Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এবারেও মহিলা ও সংখ্যালঘু ভোটারদের
সমর্থন কেন মমতার পক্ষে থাকতে পারে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের ৬,৯৭,৬০,৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৩৯,৭৫,৯৭৯ জন। ২০০৯-র লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের প্রবণতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি স্পষ্ট ঝোঁক লক্ষ করা গেছে। ওই সময় থেকে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের ভোটদানের প্রবণতাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ব্যাপক সমর্থন বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। এই দুই বর্গের ভোটারদের সমর্থন তৃণমূলকে নির্বাচনী রাজনীতিতে অনেকটাই এগিয়ে রেখেছে। এই সমর্থনের ভিত্তি কি কেবলমাত্র রাজনীতির সমীকরণের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে? নাকি এই সমর্থনের ভিত্তি রচিত হয়েছে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের ফলস্বরূপ? মহিলা ও সংখ্যালঘু মানুষের সমর্থন বারবার মমতার পক্ষে যাচ্ছে কেন?
মহিলাদের উন্নয়নে একের পর এক কর্মসূচি রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে। স্থানীয় সরকারের ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা, কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের পঠনপাঠনে উৎসাহিত করা, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী বা আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সরকারের প্রতি সাধারণ মহিলাদের আগ্রহ বেড়েছে বলা যায়। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাম আমলে ২৫ শতাংশ মহিলাও যুক্ত ছিলেন না। আজ ওই প্রকল্পে মোট শ্রমিকের প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি মহিলা। কন্যাশ্রী প্রকল্প বালিকাদের স্কুলে ভর্তি হতে যেমন উৎসাহিত করেছে, তেমনি উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কন্যাশ্রীর ভূমিকা বিরাট। একাধিক গবেষণায় (রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির গবেষণায়) ধরা পড়েছে রাজ্যের বালিকা বিবাহের হার ২০১১-র সালের তুলনায় প্রায় ৯.৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমান সময়ে পারিবারিক আয়ের মাপকাঠি এই প্রকল্পের উপভোক্তা নির্বাচনে সরিয়ে দেওয়ায় সমাজের সমস্ত মেয়েই আজ এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১৮ বছর পর্যন্ত অবিবাহিত থাকলে ২৫ হাজার টাকা এককালীন মেয়েরা পাচ্ছে। একাধিক গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে এর ফলে রাজ্যে মেয়েদের বিবাহের গড় বয়স বেড়েছে। স্কুলে মেয়েদের শিক্ষা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। ‘কন্যাশ্রী-৩’ চালু হওয়ায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। এমন একাধিক প্রকল্পের মহিলা উপভোক্তারা যে রাজ্যে বর্তমান শাসক দলকে সমর্থন করবে সেটাই স্বাভাবিক বিষয়। যদিও উন্নয়নের সমস্ত বিষয় যে সুখকর হচ্ছে তা নয়। প্রকল্পগুলি পরিচালনা করতে গিয়ে দুর্নীতি, প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষও জন্ম নিচ্ছে। তবে সে অসন্তোষ এই নির্বাচনে বড় কোনও প্রভাব ফেলবে এমন ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। এবার আসা যাক সংখ্যালঘু ভোটারদের কথায়।
৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪১৮টি কেন্দ্রে মুসলিম ভোটার সংখ্যা ১৫ শতাংশের নীচে। ৮৬টি লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ১৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে। ২৪টি লোকসভায় মুসলমান ভোটারের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশ। ৪৫ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছে ১৫টি লোকসভা কেন্দ্রে।
দ্বিতীয়বার দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহরা পাখির চোখ করেছে পশ্চিমবঙ্গকে। কিন্তু এ রাজ্যে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারের কত শতাংশের সমর্থন বিজেপির পক্ষে যেতে পারে সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। বিগত কয়েকটি লোকসভায় বা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট নির্দেশ করেছে যে রাজ্য-রাজনীতিতে বিজেপির উত্থানের ফলে বাম কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকা সংখ্যালঘু ভোটারও বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। উলুবেড়িয়া লোকসভা থেকে মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের বুথভিত্তিক ফলাফল স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, প্রতি ১০০ জন সংখ্যালঘু ভোটারের মধ্যে ৮০ জন সংখ্যালঘু ভোটার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়েছে। নির্বাচন পর্বে যে সমস্ত জনমত সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে সেই সমীক্ষাগুলিতেও শতকরা ৮৫ ভাগ সংখ্যালঘু মানুষের সমর্থন তৃণমূলের পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছে। রাজ্যে ৬,৯৭,৬০,৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছে। রাজ্যে ২৮টি লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারের সমর্থন না মিললে একটি দলের পক্ষে সেই সমস্ত আসন জেতা কতটুকু সম্ভব তার উত্তর ২৩ মে ভোট গণনার পর বোঝা যাবে। আপাত যে প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ তা হল শাসক দলের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থনের ভিত্তি কী? বাম-কংগ্রেস শিবির থেকে রাজ্যের শাসক দল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ করা হচ্ছে। বিজেপি আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের তোষণের অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু বাস্তবে তৃণমূল সরকারের সংখ্যালঘু সমর্থনের ভিত্তির পিছনে লুকিয়ে রয়েছে এই সম্প্রদায়ের প্রতি তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বেশ কিছু ইতিবাচক কাজ। যার ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মূল সামাজিক রাজনৈতিক ধারায় ক্রমশ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা মূলত যে দুটি বিষয়কে মাথায় রেখে কোনও দলকে সমর্থন বা বর্জন করে সেগুলি হল—
(ক) সেই সম্প্রদায়ের পরিচয়সত্তা রক্ষায় দল কতটুকু আন্তরিক।
(খ) সংখ্যালঘু উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা কী।
বাম আমলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর বাদে (যেখানে মুসলমানরা জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ) নন্দীগ্রাম ঘটনার আগে পর্যন্ত রাজ্যের সর্বত্র প্রতিটি নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা বামেদের সমর্থন করে আসছিল। রাজ্যের ১২৫টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রে বামেদের দখলে সর্বদা থাকত গড়ে ৭৫ থেকে ৮০টি আসন। ২০১১-র নির্বাচনে এই সমীকরণের পরিবর্তন ঘটে। সেবার তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোট সংখ্যালঘু ১২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯১টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে জোট হলেও তৃণমূল একাই ১২৫টি আসনের মধ্যে ৮৫টি আসন পেয়েছিল। ২০১৬ বিধানসভায় মুর্শিদাবাদ সমেত উত্তরবঙ্গের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৪৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৪৮.৪২ শতাংশ থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু এই কেন্দ্রগুলিতে ১০ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৯টি কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৯.৫০ শতাংশ। যেখানে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৮.৬৫ শতাংশ। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ওই ৭৯টি কেন্দ্রে মাত্র ৮.৭৫ শতাংশ। পরবর্তী সময় উপনির্বাচনগুলির ফলাফল স্পষ্ট ইঙ্গিত করছে বাম এবং কংগ্রেস শিবির থেকে অনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটার নিজ নিজ দল ত্যাগ করে বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের এই তৃণমূলের প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের ভিত্তি শুধুই কি পরিচয়সত্তার রাজনীতির নিরিখে বা মেরুকরণের রাজনীতির নিরিখে বিচার করা যায়? নাকি বর্তমান রাজ্য সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগও রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষকে এই দলের প্রতি আরও বেশি করে টেনে এনেছে। এমনই কয়েকটি সামাজিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের ইতিবাচক ফল বিভিন্ন সমীক্ষার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সম্প্রতি সংখ্যালঘু মানুষের আর্থসামাজিক জীবনে সরকারি প্রকল্পের প্রভাব ক্ষেত্র সমীক্ষার মাধ্যমে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই সমীক্ষায় দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায় সংখ্যালঘুপ্রধান এলাকা যেমন অন্তর্ভুক্ত ছিল, তেমনি দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া এবং নদীয়ার মতো জেলাগুলিও সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সরকারি প্রতিবেদন এবং সমীক্ষার ফল দুটিকে পাশাপাশি রাখলে এ কথা স্পষ্ট করে বলা যায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিগত ৮ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের কিছু গুণগত এবং পরিমাণগত পার্থক্য এসেছে।
বাম শাসনের শেষ বছর ২০১০-১১-র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশুদের স্কুলে ভর্তির সংখ্যা ছিল শতকরা ৫০ ভাগ। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে সংখ্যালঘু পরিবারের প্রতি ১০০টি শিশুর মধ্যে স্কুলে নথিভুক্ত হয়েছে ৯৮ জন শিশু। এক্ষেত্রে সর্বশিক্ষা অভিযান মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১১-র জনগণনা অনুসারে রাজ্যের প্রতি ১০০ জন সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে ৫৯ জন সাক্ষর ছিলেন। ক্ষেত্র সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে ২০১৭-১৮-র শিক্ষাবর্ষে সাক্ষরতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭১ শতাংশ। বামফ্রন্টের শেষ বছর স্নাতক স্তরে রাজ্যের ১০০ জন পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ৪.৫০ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ২০১৭-১৮-র শিক্ষাবর্ষে তা ২২ শতাংশের উপরে পৌঁছায়। এক্ষেত্রে তৃণমূল ক্ষমতায় এসে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওবিসিদের জন্য যে ১৭ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে, তার মধ্যে ওবিসি-এ শ্রেণীর জন্য ১০ শতাংশ ছিল মূলত সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য। বাম শাসনের শেষ বছর সরকারি চাকুরিতে মাত্র ২.৪০ শতাংশ কর্মী ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এই কয়েক বছরে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৭৮ শতাংশ। এক্ষেত্রেও চাকরিতে ১০ শতাংশ ওবিসি-এ শ্রেণীতে সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ আছে স্থায়ী চাকরি সৃষ্টি করা এবং কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি দমন করতে তৃণমূল সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ২০১০-১১ সালে ১৭ শতাংশের মতো প্রতিনিধি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। পঞ্চায়েত ক্ষেত্রেও ওবিসি-এ শ্রেণীর সংরক্ষণের ফলে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে ১৭ থেকে প্রায় ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। ব্যাঙ্ক ঋণ প্রাপকদের সংখ্যা ২০১০-১১ সালে সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে ছিল মাত্র ১৪.৭৬ শতাংশ। সমীক্ষার ফল বলছে ব্যাঙ্ক ঋণ গ্রাহকদের মধ্যে সংখ্যালঘু গ্রাহকদের সংখ্যা ১৪ থেকে বেড়ে ২১ শতাংশে পৌঁছেছে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ২০১০-২০১১ বর্ষে প্রতি ১০০ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৭ জন ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতি ১০০ জন সদস্যের মধ্যে ২০১০-১১ বর্ষে ২১ জন ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ২০১৭-২০১৮ বর্ষে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জন। তবে সমীক্ষার ফলের নিরিখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি অনেকেই কৃষিজমি বিক্রি করেছেন। এক্ষেত্রে জমি হাঙরদের ভূমিকা নিয়ে সরকারের সতর্ক থাকা প্রয়োজন রয়েছে। আবার বহু গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি কৃষিজমি বিক্রি করে শহর বা ভিন্ন রাজ্যে কাজের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন।
এই সমস্ত তথ্য স্পষ্ট ইঙ্গিত করে রাজনৈতিক সমীকরণ ছাড়াও উন্নয়নের সমীকরণের জোরে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বৃহৎ অংশের সমর্থন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রয়েছে। জেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে প্রশ্নচিহ্ন থাকলেও তাদের মন জয় করতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও গঠনাত্মক প্রয়াস নিতে দেখা যায়নি। এই অবস্থায় পরিচয়সত্তার রাজনীতির পাশাপাশি উন্নয়নের প্রভাবে রাজ্যের ২৮টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস যে এগিয়ে থাকবে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।
 লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
30th  March, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

তাহলে কি মহাকাশে যুদ্ধ আসন্ন?
মৃণালকান্তি দাস

 ভোটকে কেন্দ্র করে ভারতের মাটিতে রাজনীতি যাই হোক না কেন, আসলে মহাকাশ এখন এক নতুন রণাঙ্গন। রাজনৈতিক স্বার্থে ভোটের মুখে কেউ কেউ বলছেন, ‘মিশন শক্তি’-র সাফল্য মানে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে আরও একবার সমঝে দেওয়া গেল।
বিশদ

ইস্কুল স্ট্রাইক করা এক আশ্চর্য ষোড়শীর গল্প 
অতনু বিশ্বাস

এটা একটা স্কুলের মেয়ের গল্প। তার ভয়, অবসাদ, দৃঢ়তা আর সংগ্রামের গল্প, তার সংকল্পের কথকতা। কেবলমাত্র ইস্কুল পালিয়ে, থুড়ি, ইস্কুল স্ট্রাইক করে, মানে একেবারে বলে-কয়ে ইস্কুল না গিয়ে, পনের-ষোল বছরের মেয়েটি চলে এসেছে পৃথিবীর খবরের শিরোনামে।   বিশদ

06th  April, 2019
শেষ লিডার?
সমৃদ্ধ দত্ত

 ধরা যাক আমেদাবাদের কোনও কফিশপের আড্ডায় রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য ধরে ধরে নেতানেত্রীদের সম্পর্কে, ভোট নিয়ে, ইমেজ নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনা চলছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কজন নেতানেত্রীর নাম উচ্চারিত হবে? একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রশংসাও করা হতে পারে।
বিশদ

05th  April, 2019
এই ভোটে ইয়ং ভোটারদের অভিমুখ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

এবারের লোকসভা নির্বাচনে দেশের ৯০ কোটি ভোটদাতার মধ্যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ভোটার প্রথমবার ভোট দেবেন। যাদের বয়স ১৮-১৯ বছরের মধ্যে, যা দেশের মোট ভোটদাতার ১.৬৬ শতাংশ। গত লোকসভা নির্বাচনে ৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ১৮-১৯ বছর বয়স্ক ভোটার সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩০ লক্ষ, যা মোট ভোটারের ২.৮৮ শতাংশ।
বিশদ

04th  April, 2019
মানব পাচার রুখতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
লড়ছে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্যাটি হফম্যান

 ‘রাষ্ট্র মানেই ম্যাপে বাঁধা আমার দিগন্ত...।’ রাষ্ট্র বললেই চোখে ভেসে ওঠে এমনই সব কথা। কিন্তু রাষ্ট্রের ভাবনায় কি অপরাধকে বাধা যায়! সীমান্তের বেড়াজালে থমকে থাকে না অপরাধ। চুঁইয়ে পড়ে। আইন-নিরাপত্তার ফস্কা গেরোর মধ্যে দিয়ে চোরাস্রোতের মতো এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে অপরাধের শিকড়। অপরাধের এই তালিকা ঘাঁটতে গেলে প্রথমেই উঠে আসে যে নাম, তা হল মানব পাচার।
বিশদ

04th  April, 2019
অমিত শাহদের এই দল ভাঙানো প্রার্থী তালিকা
দিয়ে আরএসএস কেমন সোনার বাংলা গড়বে?
হিমাংশু সিংহ

সিপিএমের ৩৪ বছর দেখেছি। সফল অপারেশন বর্গা থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধদেববাবুর অহেতুক দুঃস্বপ্নের ধ্বংসলীলা পর্যন্ত। এখন তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য ৮ বছরের শাসনকাল দেখছি। চতুর্দিকে উন্নয়ন আর অনুপ্রেরণার লহর।  বিশদ

02nd  April, 2019
হত দরিদ্রদের জন‌্য ‘ন‌্যায়’
পি চিদম্বরম

অবশেষে একটি রাজনৈতিক দল ‘বুলেট’-এ কামড় দেওয়ার সাহস পেয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা বিষয়টিকে চেপে রেখেছিলাম, নীতিগত বিতর্কের মোকাবিলা এড়িয়ে গিয়েছি, এবং দারিদ্র দূরীকরণের মৌলিক পদক্ষেপ করার অনীহার পিছনে পুরনো অজুহাত খাড়া করেছি।
বিশদ

01st  April, 2019
ভোট ২০১৯: মমতার নজিরবিহীন উন্নয়নই সব অভিযোগের জবাব দেবে 
শুভা দত্ত

এ রাজ্যের বিরোধীরা কী ভাবছেন জানি না, তবে জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে অন্যতম প্রধান মুখ তাতে সন্দেহ নেই। শুধু প্রধান মুখই নয়, বাংলা সমেত দেশের অন্যান্য রাজ্যের মোদি-বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশ তাঁকে দিল্লির মসনদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চাইছেন।  
বিশদ

31st  March, 2019
এবার ভোটে সোশ্যাল মাধ্যম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সোশ্যাল মিডিয়া আর শুধুই সামাজিক নেই, রাজনৈতিক হয়ে গিয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার হ্যান্ডলে চলছে ভোটের প্রচার। দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ফ্যান ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে। এটা সাদা চোখে দেখা যায়। যা নজরে আসে না তা হল, নিঃশব্দ প্রচার...। হোয়াটসঅ্যাপে। মাথা ভারী দলগুলির তো বটেই, ছোটখাটো রাজনৈতিক পার্টিরাও এখন রীতিমতো সাইবার সেল তৈরি করে ফেলেছে। সেই শাখাটি নিয়মিত রিসার্চ চালাচ্ছে... ধর্ম, জাত, স্টেটাস অনুযায়ী ভোটার খুঁজে বের করছে। তারপর তাদের আলাদা আলাদা ক্যাটিগরিতে ভাগ করে চলছে গোছগাছ।
বিশদ

29th  March, 2019
মহারণ ২০১৯: রণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

থাকবে। অবশ্যই থাকবে। অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। রণহুংকার না থাকলে রণক্ষেত্র কীসের! রণহুংকার রণদামামাই তো রণক্ষেত্রের গৌরব গুরুত্বের আসল মাপকাঠি, যুযুধান পক্ষগুলির শক্তি সামর্থ্যের পরিচায়ক।
বিশদ

28th  March, 2019
ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।
বিশদ

26th  March, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, দার্জিলিং: পাহাড়ে প্রচারে এগিয়ে গিয়েছেন মোর্চা সমর্থিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমর সিং রাই। তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। পাহাড়ের ভূমিপুত্র হিসাবে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছেন পাহাড়বাসী।   ...

শ্রীনগর, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানা এবং সীমান্তে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরিবেশকর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের প্রথম সারির সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘রাজনৈতিক দলের কাছে পরিবেশ দূষণের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম সহ ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ...

 ইসলামাবাদ, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার তুলে নিলে, তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবনাগুলিকে লঙ্ঘন করার শামিল হবে। তাই পাকিস্তান এটা কখনওই মেনে নেবে না। ইসলামাবাদে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম
১৮৯৭ - নাট্যকার, অভিনেতা, সুরকার, বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার তুলসী লাহিড়ীর জন্ম
১৯২০- সেতার বাদক পণ্ডিত রবিশংকরের জন্ম
১৯৪২- অভিনেতা জিতেন্দ্রর জন্ম
১৯৪৭ - মার্কিন মোটরযান উৎপাদক হেনরি ফোর্ডের মৃত্যু
১৯৪৮ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪- অভিনেতা, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার তথা মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৩৩ টাকা ৭০.০২ টাকা
পাউন্ড ৮৮.৯০ টাকা ৯২.১৫ টাকা
ইউরো ৭৬.১৫ টাকা ৭৯.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
06th  April, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২, ১৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৫৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৯৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭ ৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ২৬/২৩ অপঃ ৪/২। অশ্বিনী ৮/৯ দিবা ৮/৪৪। সূ উ ৫/২৮/২৭, অ ৫/৪৯/৫৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬ গতে ১/১২ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩৩ মধ্যে।
২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩/১৮/৫। অশ্বিনীনক্ষত্র ৮/১৮/৪৯, সূ উ ৫/২৮/৭, অ ৫/৪৯/২৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৭/৩২ থেকে ৯/৩৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২/৩৬ থেকে ৮/৫৫/৪৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬/৭ থেকে ১১/৩৮/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩৮/৪৭ থেকে ১/১১/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৬/৭ থেকে ২/৩৩/২৭ মধ্যে।
 ১ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মে উন্নতির যোগ আছে। বৃষ: গৃহ সংস্কার যোগ আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম১৮৯৭ - নাট্যকার, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারাল কেকেআর

10:56:29 PM

কেকেআরকে ১৪০ রানের টার্গেট দিল রাজস্থান রয়্যালস 

09:37:13 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ৫৬/১ (১০ ওভার) 

08:47:03 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ২৮/১ (৬ ওভার) 

08:29:29 PM