Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোট ২০১৯: মমতার নজিরবিহীন উন্নয়নই সব অভিযোগের জবাব দেবে 
শুভা দত্ত

এ রাজ্যের বিরোধীরা কী ভাবছেন জানি না, তবে জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে অন্যতম প্রধান মুখ তাতে সন্দেহ নেই। শুধু প্রধান মুখই নয়, বাংলা সমেত দেশের অন্যান্য রাজ্যের মোদি-বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশ তাঁকে দিল্লির মসনদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চাইছেন। সেই সূত্রে দেশের প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখার স্বপ্নটিও বাঙালিমনে দিন দিন প্রকটতর হচ্ছে। এবং সঙ্গত কারণেই, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মোদি-বিরোধী প্রচারে মধ্যমণি হতে ডাক আসছে তাঁর। চন্দ্রবাবু নাইডুর হয়ে প্রচারে আজ তিনি বিশাখাপত্তনমে। নামে চন্দ্রবাবুর প্রচার হলেও আসলে মোদি-বিরোধী জাতীয় জোটের ঐক্যবদ্ধ রূপ তুলে ধরতে এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে প্রচারের ঝাঁঝ বাড়তেই বিশাখাপত্তনমের ওই সমাবেশের আয়োজন করেছেন অন্ধ্র-নেতা। ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা আরজেডির তেজস্বী যাদব, দিল্লির আপ মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল, দেবেগৌড়া, শরদ যাদব, যশোবন্ত সিং, অরুণ শৌরি—নক্ষত্রখচিত ওই সমাবেশে মোদি-বিরোধী জেহাদ আরও জোরালো আরও ব্যাপক করে তুলতে যে প্রধান ভূমিকায় মমতাকেই দেখা যাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
তার কারণ, সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস জোটই বলুন কি ইউনাইটেড ইন্ডিয়া—নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সব দিক থেকে সমানে সমানে দাঁড়াতে পারে এবং একটা ধুন্ধুমার লড়াইয়ের প্রত্যাশা জাগাতে পারে—এমন মুখ একপ্রকার বিরলই বলা চলে। মোদি-বিরোধী শিবিরের প্রথম সারির নেতানেত্রীদের অনেকেরই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং ভোটযুদ্ধের কলাকৌশলে দক্ষতা আছে সন্দেহ নেই। চন্দ্রবাবু, শরদ যাদব, দেবেগৌড়া, অখিলেশ, ফারুক আবদুল্লা, মায়াবতী, কেজরিওয়াল— এঁদের কারও রাজনৈতিক দক্ষতা যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। কংগ্রেস শিবিরে রাহুল গান্ধীও এখন অনেক পরিণত এবং তাঁর জনপ্রিয়তাও ক্রমবর্ধমান। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ‘মুখের মিলে’র সৌজন্যে তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কাও ভোট ময়দানে নেমেই উত্তরপ্রদেশে ‘ঝড়’ তুলেছেন। অবশ্য সে ঝড় ভোটবাক্স অব্দি কতটা গড়াবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের একাংশে যথেষ্ট সংশয় আছে।
মোদ্দা কথা, দেশে যোগ্য রাজনীতিকের অভাব নেই, তাঁদের অনেকের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাও আছে যথেষ্ট। কিন্তু, আসমুদ্রহিমাচল একটা জন-আবেগ গণজাগরণ ঘটানোর ক্ষমতা তাঁদের আছে কার? এঁদের প্রত্যেককে গোটা ভারত চেনে। কংগ্রেস ও তার মহান নেতানেত্রীদের ঐতিহ্য রাহুল গান্ধীকে বাড়তি মাইলেজও দিচ্ছে নিশ্চয়ই। দেশে শেষ পাঁচ বিধানসভার ভোটফলে পদ্মদলের খারাপ রেজাল্টের পর রাহুলজি ও তাঁর দল কংগ্রেস হয়তো অতিরিক্ত কিছু অক্সিজেনও পেয়েছেন। তবে, তথ্যভিজ্ঞরা বলছেন—পুলওয়ামা-কাণ্ডের বদলা হিসেবে সার্জিকাল স্ট্রাইক-টু, লন্ডনে ঋণখেলাপে অভিযুক্ত নীরব মোদির গ্রেপ্তার এবং সর্বশেষ উপগ্রহ ধ্বংসের ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের মতো ঘটনাগুলোকে হাতিয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভোটযুদ্ধের আগেই মনস্তাত্ত্বিক দিক দিয়ে তাঁর বিরোধীদের পিছনে ফেলে দিতে চাইছেন। নির্বাচনী সভা সমাবেশের বক্তৃতায় প্রতিটি ঘটনাকে তাঁর সরকারের এক একটি ‘মহাসাফল্য’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন। এই মহাসাফল্যের বাণী সাধারণ দেশজনতার মনে নোটবন্দি-জিএসটির যন্ত্রণা ছাপিয়ে উঠে ভোটযুদ্ধে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের অনেকেই। স্বচ্ছ দুর্নীতিমুক্ত ভারত, দু কোটি চাকরি, গরিবের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ করে টাকা জমার মতো লোভনীয় স্বপ্নময় সব প্রতিশ্রুতিভঙ্গের ব্যথা হতাশা ভুলিয়ে দিয়ে এই ভোট-মরশুমে জনমনের একাংশে ফের একবার মোদিজির ভাবমূর্তির পুনর্মূল্যায়নের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে পারে।
রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞদের মতে, মুখে যে যাই বলুন, কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কাই হোন কি অন্য বিরোধী নেতানেত্রী কেউই এই জায়গাটায় মোদিজির সঙ্গে ঠিকঠাক এঁটে উঠতে পারছেন না। এবং এখানেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজনীয়তা ও সহযোগ অপরিহার্য হয়ে উঠছে। তাঁর লড়াকু অতীত, বাংলার বুক থেকে সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেদের ৩৪ বছরের অপশাসন নাশ করে নতুন বাংলা গড়ার উদ্যোগ ও তাতে বিশ্বমঞ্চে কন্যাশ্রীর মতো ঐতিহাসিক সব সাফল্য, মোদিরাজের নানা কাণ্ডের প্রতিবাদে তাঁর অনমনীয় দৃঢ়তা অকুতোভয় পদক্ষেপ এবং সর্বোপরি বাংলার মা-মাটি-মানুষের সুখেদুঃখে আনন্দে-উৎসবে সংকটে-বিপর্যয়ে সারাক্ষণ সর্বতোভাবে পাশে থাকার সুনাম তাঁকে কেবল বাংলায় নয়, গোটা দেশে আজ কার্যত একটি জীবন্ত ‘মিথ’, প্রতিবাদের একটি অনন্য প্রতীকে পরিণত করেছে। দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের মতো একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তাই কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, গুজরাত থেকে অরুণাচল দেশজনতার মহলে মমতার খ্যাতি ও গ্রহণযোগ্যতা আজ প্রশ্নাতীত। বিশেষ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে দেশের মানুষ আজ তাঁকেই দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেন। অন্তত, বিভিন্ন রাজ্যের বেশ কয়েকজন বন্ধুর কথায় তেমনটাই মনে হয়েছে। বলতে কী, ওই লড়াকু প্রতিবাদী সৎ ভাবমূর্তি এবং দেশজনতার সর্বস্তরে এই গ্রহণযোগ্যতার জন্যই মোদিজির বিরুদ্ধে তাঁকেই নেতৃত্বে চাইছে বিরোধী জোট। কংগ্রেস হয়তো
এক্ষেত্রে কিছুটা দ্বিধায়, আর তাই হয়তো বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ প্রসঙ্গে অনেক আগেই রাহুলজি জানিয়ে দিয়েছিলেন—ভোটের ফল দেখে সেটা ঠিক হবে!
তবে, কংগ্রেস দ্বিধায় থাকলেও বাদবাকি জোটে মমতাই যে মধ্যমণি তাতে সন্দেহ নেই। বিশাখাপত্তনমে আজকের সভা থেকেই সেটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই আমাদের ধারণা। এবং জাতীয় স্তরে তাঁর এই অগ্রগণ্য অবস্থান যে এ রাজ্যের বিরোধীদের রীতিমতো শঙ্কিত করে তুলেছে তা তাঁদের রাজনৈতিক আচার-আচরণেই স্পষ্ট। এ রাজ্যের সিপিএম কংগ্রেস বিজেপি সকলেরই রাজনৈতিক আক্রমণের এক এবং অদ্বিতীয় লক্ষ্য মমতা। দেশ রাজনীতির জাতীয় স্তরে মোদি-বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবচেয়ে প্রভাবশালী মুখ হওয়া সত্ত্বেও বাংলার ভোটযুদ্ধের ময়দানে প্রধান চাঁদমারি হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে যেদিক থেকে পারছেন তাঁকে লক্ষ্য করে দিবারাত্র এন্তার অভিযোগ আর কুৎসার বিষতির ছুঁড়ে চলেছেন!
সে আক্রমণ যে সবসময় রাজনৈতিক থাকছে এমনও নয়। অনেক সময়ই তা নেমে যাচ্ছে একেবারে ব্যক্তিগত স্তরে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার পরিজনের দিকেও! যাঁরা সারাক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার রাজনৈতিক সৌজন্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এইসব আক্রমণের সময় তাঁদের সে তালজ্ঞান কতটা থাকছে তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। আমরা সেসবের উত্তর খুঁজতে যাচ্ছি না। সেসবের উত্তর সময়ই দেবে। তবে, মজার কথাটা এই যে, রাজ্যের মমতাবিরোধী দলগুলোর দিল্লি নেতারাও ভোট প্রচারে এসে একই কাণ্ড করছেন! কিছুদিন আগে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী রাজ্যে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং তাঁর দলের কাজকর্ম নিয়ে এক দঙ্গল অভিযোগ করে গেলেন। তৃণমূলে নবাগত মৌসম বেনজির নুর সম্পর্কেও কিছু বাঁকা কথা বললেন। মৌসমের অপরাধ, নানা কারণে বীতশ্রদ্ধ হয়ে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে মমতার দলে যোগ দিয়েছেন এবং প্রার্থী হয়েছেন। অথচ, এবারের ভোটে এমন দলবদলের ঘটনা অনেক ঘটেছে। তৃণমূলে বর্জিত বা গুরুত্ব হারানো বেশ কয়েকজন গেরুয়া শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই বিজেপির প্রার্থীও হয়েছেন। হতেই পারেন। যাঁর যেমন রুচি। তাতে বলার কী আছে? রাহুলজি কিন্তু যতদূর মনে পড়ছে বিজেপিতে নবাগতদের নিয়ে তেমন কোনও মন্তব্য করেননি! মৌসমকে নিয়ে করেছেন! কারণটা বলা বাহুল্য। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও একইভাবে মমতাকে রাজনৈতিক আক্রমণ করে চলেছেন!
আর প্রধানমন্ত্রী মোদিজির তো কথাই নেই। উঠতে বসতে ‘মমতাদিদি...’ হেঁকে অভিযোগের পাহাড় খাড়া করে দিচ্ছেন। সেটা অবশ্য অস্বাভাবিক নয়। তার কারণ, গেরুয়া শিবিরের সুপ্রিমো নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন— জাতীয় স্তরে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ মমতাই। বিরোধী জোটের প্রধান চালিকাশক্তিও মমতা। তাঁকে ঘায়েল করতে না পারলে লোকসভা-যুদ্ধে মুশকিল হতে পারে। সে জন্য মূল যুদ্ধের বেশ খানিকটা আগে থেকেই বাণ শানানো শুরু করে দিয়েছেন মোদিজি। রাহুলকে ছোট ছেলে বলে রেয়াত করলেও মমতা ক্ষেত্রবিশেষে মোদিজি অমিত শাহের মন্তব্যের পাল্টা দিচ্ছেন। কিন্তু, কে না জানেন—মমতার মূল জবাব মুখে নেই। আছে তাঁর নিষ্ঠায়, কাজে। সিপিএমের ফেলে যাওয়া মৃতপ্রায় বাংলাকে মাত্র কয়েক বছরে যিনি উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে বিশ্ববাংলায় উত্তীর্ণ করে দিতে পারেন—সামান্য কটা রাজনৈতিক অভিযোগে তাঁর কি সত্যিই কিছু এসে যায়? পথেঘাটে মানুষজন কী বলছেন জানেন, বলছেন— মমতার নজিরবিহীন উন্নয়নই বিরোধীদের সব অভিযোগের জবাব দেবে। দেখা যাক। ২৩ মে তো খুব দূরে নয়। 
31st  March, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

তাহলে কি মহাকাশে যুদ্ধ আসন্ন?
মৃণালকান্তি দাস

 ভোটকে কেন্দ্র করে ভারতের মাটিতে রাজনীতি যাই হোক না কেন, আসলে মহাকাশ এখন এক নতুন রণাঙ্গন। রাজনৈতিক স্বার্থে ভোটের মুখে কেউ কেউ বলছেন, ‘মিশন শক্তি’-র সাফল্য মানে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে আরও একবার সমঝে দেওয়া গেল।
বিশদ

ইস্কুল স্ট্রাইক করা এক আশ্চর্য ষোড়শীর গল্প 
অতনু বিশ্বাস

এটা একটা স্কুলের মেয়ের গল্প। তার ভয়, অবসাদ, দৃঢ়তা আর সংগ্রামের গল্প, তার সংকল্পের কথকতা। কেবলমাত্র ইস্কুল পালিয়ে, থুড়ি, ইস্কুল স্ট্রাইক করে, মানে একেবারে বলে-কয়ে ইস্কুল না গিয়ে, পনের-ষোল বছরের মেয়েটি চলে এসেছে পৃথিবীর খবরের শিরোনামে।   বিশদ

06th  April, 2019
শেষ লিডার?
সমৃদ্ধ দত্ত

 ধরা যাক আমেদাবাদের কোনও কফিশপের আড্ডায় রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য ধরে ধরে নেতানেত্রীদের সম্পর্কে, ভোট নিয়ে, ইমেজ নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনা চলছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কজন নেতানেত্রীর নাম উচ্চারিত হবে? একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রশংসাও করা হতে পারে।
বিশদ

05th  April, 2019
এই ভোটে ইয়ং ভোটারদের অভিমুখ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

এবারের লোকসভা নির্বাচনে দেশের ৯০ কোটি ভোটদাতার মধ্যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ভোটার প্রথমবার ভোট দেবেন। যাদের বয়স ১৮-১৯ বছরের মধ্যে, যা দেশের মোট ভোটদাতার ১.৬৬ শতাংশ। গত লোকসভা নির্বাচনে ৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ১৮-১৯ বছর বয়স্ক ভোটার সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩০ লক্ষ, যা মোট ভোটারের ২.৮৮ শতাংশ।
বিশদ

04th  April, 2019
মানব পাচার রুখতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
লড়ছে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্যাটি হফম্যান

 ‘রাষ্ট্র মানেই ম্যাপে বাঁধা আমার দিগন্ত...।’ রাষ্ট্র বললেই চোখে ভেসে ওঠে এমনই সব কথা। কিন্তু রাষ্ট্রের ভাবনায় কি অপরাধকে বাধা যায়! সীমান্তের বেড়াজালে থমকে থাকে না অপরাধ। চুঁইয়ে পড়ে। আইন-নিরাপত্তার ফস্কা গেরোর মধ্যে দিয়ে চোরাস্রোতের মতো এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে অপরাধের শিকড়। অপরাধের এই তালিকা ঘাঁটতে গেলে প্রথমেই উঠে আসে যে নাম, তা হল মানব পাচার।
বিশদ

04th  April, 2019
অমিত শাহদের এই দল ভাঙানো প্রার্থী তালিকা
দিয়ে আরএসএস কেমন সোনার বাংলা গড়বে?
হিমাংশু সিংহ

সিপিএমের ৩৪ বছর দেখেছি। সফল অপারেশন বর্গা থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধদেববাবুর অহেতুক দুঃস্বপ্নের ধ্বংসলীলা পর্যন্ত। এখন তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য ৮ বছরের শাসনকাল দেখছি। চতুর্দিকে উন্নয়ন আর অনুপ্রেরণার লহর।  বিশদ

02nd  April, 2019
হত দরিদ্রদের জন‌্য ‘ন‌্যায়’
পি চিদম্বরম

অবশেষে একটি রাজনৈতিক দল ‘বুলেট’-এ কামড় দেওয়ার সাহস পেয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা বিষয়টিকে চেপে রেখেছিলাম, নীতিগত বিতর্কের মোকাবিলা এড়িয়ে গিয়েছি, এবং দারিদ্র দূরীকরণের মৌলিক পদক্ষেপ করার অনীহার পিছনে পুরনো অজুহাত খাড়া করেছি।
বিশদ

01st  April, 2019
এবারেও মহিলা ও সংখ্যালঘু ভোটারদের
সমর্থন কেন মমতার পক্ষে থাকতে পারে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের ৬,৯৭,৬০,৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৩৯,৭৫,৯৭৯ জন। ২০০৯-র লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের প্রবণতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি স্পষ্ট ঝোঁক লক্ষ করা গেছে। ওই সময় থেকে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের ভোটদানের প্রবণতাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ব্যাপক সমর্থন বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশদ

30th  March, 2019
এবার ভোটে সোশ্যাল মাধ্যম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সোশ্যাল মিডিয়া আর শুধুই সামাজিক নেই, রাজনৈতিক হয়ে গিয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার হ্যান্ডলে চলছে ভোটের প্রচার। দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ফ্যান ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে। এটা সাদা চোখে দেখা যায়। যা নজরে আসে না তা হল, নিঃশব্দ প্রচার...। হোয়াটসঅ্যাপে। মাথা ভারী দলগুলির তো বটেই, ছোটখাটো রাজনৈতিক পার্টিরাও এখন রীতিমতো সাইবার সেল তৈরি করে ফেলেছে। সেই শাখাটি নিয়মিত রিসার্চ চালাচ্ছে... ধর্ম, জাত, স্টেটাস অনুযায়ী ভোটার খুঁজে বের করছে। তারপর তাদের আলাদা আলাদা ক্যাটিগরিতে ভাগ করে চলছে গোছগাছ।
বিশদ

29th  March, 2019
মহারণ ২০১৯: রণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

থাকবে। অবশ্যই থাকবে। অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। রণহুংকার না থাকলে রণক্ষেত্র কীসের! রণহুংকার রণদামামাই তো রণক্ষেত্রের গৌরব গুরুত্বের আসল মাপকাঠি, যুযুধান পক্ষগুলির শক্তি সামর্থ্যের পরিচায়ক।
বিশদ

28th  March, 2019
ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।
বিশদ

26th  March, 2019
একনজরে
 ইসলামাবাদ, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার তুলে নিলে, তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবনাগুলিকে লঙ্ঘন করার শামিল হবে। তাই পাকিস্তান এটা কখনওই মেনে নেবে না। ইসলামাবাদে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ...

 কুয়ালালামপুর, ৬ এপ্রিল: দেশের প্রথম সারির আই লিগ ক্লাবগুলির অস্তিত্ব নিয়ে যখন ভারতীয় ফুটবলের আকাশে ধোঁয়াশা ও বিবিধ প্রশ্ন উঠছে, তখনই অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ...

সংবাদদাতা, দার্জিলিং: পাহাড়ে প্রচারে এগিয়ে গিয়েছেন মোর্চা সমর্থিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমর সিং রাই। তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। পাহাড়ের ভূমিপুত্র হিসাবে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছেন পাহাড়বাসী।   ...

শ্রীনগর, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানা এবং সীমান্তে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম
১৮৯৭ - নাট্যকার, অভিনেতা, সুরকার, বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার তুলসী লাহিড়ীর জন্ম
১৯২০- সেতার বাদক পণ্ডিত রবিশংকরের জন্ম
১৯৪২- অভিনেতা জিতেন্দ্রর জন্ম
১৯৪৭ - মার্কিন মোটরযান উৎপাদক হেনরি ফোর্ডের মৃত্যু
১৯৪৮ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪- অভিনেতা, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার তথা মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৩৩ টাকা ৭০.০২ টাকা
পাউন্ড ৮৮.৯০ টাকা ৯২.১৫ টাকা
ইউরো ৭৬.১৫ টাকা ৭৯.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
06th  April, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২, ১৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৫৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৯৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭ ৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ২৬/২৩ অপঃ ৪/২। অশ্বিনী ৮/৯ দিবা ৮/৪৪। সূ উ ৫/২৮/২৭, অ ৫/৪৯/৫৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬ গতে ১/১২ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩৩ মধ্যে।
২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩/১৮/৫। অশ্বিনীনক্ষত্র ৮/১৮/৪৯, সূ উ ৫/২৮/৭, অ ৫/৪৯/২৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৭/৩২ থেকে ৯/৩৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২/৩৬ থেকে ৮/৫৫/৪৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬/৭ থেকে ১১/৩৮/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩৮/৪৭ থেকে ১/১১/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৬/৭ থেকে ২/৩৩/২৭ মধ্যে।
 ১ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মে উন্নতির যোগ আছে। বৃষ: গৃহ সংস্কার যোগ আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম১৮৯৭ - নাট্যকার, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারাল কেকেআর

10:56:29 PM

কেকেআরকে ১৪০ রানের টার্গেট দিল রাজস্থান রয়্যালস 

09:37:13 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ৫৬/১ (১০ ওভার) 

08:47:03 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ২৮/১ (৬ ওভার) 

08:29:29 PM