কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
এদিন ওই চিকিৎসক রেড রোডে পুরসভার মেডিক্যাল টিমের মধ্যে কর্মরত ছিলেন। তাঁর টি-শার্টে লেখা ছিল ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’। একই সঙ্গে তিনি প্রতিবাদী ব্যাজও পরেছিলেন। তাতে লেখা ছিল, ‘প্রতীকী অনশনকারী’। অনুষ্ঠান চলাকালীন বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে পুলিস প্রশাসন। অভিযুক্ত তপোব্রতকে আটক করে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে খবর, তপোব্রত পুরসভার স্থায়ী চিকিৎসক নন। উনি ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের আওতাধীন একজন অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক। পুরসভার ১৬ নম্বর বরোর অন্তর্গত ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত। এদিন রেড রোডে পুরসভার মেডিক্যাল টিমে তিনিও ছিলেন। এই প্রসঙ্গে পুরসভার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, এই ঘটনা অবাঞ্ছিত এবং অনভিপ্রেত। এটা ও না করলেই পারত। তপোব্রত ডিউটিতে থাকাকালীন এটা করেছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ আগে থেকে অবগত ছিল না। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসককে শো-কজ করা হতে পারে।
এভাবে আটক করাকে বেআইনি ও আইন বর্হিভূত বলে দাবি করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। এর প্রতিবাদে তাঁদের তরফে ময়দান থানার অফিসার ইন-চার্জকে একটি ই-মেল করা হয়। যার কপি পাঠানো হয় রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও। ঘটনার প্রতিবাদে ময়দান থানায় জড়ো হয় পুরসভার চিকিৎসকদের একাংশ। সিনিয়র ডাক্তাররাও বড় সংখ্যায় সেখানে যান। তাঁদের উপস্থিতিতে তিন ঘণ্টা পর আটক হওয়া চিকিৎসককে ছাড়া হয়। ডাঃ তপোব্রত জানিয়েছেন, অনডিউটি অবস্থায় কেন আমাকে আটকানো হয়েছিল জানি না! থানায় নিয়ে চলে এসেছিল। কোনও খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। তাঁর দাবি, অ্যারেস্ট মেমো এবং জামিনের কাগজে সই করতে বলা হয়েছিল। যদিও, পুলিসের দাবি ওই ডাক্তারকে অ্যারেস্ট করা হয়নি। অন্যদিকে, মঙ্গলবারও আরও দুজন জুনিয়র চিকিত্সক অনশনে অংশ নেন।