Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হত দরিদ্রদের জন‌্য ‘ন‌্যায়’
পি চিদম্বরম

অবশেষে একটি রাজনৈতিক দল ‘বুলেট’-এ কামড় দেওয়ার সাহস পেয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা বিষয়টিকে চেপে রেখেছিলাম, নীতিগত বিতর্কের মোকাবিলা এড়িয়ে গিয়েছি, এবং দারিদ্র দূরীকরণের মৌলিক পদক্ষেপ করার অনীহার পিছনে পুরনো অজুহাত খাড়া করেছি।
ভারতের বিরাট অংশের মানুষ সবসময়ই গরিব ছিল। (আমাকে জাতীয়তা-বিরোধী দেগে দেওয়া হতে পারে)। স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় আমরা অত‌্যন্ত গরিব ছিলাম। মাথাপিছু আয় (সেই সময়কার দামের ভিত্তিতে) ছিল ২৪৭ টাকা। চাষ-আবাদের বাইরে সামান‌্য মানুষই চাকরিতে যুক্ত ছিলেন। সাক্ষরতার হার ছিল মাত্রই ১৭ শতাংশ। জন্মকালে একজন নাগরিকের প্রত‌্যাশিত আয়ু ছিল ৩২ বছর। এই সূচকগুলি চরম এবং ব‌্যাপক অংশের মানুষের দারিদ্রকেই নির্দেশ করে।
৭২ বছরে, সবক’টি সূচকের বৃদ্ধি ঘটেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কৃষিনির্ভরতা ছেড়ে সংগঠিত ক্ষেত্রে চাকরি নিয়েছেন। আজ সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ, জন্মের সময় একজনের প্রত‌্যাশিত আয়ু ৬৮ বছর এবং বর্তমান (২০১৮) দামে নাগরিকদের মাথাপিছু আয় ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮৩৫ টাকা।
একটি বিস্ময়কর সংখ‌্যা
আমাদের খুশি হওয়া উচিত; একইসঙ্গে লজ্জিতও হওয়া উচিত আমাদের—এই কারণে যে এখনও প্রায় ২৫ কোটি মানুষ ভীষণ গরিব। আরও ওই সংখ‌্যক মানুষের হদিশ মিলবে যদি আমরা হিসেবের মধ‌্যে ধরি: যেসব মানুষের বসবাসের উপযুক্ত ঘর (কুঁড়েঘর নয়) নেই; অথবা যাঁদের এক টুকরো জমি নেই; অথবা যাঁরা মাসের মধ‌্যে অনেক দিনই পেটভরা খাবার পান না; অথবা যাঁদের রোজগারপাতির ধারাবাহিকতা নেই।
আমরা ন‌্যায়সংগতভাবেই গর্ব করতে পারি যে দারিদ্রের দুষ্টচক্র থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ বেরিয়ে যেতে পেরেছেন। প্রতিটি সমীক্ষা রিপোর্ট বলেছে যে, ২০০৪-০৫ থেকে ২০১৩-১৪ সালের (ইউপিএ জমানা) ভিতরে কমপক্ষে ১৪ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার ঊর্ধ্বে তুলে আনা গিয়েছিল। এনডিএ জমানাতেও আরও অনেক মানুষ দারিদ্রসীমার গণ্ডি টপকেছেন, এমনকী যখন কিছু মানুষ বিমুদ্রাকরণের ধাক্কা সয়েছেন এবং ত্রুটিপূর্ণ জিএসটি কিছু মানুষকে দারিদ্রসীমার নীচে নামিয়ে দিয়েছে তখনও। আমার অনুমান, এনডিএ আমলে একটি সংখ‌্যার সঙ্গে অন‌্য সংখ‌্যাটির কাটাকুটি হয়ে গিয়েছে। এই সময়কালের ডেটার জন‌্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
অনিবার্য উপসংহারটি এই যে, জনসংখ‌্যার একটি উল্লেখযোগ‌্য অংশ দারিদ্রকেই সঙ্গী করে বেঁচে আছে। বিভিন্ন দিক থেকে হিসেব করে পাওয়া যায়, সংখ‌্যাটি ২০ থেকে ২৫ শতাংশের ভিতরে। আর, সংখ‌্যার দিক থেকে এটি ২৫ থেকে ৩০ কোটি। অর্থনৈতিক প্রশ্নটি হল—এই মানুষগুলিকে দারিদ্রসীমার ঊর্ধ্বে তুলে আনতে শুধুমাত্র বৃদ্ধির (গ্রোথ) উপর আমরা ভরসা রাখতে পারি কি? নীতিগত প্রশ্নটি হল—এই মানুষগুলিকে দারিদ্রসীমার ঊর্ধ্বে তুলে আনতে শুধুমাত্র বৃদ্ধির (গ্রোথ) উপর আমাদের ভরসা রাখা উচিত হবে কি?
অর্থনৈতিক মন, নৈতিক হৃদয়
অর্থনৈতিক প্রশ্নটির উত্তর হল—‌হ্যাঁ, আমরা পারি। দ্রুত বৃদ্ধির কল‌্যাণেই দারিদ্র দূর হবে। একটি সামাজিক সুরক্ষা ব‌্যবস্থা গড়ে তোলার পিছনেও এর সায় থাকবে—ব‌্যক্তিগত বিপর্যয় অথবা ব‌্যবসা ফেল পড়ার কারণে যাঁরা দারিদ্রসীমার নীচে নেমে গেলেন, এই ব‌্যবস্থা তাঁদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন‌্য প্রস্তুত থাকবে। সমস‌্যা  হল, এতে বছরের পর বছর কেটে যেতে পারে, এবং ওই সময়কালে মরা গরিবরা প্রচণ্ড কষ্ট ভোগ করবেন ও অপমান সইবেন। সুতরাং অর্থনৈতিক প্রশ্নের উত্তরের পুরোটা গ্রহণযোগ‌্য নয়।
নৈতিক বা নীতিগত প্রশ্নের উত্তরটি হল—না, আমরা পারি না। তীব্র দারিদ্র দূর করার জন‌্য আমরা অবশ‌্যই বৃদ্ধির বাইরে তাকাব এবং মৌলিক উপায়গুলিকেও কাজে লাগাব। একটি উপায়ের প্রতি অর্থনীতিবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীদের বিস্তর সমর্থন রয়েছে—সেটি হল—জনসংখ‌্যার ওই চিহ্নিত অংশের মানুষকে সরাসরি নগদ অর্থ প্রদান (ডাইরেক্ট ক‌্যাশ ট্রান্সফার)। বস্তুত, ড. অরবিন্দ সুব্রামনিয়ান, যিনি ২০১৪-১৭ পর্বে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন—অর্থনৈতিক
সমীক্ষায় (২০১৬-১৭) পুরো একটি অধ‌্যায়
তিনি ব‌্যয় করেছেন এই ডাইরেক্ট ক‌্যাশ ট্রান্সফার ধারণাটির উপর।
ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম (ইউবিআই) ধারণাটি নিয়ে বহু বছর যাবৎ বিতর্ক জারি আছে। নাগরিকদের চিহ্নিত গোষ্ঠীগুলির মধ‌্যে ডাইরেক্ট ক‌্যাশ ট্রান্সফার করার ব‌্যাপারটি বস্তুত ইউবিআইয়েরই একটি প্রকার ভেদ। চিহ্নিত গোষ্ঠীগুলির মধ‌্যে সরাসরি নগদ বণ্টনের পাইলট প্রজেক্ট চালু রাখার চেষ্টা অনেক দেশেই হয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তর লেখাপত্তরও হয়েছে। ডাইরেক্ট ক‌্যাশ ট্রান্সফারের বিষয়ে অনেক সংশয়েরও সদুত্তর দেওয়া হয়েছে।
দেশের অতি দরিদ্র ৫ কোটি পরিবারকে মাসে/বছরে ডাইরেক্ট ক‌্যাশ ট্রান্সফার করার জন‌্য ন‌্যূনতম আয় যোজনা (এনওয়াইএওয়াই বা ন‌্যায়, অর্থাৎ বিচার) কংগ্রেসের তরফে ঘোষিত হয়েছে। টাকার প্রয়োজন অনেকটাই, কিন্তু স্বাধীতার ৭২ বছর পরেও, গরিবি হটানোর জন‌্য ভারতের মতো দেশে এইরকম একটি কর্মসূচি চালু করা উচিত হবে কি না তার উত্তর অবশ‌্যই দিতে হবে অর্থনৈতিক মন আর নৈতিক হৃদয় থেকে। আমার মতে, এর একটিই জবাব হতে পারে: হ‌্যাঁ, আমরা অবশ‌্য এটি করব, এবং সমস্ত বাধার মোকাবিলা করে। একটি ভালো সরকার তাকেই বলে যে সাফল‌্যের সঙ্গে একটি কঠিন কর্মসূচি রূপায়ণ করতে পারে, বলপূর্বক বন্ধ করার বদলে—যে কর্মসূচির রূপায়ণ নীতিগতভাবে প্রয়োজন এবং অর্থনৈতিক থেকেও সম্ভব।
সম্পদে প্রথম অধিকার
বিগত ১৫ বছরে আমাদের দেশের জিডিপি, বর্তমান দামে, বেড়েছে (নীচের সারণি
দেখুন) এবং সাধারণ নিয়মে ভবিষ‌্যতেও এটি বাড়বে, বছরে ১১-১২ শতাংশের ভিতরে:
২০০৪-০৫: টাকা ৩২,৪২,২০৯ কোটি
২০০৯-১০: টাকা ৬৪,৭৭,৮২৭ কোটি
২০১৪-১৫: টাকা ১২৪,৬৭,৯৫৯ কোটি
২০১৯-২০: টাকা ২১০,০৭,৪৩৯ কোটি

২০২৩-২৪ সালের ভিতরে অঙ্কটি ৪০০,০০,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছে যাওয়ার প্রত‌্যাশা রয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্রীয় এবং রাজ‌্য সরকারগুলির মোট অনুমিত ব‌্যয়ের পরিমাণ হল ৬০,০০,০০০ কোটি টাকা, এবং এই সংখ‌্যাটিরও বৃদ্ধি ঘটবে প্রতি বছর রাজস্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে।
নৈতিক-অর্থনৈতিক প্রশ্নটি এই—গরিবদের মধ‌্যে ২০ শতাংশের শ্রীবৃদ্ধির স্বার্থে দেশের কি উচিত নয় জিডিপির ২ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ আলাদাভাবে সরিয়ে রাখা? মনে রাখবেন, আমেদাবাদ ও মুম্বইয়ের মধ‌্যে বুলেট ট্রেন চালু করার খরচা এক লক্ষ কোটি টাকা ছুঁতে পারে! কর্পোরেট ক্ষেত্রের সামান‌্য কয়েকটি দেনা না-মেটানোর মামলায় ক্ষতিস্বীকার (রাইট-অফ) করা হয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকার বেশি! যদি সামান‌্য কয়েকজন ব‌্যক্তি এতখানি উদারতা গ্রহণের ‘যোগ‌্য’ হন, তবে কেন ৫ কোটি পরিবার
(বা ২৫ কোটি মানুষ) জিডিপি অথবা মোট ব‌্যয়ের সামান‌্য এক ভগ্নাংশ পাওয়ার যোগ‌্য বিবেচিত হওয়া উচিত নয়?   
দেশের সম্পদের উপর গরিবের অধিকার সর্বাগ্রে। কংগ্রেস এই নীতির স্বীকৃতি দিয়ে দ্বন্দ্বযুদ্ধ আহ্বান করেছে।
01st  April, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

তাহলে কি মহাকাশে যুদ্ধ আসন্ন?
মৃণালকান্তি দাস

 ভোটকে কেন্দ্র করে ভারতের মাটিতে রাজনীতি যাই হোক না কেন, আসলে মহাকাশ এখন এক নতুন রণাঙ্গন। রাজনৈতিক স্বার্থে ভোটের মুখে কেউ কেউ বলছেন, ‘মিশন শক্তি’-র সাফল্য মানে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে আরও একবার সমঝে দেওয়া গেল।
বিশদ

ইস্কুল স্ট্রাইক করা এক আশ্চর্য ষোড়শীর গল্প 
অতনু বিশ্বাস

এটা একটা স্কুলের মেয়ের গল্প। তার ভয়, অবসাদ, দৃঢ়তা আর সংগ্রামের গল্প, তার সংকল্পের কথকতা। কেবলমাত্র ইস্কুল পালিয়ে, থুড়ি, ইস্কুল স্ট্রাইক করে, মানে একেবারে বলে-কয়ে ইস্কুল না গিয়ে, পনের-ষোল বছরের মেয়েটি চলে এসেছে পৃথিবীর খবরের শিরোনামে।   বিশদ

06th  April, 2019
শেষ লিডার?
সমৃদ্ধ দত্ত

 ধরা যাক আমেদাবাদের কোনও কফিশপের আড্ডায় রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য ধরে ধরে নেতানেত্রীদের সম্পর্কে, ভোট নিয়ে, ইমেজ নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনা চলছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কজন নেতানেত্রীর নাম উচ্চারিত হবে? একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রশংসাও করা হতে পারে।
বিশদ

05th  April, 2019
এই ভোটে ইয়ং ভোটারদের অভিমুখ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

এবারের লোকসভা নির্বাচনে দেশের ৯০ কোটি ভোটদাতার মধ্যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ভোটার প্রথমবার ভোট দেবেন। যাদের বয়স ১৮-১৯ বছরের মধ্যে, যা দেশের মোট ভোটদাতার ১.৬৬ শতাংশ। গত লোকসভা নির্বাচনে ৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ১৮-১৯ বছর বয়স্ক ভোটার সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩০ লক্ষ, যা মোট ভোটারের ২.৮৮ শতাংশ।
বিশদ

04th  April, 2019
মানব পাচার রুখতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
লড়ছে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্যাটি হফম্যান

 ‘রাষ্ট্র মানেই ম্যাপে বাঁধা আমার দিগন্ত...।’ রাষ্ট্র বললেই চোখে ভেসে ওঠে এমনই সব কথা। কিন্তু রাষ্ট্রের ভাবনায় কি অপরাধকে বাধা যায়! সীমান্তের বেড়াজালে থমকে থাকে না অপরাধ। চুঁইয়ে পড়ে। আইন-নিরাপত্তার ফস্কা গেরোর মধ্যে দিয়ে চোরাস্রোতের মতো এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে অপরাধের শিকড়। অপরাধের এই তালিকা ঘাঁটতে গেলে প্রথমেই উঠে আসে যে নাম, তা হল মানব পাচার।
বিশদ

04th  April, 2019
অমিত শাহদের এই দল ভাঙানো প্রার্থী তালিকা
দিয়ে আরএসএস কেমন সোনার বাংলা গড়বে?
হিমাংশু সিংহ

সিপিএমের ৩৪ বছর দেখেছি। সফল অপারেশন বর্গা থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধদেববাবুর অহেতুক দুঃস্বপ্নের ধ্বংসলীলা পর্যন্ত। এখন তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য ৮ বছরের শাসনকাল দেখছি। চতুর্দিকে উন্নয়ন আর অনুপ্রেরণার লহর।  বিশদ

02nd  April, 2019
ভোট ২০১৯: মমতার নজিরবিহীন উন্নয়নই সব অভিযোগের জবাব দেবে 
শুভা দত্ত

এ রাজ্যের বিরোধীরা কী ভাবছেন জানি না, তবে জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে অন্যতম প্রধান মুখ তাতে সন্দেহ নেই। শুধু প্রধান মুখই নয়, বাংলা সমেত দেশের অন্যান্য রাজ্যের মোদি-বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশ তাঁকে দিল্লির মসনদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চাইছেন।  
বিশদ

31st  March, 2019
এবারেও মহিলা ও সংখ্যালঘু ভোটারদের
সমর্থন কেন মমতার পক্ষে থাকতে পারে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের ৬,৯৭,৬০,৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৩৯,৭৫,৯৭৯ জন। ২০০৯-র লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের প্রবণতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি স্পষ্ট ঝোঁক লক্ষ করা গেছে। ওই সময় থেকে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের ভোটদানের প্রবণতাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ব্যাপক সমর্থন বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশদ

30th  March, 2019
এবার ভোটে সোশ্যাল মাধ্যম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সোশ্যাল মিডিয়া আর শুধুই সামাজিক নেই, রাজনৈতিক হয়ে গিয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার হ্যান্ডলে চলছে ভোটের প্রচার। দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ফ্যান ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে। এটা সাদা চোখে দেখা যায়। যা নজরে আসে না তা হল, নিঃশব্দ প্রচার...। হোয়াটসঅ্যাপে। মাথা ভারী দলগুলির তো বটেই, ছোটখাটো রাজনৈতিক পার্টিরাও এখন রীতিমতো সাইবার সেল তৈরি করে ফেলেছে। সেই শাখাটি নিয়মিত রিসার্চ চালাচ্ছে... ধর্ম, জাত, স্টেটাস অনুযায়ী ভোটার খুঁজে বের করছে। তারপর তাদের আলাদা আলাদা ক্যাটিগরিতে ভাগ করে চলছে গোছগাছ।
বিশদ

29th  March, 2019
মহারণ ২০১৯: রণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

থাকবে। অবশ্যই থাকবে। অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। রণহুংকার না থাকলে রণক্ষেত্র কীসের! রণহুংকার রণদামামাই তো রণক্ষেত্রের গৌরব গুরুত্বের আসল মাপকাঠি, যুযুধান পক্ষগুলির শক্তি সামর্থ্যের পরিচায়ক।
বিশদ

28th  March, 2019
ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।
বিশদ

26th  March, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ভোটদানে মানুষকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাজবে ‘থিম সং’। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক আয়েষা রানি এ জেলা কালেক্টরেট হলে সাংবাদিক বৈঠক করে থিম সংয়ের সূচনা করলেন।   ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরিবেশকর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের প্রথম সারির সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘রাজনৈতিক দলের কাছে পরিবেশ দূষণের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম সহ ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ...

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: গ্রীষ্মকালে শহরাঞ্চলে জলস্তর কমে যাওয়ায় ৬১২টি জলের ট্যাঙ্কার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর দপ্তর। কিন্তু ভোটের মুখেই এই কেনার চেষ্টা কেন, তার ব্যাখ্যা ...

সংবাদদাতা, দার্জিলিং: পাহাড়ে প্রচারে এগিয়ে গিয়েছেন মোর্চা সমর্থিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমর সিং রাই। তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। পাহাড়ের ভূমিপুত্র হিসাবে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছেন পাহাড়বাসী।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম
১৮৯৭ - নাট্যকার, অভিনেতা, সুরকার, বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার তুলসী লাহিড়ীর জন্ম
১৯২০- সেতার বাদক পণ্ডিত রবিশংকরের জন্ম
১৯৪২- অভিনেতা জিতেন্দ্রর জন্ম
১৯৪৭ - মার্কিন মোটরযান উৎপাদক হেনরি ফোর্ডের মৃত্যু
১৯৪৮ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪- অভিনেতা, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার তথা মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৩৩ টাকা ৭০.০২ টাকা
পাউন্ড ৮৮.৯০ টাকা ৯২.১৫ টাকা
ইউরো ৭৬.১৫ টাকা ৭৯.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
06th  April, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২, ১৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৫৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৯৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭ ৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ২৬/২৩ অপঃ ৪/২। অশ্বিনী ৮/৯ দিবা ৮/৪৪। সূ উ ৫/২৮/২৭, অ ৫/৪৯/৫৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬ গতে ১/১২ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩৩ মধ্যে।
২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩/১৮/৫। অশ্বিনীনক্ষত্র ৮/১৮/৪৯, সূ উ ৫/২৮/৭, অ ৫/৪৯/২৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৭/৩২ থেকে ৯/৩৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২/৩৬ থেকে ৮/৫৫/৪৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬/৭ থেকে ১১/৩৮/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩৮/৪৭ থেকে ১/১১/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৬/৭ থেকে ২/৩৩/২৭ মধ্যে।
 ১ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মে উন্নতির যোগ আছে। বৃষ: গৃহ সংস্কার যোগ আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম১৮৯৭ - নাট্যকার, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারাল কেকেআর

10:56:29 PM

কেকেআরকে ১৪০ রানের টার্গেট দিল রাজস্থান রয়্যালস 

09:37:13 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ৫৬/১ (১০ ওভার) 

08:47:03 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ২৮/১ (৬ ওভার) 

08:29:29 PM