কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
মহিলাদের উন্নয়নে একের পর এক কর্মসূচি রাজ্য সরকার গ্রহণ করেছে। স্থানীয় সরকারের ৫০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা, কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের পঠনপাঠনে উৎসাহিত করা, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী বা আনন্দধারা প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে সরকারের প্রতি সাধারণ মহিলাদের আগ্রহ বেড়েছে বলা যায়। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাম আমলে ২৫ শতাংশ মহিলাও যুক্ত ছিলেন না। আজ ওই প্রকল্পে মোট শ্রমিকের প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি মহিলা। কন্যাশ্রী প্রকল্প বালিকাদের স্কুলে ভর্তি হতে যেমন উৎসাহিত করেছে, তেমনি উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কন্যাশ্রীর ভূমিকা বিরাট। একাধিক গবেষণায় (রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডির গবেষণায়) ধরা পড়েছে রাজ্যের বালিকা বিবাহের হার ২০১১-র সালের তুলনায় প্রায় ৯.৪০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বর্তমান সময়ে পারিবারিক আয়ের মাপকাঠি এই প্রকল্পের উপভোক্তা নির্বাচনে সরিয়ে দেওয়ায় সমাজের সমস্ত মেয়েই আজ এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১৮ বছর পর্যন্ত অবিবাহিত থাকলে ২৫ হাজার টাকা এককালীন মেয়েরা পাচ্ছে। একাধিক গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে এর ফলে রাজ্যে মেয়েদের বিবাহের গড় বয়স বেড়েছে। স্কুলে মেয়েদের শিক্ষা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। ‘কন্যাশ্রী-৩’ চালু হওয়ায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। এমন একাধিক প্রকল্পের মহিলা উপভোক্তারা যে রাজ্যে বর্তমান শাসক দলকে সমর্থন করবে সেটাই স্বাভাবিক বিষয়। যদিও উন্নয়নের সমস্ত বিষয় যে সুখকর হচ্ছে তা নয়। প্রকল্পগুলি পরিচালনা করতে গিয়ে দুর্নীতি, প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা ও স্বচ্ছতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষও জন্ম নিচ্ছে। তবে সে অসন্তোষ এই নির্বাচনে বড় কোনও প্রভাব ফেলবে এমন ইঙ্গিত এখনও মেলেনি। এবার আসা যাক সংখ্যালঘু ভোটারদের কথায়।
৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪১৮টি কেন্দ্রে মুসলিম ভোটার সংখ্যা ১৫ শতাংশের নীচে। ৮৬টি লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম ভোটারের সংখ্যা ১৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে। ২৪টি লোকসভায় মুসলমান ভোটারের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪৫ শতাংশ। ৪৫ শতাংশ মুসলিম ভোটার রয়েছে ১৫টি লোকসভা কেন্দ্রে।
দ্বিতীয়বার দিল্লি দখলের লড়াইয়ে নরেন্দ্র মোদি অমিত শাহরা পাখির চোখ করেছে পশ্চিমবঙ্গকে। কিন্তু এ রাজ্যে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটারের কত শতাংশের সমর্থন বিজেপির পক্ষে যেতে পারে সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। বিগত কয়েকটি লোকসভায় বা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট নির্দেশ করেছে যে রাজ্য-রাজনীতিতে বিজেপির উত্থানের ফলে বাম কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকা সংখ্যালঘু ভোটারও বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। উলুবেড়িয়া লোকসভা থেকে মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের বুথভিত্তিক ফলাফল স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, প্রতি ১০০ জন সংখ্যালঘু ভোটারের মধ্যে ৮০ জন সংখ্যালঘু ভোটার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দিয়েছে। নির্বাচন পর্বে যে সমস্ত জনমত সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে সেই সমীক্ষাগুলিতেও শতকরা ৮৫ ভাগ সংখ্যালঘু মানুষের সমর্থন তৃণমূলের পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছে। রাজ্যে ৬,৯৭,৬০,৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছে। রাজ্যে ২৮টি লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটারের সমর্থন না মিললে একটি দলের পক্ষে সেই সমস্ত আসন জেতা কতটুকু সম্ভব তার উত্তর ২৩ মে ভোট গণনার পর বোঝা যাবে। আপাত যে প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ তা হল শাসক দলের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থনের ভিত্তি কী? বাম-কংগ্রেস শিবির থেকে রাজ্যের শাসক দল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ করা হচ্ছে। বিজেপি আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের তোষণের অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু বাস্তবে তৃণমূল সরকারের সংখ্যালঘু সমর্থনের ভিত্তির পিছনে লুকিয়ে রয়েছে এই সম্প্রদায়ের প্রতি তৃণমূল পরিচালিত সরকারের বেশ কিছু ইতিবাচক কাজ। যার ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মূল সামাজিক রাজনৈতিক ধারায় ক্রমশ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাররা মূলত যে দুটি বিষয়কে মাথায় রেখে কোনও দলকে সমর্থন বা বর্জন করে সেগুলি হল—
(ক) সেই সম্প্রদায়ের পরিচয়সত্তা রক্ষায় দল কতটুকু আন্তরিক।
(খ) সংখ্যালঘু উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা কী।
বাম আমলে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর বাদে (যেখানে মুসলমানরা জেলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ) নন্দীগ্রাম ঘটনার আগে পর্যন্ত রাজ্যের সর্বত্র প্রতিটি নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা বামেদের সমর্থন করে আসছিল। রাজ্যের ১২৫টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রে বামেদের দখলে সর্বদা থাকত গড়ে ৭৫ থেকে ৮০টি আসন। ২০১১-র নির্বাচনে এই সমীকরণের পরিবর্তন ঘটে। সেবার তৃণমূল এবং কংগ্রেস জোট সংখ্যালঘু ১২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯১টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে জোট হলেও তৃণমূল একাই ১২৫টি আসনের মধ্যে ৮৫টি আসন পেয়েছিল। ২০১৬ বিধানসভায় মুর্শিদাবাদ সমেত উত্তরবঙ্গের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৪৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৪৮.৪২ শতাংশ থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু এই কেন্দ্রগুলিতে ১০ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশে পৌঁছেছিল। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৭৯টি কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৯.৫০ শতাংশ। যেখানে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৮.৬৫ শতাংশ। বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ওই ৭৯টি কেন্দ্রে মাত্র ৮.৭৫ শতাংশ। পরবর্তী সময় উপনির্বাচনগুলির ফলাফল স্পষ্ট ইঙ্গিত করছে বাম এবং কংগ্রেস শিবির থেকে অনেক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটার নিজ নিজ দল ত্যাগ করে বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছে।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের এই তৃণমূলের প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থনের ভিত্তি শুধুই কি পরিচয়সত্তার রাজনীতির নিরিখে বা মেরুকরণের রাজনীতির নিরিখে বিচার করা যায়? নাকি বর্তমান রাজ্য সরকারের বেশ কিছু উদ্যোগও রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষকে এই দলের প্রতি আরও বেশি করে টেনে এনেছে। এমনই কয়েকটি সামাজিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্যোগের ইতিবাচক ফল বিভিন্ন সমীক্ষার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সম্প্রতি সংখ্যালঘু মানুষের আর্থসামাজিক জীবনে সরকারি প্রকল্পের প্রভাব ক্ষেত্র সমীক্ষার মাধ্যমে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই সমীক্ষায় দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায় সংখ্যালঘুপ্রধান এলাকা যেমন অন্তর্ভুক্ত ছিল, তেমনি দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া এবং নদীয়ার মতো জেলাগুলিও সমীক্ষার অন্তর্ভুক্ত ছিল। সরকারি প্রতিবেদন এবং সমীক্ষার ফল দুটিকে পাশাপাশি রাখলে এ কথা স্পষ্ট করে বলা যায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিগত ৮ বছরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের কিছু গুণগত এবং পরিমাণগত পার্থক্য এসেছে।
বাম শাসনের শেষ বছর ২০১০-১১-র সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিশুদের স্কুলে ভর্তির সংখ্যা ছিল শতকরা ৫০ ভাগ। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে সংখ্যালঘু পরিবারের প্রতি ১০০টি শিশুর মধ্যে স্কুলে নথিভুক্ত হয়েছে ৯৮ জন শিশু। এক্ষেত্রে সর্বশিক্ষা অভিযান মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১১-র জনগণনা অনুসারে রাজ্যের প্রতি ১০০ জন সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে ৫৯ জন সাক্ষর ছিলেন। ক্ষেত্র সমীক্ষার ফলাফল অনুসারে ২০১৭-১৮-র শিক্ষাবর্ষে সাক্ষরতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭১ শতাংশ। বামফ্রন্টের শেষ বছর স্নাতক স্তরে রাজ্যের ১০০ জন পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ৪.৫০ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। ২০১৭-১৮-র শিক্ষাবর্ষে তা ২২ শতাংশের উপরে পৌঁছায়। এক্ষেত্রে তৃণমূল ক্ষমতায় এসে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওবিসিদের জন্য যে ১৭ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছে, তার মধ্যে ওবিসি-এ শ্রেণীর জন্য ১০ শতাংশ ছিল মূলত সংখ্যালঘু ছাত্রদের জন্য। বাম শাসনের শেষ বছর সরকারি চাকুরিতে মাত্র ২.৪০ শতাংশ কর্মী ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এই কয়েক বছরে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৭৮ শতাংশ। এক্ষেত্রেও চাকরিতে ১০ শতাংশ ওবিসি-এ শ্রেণীতে সংরক্ষণের সুবিধা পাচ্ছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ আছে স্থায়ী চাকরি সৃষ্টি করা এবং কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি দমন করতে তৃণমূল সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ২০১০-১১ সালে ১৭ শতাংশের মতো প্রতিনিধি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন। পঞ্চায়েত ক্ষেত্রেও ওবিসি-এ শ্রেণীর সংরক্ষণের ফলে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে ১৭ থেকে প্রায় ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। ব্যাঙ্ক ঋণ প্রাপকদের সংখ্যা ২০১০-১১ সালে সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে ছিল মাত্র ১৪.৭৬ শতাংশ। সমীক্ষার ফল বলছে ব্যাঙ্ক ঋণ গ্রাহকদের মধ্যে সংখ্যালঘু গ্রাহকদের সংখ্যা ১৪ থেকে বেড়ে ২১ শতাংশে পৌঁছেছে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ২০১০-২০১১ বর্ষে প্রতি ১০০ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৭ জন ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। এখন যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রতি ১০০ জন সদস্যের মধ্যে ২০১০-১১ বর্ষে ২১ জন ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ২০১৭-২০১৮ বর্ষে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ জন। তবে সমীক্ষার ফলের নিরিখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি অনেকেই কৃষিজমি বিক্রি করেছেন। এক্ষেত্রে জমি হাঙরদের ভূমিকা নিয়ে সরকারের সতর্ক থাকা প্রয়োজন রয়েছে। আবার বহু গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি কৃষিজমি বিক্রি করে শহর বা ভিন্ন রাজ্যে কাজের খোঁজে পাড়ি দিচ্ছেন।
এই সমস্ত তথ্য স্পষ্ট ইঙ্গিত করে রাজনৈতিক সমীকরণ ছাড়াও উন্নয়নের সমীকরণের জোরে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বৃহৎ অংশের সমর্থন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে রয়েছে। জেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে প্রশ্নচিহ্ন থাকলেও তাদের মন জয় করতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও গঠনাত্মক প্রয়াস নিতে দেখা যায়নি। এই অবস্থায় পরিচয়সত্তার রাজনীতির পাশাপাশি উন্নয়নের প্রভাবে রাজ্যের ২৮টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস যে এগিয়ে থাকবে সে বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।