙ্কিং লেনদেনের জন্য জরুরি হল জিপিএস থেকে নিমেষে আসা সঙ্কেত। অন্যভাবে বললে, যদি কোনও জিপিএস না থাকে, অচল হয়ে যাবে মার্কিন ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। সমস্ত কিছুর ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাবে মুহূর্তে। এর জন্যই মহাকাশে আধিপত্য জরুরি।
তাহলে কি মহাকাশে যুদ্ধ আসন্ন? মহাকাশের অস্ত্র মানবজাতির জন্য যুদ্ধের নতুন অভিশাপ নিয়েই আসবে বলে অনেকে মনে করছেন। তা হলে কি আমরা পৃথিবীর শেষ দিনের অপেক্ষায়? এই যুদ্ধ থামাবে কে?
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

ইস্কুল স্ট্রাইক করা এক আশ্চর্য ষোড়শীর গল্প 
অতনু বিশ্বাস

এটা একটা স্কুলের মেয়ের গল্প। তার ভয়, অবসাদ, দৃঢ়তা আর সংগ্রামের গল্প, তার সংকল্পের কথকতা। কেবলমাত্র ইস্কুল পালিয়ে, থুড়ি, ইস্কুল স্ট্রাইক করে, মানে একেবারে বলে-কয়ে ইস্কুল না গিয়ে, পনের-ষোল বছরের মেয়েটি চলে এসেছে পৃথিবীর খবরের শিরোনামে।   বিশদ

06th  April, 2019
শেষ লিডার?
সমৃদ্ধ দত্ত

 ধরা যাক আমেদাবাদের কোনও কফিশপের আড্ডায় রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য ধরে ধরে নেতানেত্রীদের সম্পর্কে, ভোট নিয়ে, ইমেজ নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনা চলছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কজন নেতানেত্রীর নাম উচ্চারিত হবে? একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রশংসাও করা হতে পারে।
বিশদ

05th  April, 2019
এই ভোটে ইয়ং ভোটারদের অভিমুখ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

এবারের লোকসভা নির্বাচনে দেশের ৯০ কোটি ভোটদাতার মধ্যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ভোটার প্রথমবার ভোট দেবেন। যাদের বয়স ১৮-১৯ বছরের মধ্যে, যা দেশের মোট ভোটদাতার ১.৬৬ শতাংশ। গত লোকসভা নির্বাচনে ৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ১৮-১৯ বছর বয়স্ক ভোটার সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩০ লক্ষ, যা মোট ভোটারের ২.৮৮ শতাংশ।
বিশদ

04th  April, 2019
মানব পাচার রুখতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
লড়ছে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্যাটি হফম্যান

 ‘রাষ্ট্র মানেই ম্যাপে বাঁধা আমার দিগন্ত...।’ রাষ্ট্র বললেই চোখে ভেসে ওঠে এমনই সব কথা। কিন্তু রাষ্ট্রের ভাবনায় কি অপরাধকে বাধা যায়! সীমান্তের বেড়াজালে থমকে থাকে না অপরাধ। চুঁইয়ে পড়ে। আইন-নিরাপত্তার ফস্কা গেরোর মধ্যে দিয়ে চোরাস্রোতের মতো এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে অপরাধের শিকড়। অপরাধের এই তালিকা ঘাঁটতে গেলে প্রথমেই উঠে আসে যে নাম, তা হল মানব পাচার।
বিশদ

04th  April, 2019
অমিত শাহদের এই দল ভাঙানো প্রার্থী তালিকা
দিয়ে আরএসএস কেমন সোনার বাংলা গড়বে?
হিমাংশু সিংহ

সিপিএমের ৩৪ বছর দেখেছি। সফল অপারেশন বর্গা থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধদেববাবুর অহেতুক দুঃস্বপ্নের ধ্বংসলীলা পর্যন্ত। এখন তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য ৮ বছরের শাসনকাল দেখছি। চতুর্দিকে উন্নয়ন আর অনুপ্রেরণার লহর।  বিশদ

02nd  April, 2019
হত দরিদ্রদের জন‌্য ‘ন‌্যায়’
পি চিদম্বরম

অবশেষে একটি রাজনৈতিক দল ‘বুলেট’-এ কামড় দেওয়ার সাহস পেয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা বিষয়টিকে চেপে রেখেছিলাম, নীতিগত বিতর্কের মোকাবিলা এড়িয়ে গিয়েছি, এবং দারিদ্র দূরীকরণের মৌলিক পদক্ষেপ করার অনীহার পিছনে পুরনো অজুহাত খাড়া করেছি।
বিশদ

01st  April, 2019
ভোট ২০১৯: মমতার নজিরবিহীন উন্নয়নই সব অভিযোগের জবাব দেবে 
শুভা দত্ত

এ রাজ্যের বিরোধীরা কী ভাবছেন জানি না, তবে জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে অন্যতম প্রধান মুখ তাতে সন্দেহ নেই। শুধু প্রধান মুখই নয়, বাংলা সমেত দেশের অন্যান্য রাজ্যের মোদি-বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশ তাঁকে দিল্লির মসনদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চাইছেন।  
বিশদ

31st  March, 2019
এবারেও মহিলা ও সংখ্যালঘু ভোটারদের
সমর্থন কেন মমতার পক্ষে থাকতে পারে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের ৬,৯৭,৬০,৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৩৯,৭৫,৯৭৯ জন। ২০০৯-র লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের প্রবণতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি স্পষ্ট ঝোঁক লক্ষ করা গেছে। ওই সময় থেকে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের ভোটদানের প্রবণতাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ব্যাপক সমর্থন বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশদ

30th  March, 2019
এবার ভোটে সোশ্যাল মাধ্যম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সোশ্যাল মিডিয়া আর শুধুই সামাজিক নেই, রাজনৈতিক হয়ে গিয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার হ্যান্ডলে চলছে ভোটের প্রচার। দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ফ্যান ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে। এটা সাদা চোখে দেখা যায়। যা নজরে আসে না তা হল, নিঃশব্দ প্রচার...। হোয়াটসঅ্যাপে। মাথা ভারী দলগুলির তো বটেই, ছোটখাটো রাজনৈতিক পার্টিরাও এখন রীতিমতো সাইবার সেল তৈরি করে ফেলেছে। সেই শাখাটি নিয়মিত রিসার্চ চালাচ্ছে... ধর্ম, জাত, স্টেটাস অনুযায়ী ভোটার খুঁজে বের করছে। তারপর তাদের আলাদা আলাদা ক্যাটিগরিতে ভাগ করে চলছে গোছগাছ।
বিশদ

29th  March, 2019
মহারণ ২০১৯: রণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

থাকবে। অবশ্যই থাকবে। অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। রণহুংকার না থাকলে রণক্ষেত্র কীসের! রণহুংকার রণদামামাই তো রণক্ষেত্রের গৌরব গুরুত্বের আসল মাপকাঠি, যুযুধান পক্ষগুলির শক্তি সামর্থ্যের পরিচায়ক।
বিশদ

28th  March, 2019
ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।
বিশদ

26th  March, 2019
একনজরে
 ইসলামাবাদ, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার তুলে নিলে, তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবনাগুলিকে লঙ্ঘন করার শামিল হবে। তাই পাকিস্তান এটা কখনওই মেনে নেবে না। ইসলামাবাদে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ...

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ভোটদানে মানুষকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাজবে ‘থিম সং’। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক আয়েষা রানি এ জেলা কালেক্টরেট হলে সাংবাদিক বৈঠক করে থিম সংয়ের সূচনা করলেন।   ...

শ্রীনগর, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানা এবং সীমান্তে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরিবেশকর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের প্রথম সারির সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘রাজনৈতিক দলের কাছে পরিবেশ দূষণের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম সহ ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম
১৮৯৭ - নাট্যকার, অভিনেতা, সুরকার, বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার তুলসী লাহিড়ীর জন্ম
১৯২০- সেতার বাদক পণ্ডিত রবিশংকরের জন্ম
১৯৪২- অভিনেতা জিতেন্দ্রর জন্ম
১৯৪৭ - মার্কিন মোটরযান উৎপাদক হেনরি ফোর্ডের মৃত্যু
১৯৪৮ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪- অভিনেতা, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার তথা মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৩৩ টাকা ৭০.০২ টাকা
পাউন্ড ৮৮.৯০ টাকা ৯২.১৫ টাকা
ইউরো ৭৬.১৫ টাকা ৭৯.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
06th  April, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২, ১৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৫৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৯৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭ ৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ২৬/২৩ অপঃ ৪/২। অশ্বিনী ৮/৯ দিবা ৮/৪৪। সূ উ ৫/২৮/২৭, অ ৫/৪৯/৫৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬ গতে ১/১২ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩৩ মধ্যে।
২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩/১৮/৫। অশ্বিনীনক্ষত্র ৮/১৮/৪৯, সূ উ ৫/২৮/৭, অ ৫/৪৯/২৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৭/৩২ থেকে ৯/৩৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২/৩৬ থেকে ৮/৫৫/৪৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬/৭ থেকে ১১/৩৮/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩৮/৪৭ থেকে ১/১১/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৬/৭ থেকে ২/৩৩/২৭ মধ্যে।
 ১ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মে উন্নতির যোগ আছে। বৃষ: গৃহ সংস্কার যোগ আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম১৮৯৭ - নাট্যকার, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারাল কেকেআর

10:56:29 PM

কেকেআরকে ১৪০ রানের টার্গেট দিল রাজস্থান রয়্যালস 

09:37:13 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ৫৬/১ (১০ ওভার) 

08:47:03 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ২৮/১ (৬ ওভার) 

08:29:29 PM