কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
২০০৯ সালে যাঁর কাধে ভর করে এই আসনে জয় পেয়েছিল বিজেডি, সেই হেভিওয়েট প্রার্থী জয়রাম পাঙ্গি এখন বিজেপিতে। আদিবাসীদের বিপুল সমর্থন পেয়ে তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থী তথা ন’বারের সাংসদ বর্ষীয়ান নেতা গিরিধর গোমাঙ্গকে পরাজিত করেছিলেন জয়রাম। একে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তার উপর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিধরকে হারিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ওড়িশার প্রভাবশালী কোন্ধ উপজাতির এই নেতা। এহেন জয়রামই যে কোরাপুট আসনের যোগ্য প্রার্থী হবেন, তা বুঝতে দেরি করেনি বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। তাই তাঁকেই এবার কোরাপুটের টিকিট দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই কেন্দ্রের ৪৭ শতাংশ মানুষই কোন্ধ উপজাতির। এমনকী, কংগ্রেস এবং বিজেডির প্রার্থীরাও এই উপজাতিরই মানুষ।
কোরাপুট আসনে ‘অভিজ্ঞ’ বিজেপি প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন বিজেডি’র কৌশল্যা হিকাকা এবং কংগ্রেসের সপ্তগিরি উলাকা। দু’জনেই এবারই প্রথম লোকসভা ভোটে লড়াই করছেন। প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল, কোরাপুটের লড়াইটা হবে দ্বিমুখী। একদিকে থাকবে নবীন পট্টনায়েকের নেতৃত্বাধীন রাজ্যের শাসকদল বিজেডি এবং অন্যদিকে কংগ্রেস। কিন্তু, শেষবেলায় বিজেপি জয়রামকে এই কেন্দ্রের প্রার্থী করে দেওয়ায় লড়াইয়ের সমীকরণ বদলে গিয়েছে। বছর দু’য়েক গিরিরাজ গোমাঙ্গকে দলে টেনে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিল বিজেপি। সৌরা উপজাতির এই নেতার দলে থাকাটা কোরাপুটের লড়াইয়ে বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন যোগাবে বলেই মনে করছে রাজ্য নেতৃত্ব।
অন্যদিকে, এই আসনটি ধরে রাখতে বিদায়ী সাংসদ ঝিনা হিকাকার স্ত্রীকে প্রার্থী করেছে বিজেডি। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে এই আসনে কংগ্রেস প্রার্থী গিরিরাজকেই (বর্তমানে যিনি বিজেপিতে) হারিয়েছিলেন বিজেডির প্রার্থী ঝিনা। ২০১২ সালে মাওবাদীদের হাতে অপহৃত হয়ে ৩৪ দিন পণবন্দি ছিলেন ঝিনা। ২০১৪ সালের ভোটে সেটাই তাঁকে ‘অ্যাডভান্টেজ’ পাইয়ে দেয়। কিন্তু, এখন পাঁচ বছর আগের মতো পরিস্থিতি আর নেই কোরাপুটে। ঝিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, নিজের লোকসভা কেন্দ্রে থাকার পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় ভুবনেশ্বরেই কাটান সাংসদ। তাই এবারের নির্বাচনে নিজে পিছনের আসনে থেকে ময়দানে স্ত্রী কৌশল্যাকে নামিয়েছেন তিনি। ভুবনেশ্বরের একটি স্কুলের শিক্ষিকা কৌশল্যা নিজের জয় নিয়ে প্রবল আত্মবিশ্বাসী। তিনি জানান, রাজ্যের যেসমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এনেছে বিজেডি, সেগুলিই তাঁকে ভোট-বৈতরণী পার করিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ২০০৯ পর্যম্ত এই কেন্দ্রে একচেটিয়া আধিপত্য কায়েম করে রাখা কংগ্রেস এবারের ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। কংগ্রেস এবার প্রার্থী করেছে দলের বর্ষীয়ন নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রামচন্দ্র উলাকার পুত্র সপ্তগিরিকে। পেশায় সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সপ্তগিরি রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই আসনটি তিনি ফিরিয়ে আনতে পারবেন বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন সপ্তগিরি।
সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে গঠিত কোরাপুটে আগামী ১১ এপ্রিল প্রায় ১৪.০৮ লক্ষ ভোটার ভোটদান করবেন।