Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহারণ ২০১৯: রণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না!
মেরুনীল দাশগুপ্ত

থাকবে। অবশ্যই থাকবে। অতীতে ছিল, এখন আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। রণহুংকার না থাকলে রণক্ষেত্র কীসের! রণহুংকার রণদামামাই তো রণক্ষেত্রের গৌরব গুরুত্বের আসল মাপকাঠি, যুযুধান পক্ষগুলির শক্তি সামর্থ্যের পরিচায়ক। গগনভেদী রণহুংকার আর দশদিক কাঁপানো দামামা শুনেই তো সাধারণের বুকে কৌতূহলের পারদ চড়ে, কী ভয়ানক লড়াই হবে ভেবে তাঁদের দিনরাতের চিন্তা-চৈতন্য সব তোলপাড় হয়, ঘনঘোর যুদ্ধ শেষে জয়ের মহামুকুট কার শিরে উঠবে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা বিবাদ বিতর্কে সরগরম হয়ে ওঠে পাড়া মহল্লা থেকে পথঘাট অফিসকাছারি। যুদ্ধ, সে দেশ রক্ষার লড়াইই হোক কি খেলার মাঠে সেরার শিরোপা জয়ের সংগ্রাম—দেশজনতার মহলে আবেগ কৌতূহল আশঙ্কা উত্তেজনার পারদের ওঠানামাটা প্রায় একই থাকে। কার্গিল থেকে কাশ্মীর সার্জিকাল স্ট্রাইক, ফুটবল ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে ইস্ট-মোহন মেরি কম, দীপা—আমাদের অভিজ্ঞতা কি তাই বলে না? তো, ভোটের বেলায় অন্যথা হয় কী করে? ভোট তো আজ আর নিছক ফুল-বেলপাতা দিয়ে চাল-কলার নৈবেদ্য সাজিয়ে জনগণেশ বন্দনা মাত্র নয়। জনগণেশের প্রসন্নতার আশায় কেবল করজোড়ে দোরে দোরে ঘোরা, হাসিমুখে ভিক্ষার ঝুলি এগিয়ে দিয়ে কী করা গেছে কী করা যায়নি, কেন যায়নি সবিনয়ে তার হিসেব দাখিলও নয়। ভোট এখন রীতিমতো যুদ্ধ মহারণ। নিজ দলের ভোটবাক্সে জনগণেশের আশীর্বাদ টেনে এনে জমা করার এক প্রাণান্তকর সংগ্রাম। এবং যুদ্ধ বলেই সেখানে অনিবার্য আক্রমণ। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সর্ববিধ আক্রমণ, আক্রমণ এবং আক্রমণ। এহেন মহারণক্ষেত্রে রণহুংকার থাকবে না—তাই কখনও হয়!
কিন্তু, কথা হল—দেশ বাঁচানোর লড়াই খেলার মাঠে মান রক্ষার লড়াই আর ভোট জয়ের লড়াইতে আক্রমণের তরিকা কি এক হতে পারে? দেশ রক্ষার লড়াইতে গোলাগুলি সেনা আধাসেনা অপরিহার্য। বাংলাদেশ কার্গিল যুদ্ধ বা সাম্প্রতিক সার্জিকাল স্ট্রাইকের সময় বাহিনী বা সরকারের তরফে ভারতীয় সেনার শক্তিক্ষমতা বাহাদুরির বিশেষ প্রচার করা হয়েছে এবং তাতে বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীর মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়তি দৃঢ়তা পেয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু, ভাবুন, ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধের মহামঞ্চ থেকে বিরাট কোহলির মতো কেউ যদি ঘোষণা করে বসেন, এবার কাউকে মাঠে দাঁত ফোটাতে দেওয়া হবে না। সারা মাঠ ঘিরে রাখবে আমাদের মহাশক্তিমান সেনা আধাসেনা! আর বোলারদের বলব সব বল যেন ব্যাটসম্যানের মাথা লক্ষ্য করে যায়, উইকেট লক্ষ্য করে নয়। আমাদের জয়ের পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের সবাইকে খাটিয়ায় করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে... ইত্যাদি ইত্যাদি—তাহলে কি কেউ স্বাভাবিক বলবেন!? না এমন একটি অবাস্তব অসম্ভবের কল্পনায় প্রাণখোলা হাসিতে লুটোপুটি খাবেন!? বলা বাহুল্য হেসে লুটোবেন। কারণ, কে না জানেন, খেলাযুদ্ধের মাঠে কোহলিরা তাঁদের অসামান্য দক্ষতা ও ক্রীড়া কৌশলের গুণেই সেরার শিরোপা, জনমন জিতে নেন। এবং পরবর্তী জয়ের লক্ষ্যে অপরিসীম অধ্যবসায়বলে সেই দক্ষতা ও কৌশলশক্তিকে তাঁরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেন। তাই মাঠের খেলাযুদ্ধে জয়ের জন্য তাঁদের অন্য কোনও শক্তির সহায়তা লাগে না।
ভোটযুদ্ধ কি ওই খেলাযুদ্ধের চেয়ে খুব দূরবর্তী? তাই কি? অনেকে হয়তো বলবেন, রাজনীতি খেলার চেয়ে হয়তো অনেক কঠিন জটিল এবং কৌশলী। অনেক সিরিয়াস। এই রাজনীতির মধ্য দিয়েই উঠে আসেন দেশ রাজ্যের পরিচালকেরা। ভোটযুদ্ধ সেই পরিচালকদের নির্বাচনের মাধ্যম। দেশজনতা এক্ষেত্রে শুধু দর্শক নয়—নির্বাচক। তাঁদের সমর্থন আনুকূল্য পাওয়ার লড়াই ভোটযুদ্ধ। সুতরাং, মাঠের এগারো জনের লড়াইয়ের চেয়ে তাঁদের যুদ্ধের গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু, যাঁরা এ কথা বলেন তাঁরা কি অস্বীকার করতে পারেন—মাঠের ওই এগারো জন এবং মাঠের বাইরে বসে থাকা তাঁদের আরও তিন সতীর্থ অর্থাৎ চোদ্দো জনও কোনও নির্বাচক মণ্ডলীর দ্বারা নির্বাচিত এবং দেশের কোটি কোটি মানুষের মধ্যে প্রথম এগারোয় নির্বাচিত হওয়াটাও কম বড় যুদ্ধ নয়! শুধু তাই নয়, এই নির্বাচনের পরও রেহাই নেই—পারফর্মেন্স ধরে রাখতে কঠোর অনুশাসনে বছরের পর বছর যে লড়াই—তাও কি সাধনার চেয়ে কম কিছু? রাজনীতির ভোটযুদ্ধে জিতলে তো পাঁচ বছর নিশ্চিন্ত—চাইলে নির্বিকল্প সমাধিতেও চলে যাওয়া যায়! কতজনই তো এমন সুনামে নামী হয়েছেন অতীত বর্তমানে। ভবিষ্যতেও হবেন। সেদিক থেকে কি প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্র বা খেলার মাঠেই লড়াইটাকে অপেক্ষাকৃত কঠিন লাগে না? কিন্তু, এত কঠিন লড়াইয়ের ক্ষেত্র থেকেও তো এমন কুবচন প্রতিপক্ষের প্রতি এমন কুবচন শোনা যায় না! গোটাটাই ব্যক্তিগত বা দলগত দক্ষতা যোগ্যতার ভিত্তিতে চলে, লড়াই দেয়।
তাহলে রাজনীতির যুদ্ধে কেন এত আকথা কুকথা, কেন এত হুমকি বিষোদ্গার! তাহলে কি এই লড়াইয়ের ময়দানে কি আজ দক্ষতা যোগ্যতায় টান পড়িয়াছে? সেই ফাঁক ভরাতে কাদা-পাঁক জঞ্জালের ব্যবহার বাড়ছে! জানি না, তবে মঙ্গলবার বসিরহাটের নির্বাচনী জনসভায় বিজেপি প্রার্থীর ধারালো মন্তব্যগুলো শোনার পর একাধিকের মুখে শোনা গেল—এখনও তো ক্ষমতায় আসেনি, তাতেই এই! বলছেন কী! নির্বাচনের দিন বুথ দখল করতে এলে তাদের পা নয় বুক লক্ষ্য করে গুলি করতে বলবেন সিআরপিকে! ...যাবে দৌড়ে আর ফিরবে খাটিয়াতে!... রাস্তা দিয়ে মহিলারা ডাব কাটার দা নিয়ে বের হবেন আর দু-চারটেকে একদম সাবাড় করে দিয়ে আসবেন। পুলিসকে থানার বাইরে বের করতে দেবেন না!... সারা নির্বাচন ক্ষেত্র জুড়ে বিএসএফ সিআরপি থাকবে... কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে বেচালদের চাল ঠান্ডা করে দেবে!—এর মধ্যে কোনটা পলিটিকাল কথা! সবই তো হুমকি! কেন? এসব দেখার জন্য নির্বাচন কমিশন আছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিস সরকার প্রশাসন আছে। একজন প্রার্থীকে এসব বলতে হবে কেন? বলবেনই বা কেন? তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল চড়াম চড়াম, গুড়বাতাসা, নকুলদানা বলেছেন বলে? সে তো কলকাতার এক গেরুয়া প্রার্থীও বলেছেন, মিহিদানা। কিন্তু, এমন সরাসরি গুলি করে মারার হুমকি তো তাতে নেই! ভোট ময়দানে উত্তেজনা ছড়াতে আরও কত কিছুই তো বলা যেত—এমন উলঙ্গ চোখরাঙানির দরকারটা কী ছিল?
জনতার এই জিজ্ঞাসা অস্বাভাবিক নয়। সাময়িক উত্তেজনার বশেই হোক কি অন্য কোনও কারণে— জেপি প্রার্থীর ওই মন্তব্যগুলিকে কিছুতেই সমীচীন বলা যাবে না। তৃণমূলের ক্ষুব্ধ মহাসচিব ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এভাবে রাজ্যের রাজনৈতিক সংস্কৃতিই বদল করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আধা সামরিক বাহিনীকে উস্কে দিয়ে নির্বাচন দখল করার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওইসব মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর শাস্তির দাবি জানাতে যাবেন তাঁরা। সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, এমন কুকথার জন্য তৃণমূল নেতৃত্ব তো তাদের অত বড় সেলিব্রিটি সংসদ সদস্যকেও রেয়াত করেনি, তাঁরা অন্যের অনুরূপ কাণ্ড মানবেন কেন?
কিন্তু, সে না হয় হল! সিপিএমের প্রবীণ নেতাও কী বললেন—পশ্চিমবঙ্গ অতীতে কখনও এ ধরনের ভাষা শোনেনি! সে কী! তাহলে অনিল বসু, রেজ্জাক মোল্লা, বৃন্দা কারাত থেকে বিমান বসুর মতো বর্ষীয়ানরা বাম জমানার শেষলগ্নে যা সব বলেছিলেন সে সব কিছুই কি চিরতরে ‘ডিলিট’ হয়ে গেল!! আজকের মুখ্যমন্ত্রী সেদিনের বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চুলের মুঠি ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে’ কোথায় যেন নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন এক সিপিএম নেতা, মমতার অমন অনন্য জননেত্রী ভাবমূর্তিকে উপেক্ষা করে তাঁর সম্পর্কে ‘ভাতার’ ইত্যাদি অতি নীচ নোংরা মন্তব্য কে যেন করেছিলেন—সব সব ‘ডিলিট’! ও হরি! জনমন বিস্মৃতিপ্রবণ ঠিকই—তবে কি সাহেব ওতে এখনও অ্যালঝাইমার্স ধরেনি! প্লিজ, খোঁড়াখুঁড়ি করতে সাবধান—কঙ্কাল সব না বেরিয়ে পড়ে! একটা দুটো তো নয়—অজস্র অনেক। সব না হলেও এখনও অনেক কিছুই মনে আছে রাজ্যবাসী মানুষজনের। সুতরাং সবিস্ময়ে পশ্চিমবঙ্গ এমন ভাষা আগে শোনেনি বলার আগে একটু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখা আবশ্যক—বলছেন রাজনৈতিক তথ্যভিজ্ঞরা।
বলছেন এই কারণেই যে, আজ বিজেপি’র প্রার্থী সায়ন্তন বসুর মুখ দিয়ে যা বেরিয়েছে তা নতুন নয়। বাম জমানায় সিপিএম নেতা-নেত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করতে যে কদর্য কুকথার রাজনীতি আমদানি করেছিলেন অনুব্রত, সায়ন্তনের মুখে তারই অনুবর্তন চলছে। তবে, আশার কথা একটাই, সিপিএম জমানার চেয়ে এই রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক ও প্রবক্তার সংখ্যা পরবর্তীতে অনেকটাই কমে গেছে। কারণ, এই কুকথার রাজনীতি যে সাধারণ মানুষ পছন্দ করেন না এবং এসবের শেষ ফল শেষ পর্যন্ত যে বিশেষ ভালো হয় না সেটা সিপিএমের মহাপতনের পর মোটের ওপর বঙ্গের সব রাজনৈতিক শক্তিই বুঝে গেছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা তো এমন কুকথার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তবু কুকথার মুখে পুরোপুরি আগল টানা যাচ্ছে না—আকার ইঙ্গিত ব্যঞ্জনা ছেড়ে একেবারে সরাসরি রাজনৈতিক ভোটযুদ্ধের ময়দানে ঢুকে পড়ছে প্রাণঘাতী হুমকি! বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতির পক্ষে এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
মনোবিদেরা কী বলবেন জানি না, তবে আমাদের মনে হয়—এইসব কুকথার মধ্যে কেবল প্রতিপক্ষকে আক্রমণের বাসনাই কাজ করে না, করে মৌখিক আস্ফালনে দুর্বলতা ঢাকার একটা প্রচ্ছন্ন প্রবণতাও। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো মহাশক্তিমান ও প্রায় অজেয় হন তাহলে এই প্রবণতা চাগাড় দেয় বেশি। কিন্তু তাতে কি পাশে পাওয়া যায় মানুষকে! নাকি মানুষ সেই মাত্রাজ্ঞানহীন বহ্বাড়ম্বরকে অশনি সংকেত ভেবে আরও বেশি করে সরে যায় দায়বদ্ধ রাজনীতি এবং সর্বাত্মক উন্নয়নের দিকে? একটু ভাবুন।

 
28th  March, 2019
বাংলার নজিরবিহীন উন্নয়নের কাণ্ডারী
মমতাকেই কি ভয় পাচ্ছে বিজেপি?

শুভা দত্ত

 ভোটযুদ্ধের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। দেশের আসমুদ্রহিমাচল প্রচার-অপপ্রচারের ঢেউয়ে উত্তাল। যুযুধান পক্ষগুলির মন্ত্রী-সান্ত্রী-সেনাপতি থেকে ছোট-বড়-মাঝারি নেতানেত্রী নাওয়া-খাওয়া ভুলে চড়া রোদের তাপ উপেক্ষা করে দেশজনতার দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন। দলের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইছেন।
বিশদ

তাহলে কি মহাকাশে যুদ্ধ আসন্ন?
মৃণালকান্তি দাস

 ভোটকে কেন্দ্র করে ভারতের মাটিতে রাজনীতি যাই হোক না কেন, আসলে মহাকাশ এখন এক নতুন রণাঙ্গন। রাজনৈতিক স্বার্থে ভোটের মুখে কেউ কেউ বলছেন, ‘মিশন শক্তি’-র সাফল্য মানে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর পাকিস্তানকে আরও একবার সমঝে দেওয়া গেল।
বিশদ

ইস্কুল স্ট্রাইক করা এক আশ্চর্য ষোড়শীর গল্প 
অতনু বিশ্বাস

এটা একটা স্কুলের মেয়ের গল্প। তার ভয়, অবসাদ, দৃঢ়তা আর সংগ্রামের গল্প, তার সংকল্পের কথকতা। কেবলমাত্র ইস্কুল পালিয়ে, থুড়ি, ইস্কুল স্ট্রাইক করে, মানে একেবারে বলে-কয়ে ইস্কুল না গিয়ে, পনের-ষোল বছরের মেয়েটি চলে এসেছে পৃথিবীর খবরের শিরোনামে।   বিশদ

06th  April, 2019
শেষ লিডার?
সমৃদ্ধ দত্ত

 ধরা যাক আমেদাবাদের কোনও কফিশপের আড্ডায় রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্য ধরে ধরে নেতানেত্রীদের সম্পর্কে, ভোট নিয়ে, ইমেজ নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনা চলছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কজন নেতানেত্রীর নাম উচ্চারিত হবে? একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে প্রশংসাও করা হতে পারে।
বিশদ

05th  April, 2019
এই ভোটে ইয়ং ভোটারদের অভিমুখ
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

এবারের লোকসভা নির্বাচনে দেশের ৯০ কোটি ভোটদাতার মধ্যে ১ কোটি ৫০ লক্ষ ভোটার প্রথমবার ভোট দেবেন। যাদের বয়স ১৮-১৯ বছরের মধ্যে, যা দেশের মোট ভোটদাতার ১.৬৬ শতাংশ। গত লোকসভা নির্বাচনে ৮১ কোটি ৪৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ১৮-১৯ বছর বয়স্ক ভোটার সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩০ লক্ষ, যা মোট ভোটারের ২.৮৮ শতাংশ।
বিশদ

04th  April, 2019
মানব পাচার রুখতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
লড়ছে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্যাটি হফম্যান

 ‘রাষ্ট্র মানেই ম্যাপে বাঁধা আমার দিগন্ত...।’ রাষ্ট্র বললেই চোখে ভেসে ওঠে এমনই সব কথা। কিন্তু রাষ্ট্রের ভাবনায় কি অপরাধকে বাধা যায়! সীমান্তের বেড়াজালে থমকে থাকে না অপরাধ। চুঁইয়ে পড়ে। আইন-নিরাপত্তার ফস্কা গেরোর মধ্যে দিয়ে চোরাস্রোতের মতো এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে অপরাধের শিকড়। অপরাধের এই তালিকা ঘাঁটতে গেলে প্রথমেই উঠে আসে যে নাম, তা হল মানব পাচার।
বিশদ

04th  April, 2019
অমিত শাহদের এই দল ভাঙানো প্রার্থী তালিকা
দিয়ে আরএসএস কেমন সোনার বাংলা গড়বে?
হিমাংশু সিংহ

সিপিএমের ৩৪ বছর দেখেছি। সফল অপারেশন বর্গা থেকে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম নিয়ে বুদ্ধদেববাবুর অহেতুক দুঃস্বপ্নের ধ্বংসলীলা পর্যন্ত। এখন তৃণমূলের অপ্রতিরোধ্য ৮ বছরের শাসনকাল দেখছি। চতুর্দিকে উন্নয়ন আর অনুপ্রেরণার লহর।  বিশদ

02nd  April, 2019
হত দরিদ্রদের জন‌্য ‘ন‌্যায়’
পি চিদম্বরম

অবশেষে একটি রাজনৈতিক দল ‘বুলেট’-এ কামড় দেওয়ার সাহস পেয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা বিষয়টিকে চেপে রেখেছিলাম, নীতিগত বিতর্কের মোকাবিলা এড়িয়ে গিয়েছি, এবং দারিদ্র দূরীকরণের মৌলিক পদক্ষেপ করার অনীহার পিছনে পুরনো অজুহাত খাড়া করেছি।
বিশদ

01st  April, 2019
ভোট ২০১৯: মমতার নজিরবিহীন উন্নয়নই সব অভিযোগের জবাব দেবে 
শুভা দত্ত

এ রাজ্যের বিরোধীরা কী ভাবছেন জানি না, তবে জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে অন্যতম প্রধান মুখ তাতে সন্দেহ নেই। শুধু প্রধান মুখই নয়, বাংলা সমেত দেশের অন্যান্য রাজ্যের মোদি-বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশ তাঁকে দিল্লির মসনদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দেখতে চাইছেন।  
বিশদ

31st  March, 2019
এবারেও মহিলা ও সংখ্যালঘু ভোটারদের
সমর্থন কেন মমতার পক্ষে থাকতে পারে?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের ৬,৯৭,৬০,৮৬৮ জন ভোটারের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩,৩৯,৭৫,৯৭৯ জন। ২০০৯-র লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে মহিলা ভোটারদের ভোটদানের প্রবণতায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি স্পষ্ট ঝোঁক লক্ষ করা গেছে। ওই সময় থেকে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষের ভোটদানের প্রবণতাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি ব্যাপক সমর্থন বারবার প্রতিফলিত হচ্ছে। বিশদ

30th  March, 2019
এবার ভোটে সোশ্যাল মাধ্যম
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 সোশ্যাল মিডিয়া আর শুধুই সামাজিক নেই, রাজনৈতিক হয়ে গিয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার হ্যান্ডলে চলছে ভোটের প্রচার। দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং ফ্যান ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে। এটা সাদা চোখে দেখা যায়। যা নজরে আসে না তা হল, নিঃশব্দ প্রচার...। হোয়াটসঅ্যাপে। মাথা ভারী দলগুলির তো বটেই, ছোটখাটো রাজনৈতিক পার্টিরাও এখন রীতিমতো সাইবার সেল তৈরি করে ফেলেছে। সেই শাখাটি নিয়মিত রিসার্চ চালাচ্ছে... ধর্ম, জাত, স্টেটাস অনুযায়ী ভোটার খুঁজে বের করছে। তারপর তাদের আলাদা আলাদা ক্যাটিগরিতে ভাগ করে চলছে গোছগাছ।
বিশদ

29th  March, 2019
ভোট চাই, ভোট
মোশারফ হোসেন

দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের দামামা বেজে উঠেছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা ভোট একটি জাতীয় উৎসবই বলা চলে। কারণ, নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, হরেকরকম বৈচিত্র্যের মধ্যে অদ্ভুত ঐক্যের আসমুদ্র হিমাচল বিস্তৃত এই দেশে যে কোনও সামাজিক, ধর্মীয় বা অন্য কোনওরকমের উৎসবে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে।
বিশদ

26th  March, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, দার্জিলিং: পাহাড়ে প্রচারে এগিয়ে গিয়েছেন মোর্চা সমর্থিত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমর সিং রাই। তিনি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। পাহাড়ের ভূমিপুত্র হিসাবে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছেন পাহাড়বাসী।   ...

 ইসলামাবাদ, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার তুলে নিলে, তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবনাগুলিকে লঙ্ঘন করার শামিল হবে। তাই পাকিস্তান এটা কখনওই মেনে নেবে না। ইসলামাবাদে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরিবেশকর্মীদের ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের প্রথম সারির সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘রাজনৈতিক দলের কাছে পরিবেশ দূষণের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করেন। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম সহ ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ...

শ্রীনগর, ৬ এপ্রিল (পিটিআই): বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানহানা এবং সীমান্তে পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানোর বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস
১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম
১৮৯৭ - নাট্যকার, অভিনেতা, সুরকার, বাংলা ছায়াছবির জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার তুলসী লাহিড়ীর জন্ম
১৯২০- সেতার বাদক পণ্ডিত রবিশংকরের জন্ম
১৯৪২- অভিনেতা জিতেন্দ্রর জন্ম
১৯৪৭ - মার্কিন মোটরযান উৎপাদক হেনরি ফোর্ডের মৃত্যু
১৯৪৮ - বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৪- অভিনেতা, অ্যাকশন কোরিওগ্রাফার তথা মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যানের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৮.৩৩ টাকা ৭০.০২ টাকা
পাউন্ড ৮৮.৯০ টাকা ৯২.১৫ টাকা
ইউরো ৭৬.১৫ টাকা ৭৯.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
06th  April, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩২, ১৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩০, ৫৩৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩০, ৯৯৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৭ ৫৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৭, ৬৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ২৬/২৩ অপঃ ৪/২। অশ্বিনী ৮/৯ দিবা ৮/৪৪। সূ উ ৫/২৮/২৭, অ ৫/৪৯/৫৯, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৮ গতে ৯/৩৬ মধ্যে। রাত্রি ৭/২২ গতে ৮/৫৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬ গতে ১/১২ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৫ গতে ২/৩৩ মধ্যে।
২৩ চৈত্র ১৪২৫, ৭ এপ্রিল ২০১৯, রবিবার, দ্বিতীয়া ৩/১৮/৫। অশ্বিনীনক্ষত্র ৮/১৮/৪৯, সূ উ ৫/২৮/৭, অ ৫/৪৯/২৭, অমৃতযোগ দিবা ৬/১৭/৩২ থেকে ৯/৩৫/১৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২২/৩৬ থেকে ৮/৫৫/৪৬ মধ্যে, বারবেলা ১০/৬/৭ থেকে ১১/৩৮/৪৭ মধ্যে, কালবেলা ১১/৩৮/৪৭ থেকে ১/১১/২৭ মধ্যে, কালরাত্রি ১/৬/৭ থেকে ২/৩৩/২৭ মধ্যে।
 ১ শাবান
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: কর্মে উন্নতির যোগ আছে। বৃষ: গৃহ সংস্কার যোগ আছে। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস১৭৭০- ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের জন্ম১৮৯৭ - নাট্যকার, ...বিশদ

07:03:20 PM

রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারাল কেকেআর

10:56:29 PM

কেকেআরকে ১৪০ রানের টার্গেট দিল রাজস্থান রয়্যালস 

09:37:13 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ৫৬/১ (১০ ওভার) 

08:47:03 PM

রাজস্থান রয়্যালস: ২৮/১ (৬ ওভার) 

08:29:29 PM