বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলাকারী ভবানীশঙ্কর রায় মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পুরসভায় জল সংক্রান্ত বিভাগের সুপার হিসেবে ১৯৯৭ সালে অস্থায়ী নিয়োগ পেয়েছিলেন। ওই পদে কর্মরত ব্যক্তির হঠাৎ মৃত্যুর কারণে তিনি প্রথমে অস্থায়ী নিয়োগ পান। ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে পুরসভা তাঁকে স্থায়ী নিয়োগ দেয়। পুরসভার দাবি, ওই কর্মীর স্থায়ী নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পুরদপ্তরে পাঠানো হয়, যাতে তিনি অবসরকালীন ভাতা থেকে বঞ্চিত না হন। মামলাকারীর অভিযোগ, ২০১৭ সালের তিনি অবসর নেওয়ার পর অবসরকালীন ভাতার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু রাজ্য পুরদপ্তর সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি। তাদের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, পুরসভা ওই কর্মীকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিলেও যে পদে তিনি কর্মরত ছিলেন, সেই পদটি পুরদপ্তরের অনুমোদিত নয়। তাই তিনি অবসরকালীন ভাতা পাওয়ার যোগ্য নন। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ভবানীশঙ্করবাবু। আদালতে তাঁর যুক্তি ছিল, তিনি যে পদে কর্মরত ছিলেন, ওই পদে তাঁর আগেও একজন কাজ করেছেন। সেই কর্মীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী সরকারি নিয়ম অনুযায়ী যাবতীয় প্রাপ্য পেয়েছেন। তাহলে কেন তিনি বঞ্চিত হবেন?
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভবানীশঙ্করের যাবতীয় প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে। তারপর দু’বছর কেটে গেলেও কানাকড়িও পাননি মামলাকারী। তখন ডিএলবি সহ বাকিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন ভবানীশঙ্করবাবু। সেই মামলায় সম্প্রতি ডিএলবি জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায়কে হাজিরা দিয়ে নির্দেশ কার্যকর না করার কারণ জানতে চান বিচারপতি সিনহা। ডিএলবি জানান, অর্থদপ্তরের কাছে ফাইল পাঠানো হয়েছে কিন্তু তাদের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি সিনহা। নির্দেশে তিনি জানিয়ে দেন, যতদিন না মামলাকারীর বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ততদিন ডিএলবির বেতন বন্ধ থাকবে। আগামী ১৬ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানিতে ডিএলবি-কে হাজির হতে হবে।