নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে একযোগে সচেষ্ট রাজ্যের তিনদপ্তর। স্বাস্থ্যদপ্তরের সহযোগিতায় রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে কাজ চালাচ্ছে নগরোন্নয়ন দপ্তর এবং গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েত দপ্তর। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সমস্ত এলাকায় বিশেষ সাফাই অভিযান চালাচ্ছে দুই দপ্তর। বিগত বছরগুলির তুলনায় এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে। তবে উৎসব পরবর্তী সময়ে যাতে এর বাড়বাড়ন্ত না-হয় সেই বিষয়েও যথেষ্ট সতর্ক নবান্ন। পুজোর আগে এনিয়ে পৃথক বৈঠকও করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই দপ্তর। পুজোর সময় ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে প্রচার চালাতে অনুরোধ করা হয়। যে-সমস্ত পুজো কমিটি সেটা ভালোভাবে করেছে কিছু পুরসভার তরফে তাদের পুরস্কৃতও করা হয়েছে। আবার, গ্রামীণ এলাকায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুজোর মধ্যেও টোটোয় ঘুরে ঘুরে প্রচার চালানো হয়েছে।
তবে উৎসবের পরেও যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সেই লক্ষ্যে এখন থেকেই কোমর বেঁধে মাঠে নামছে রাজ্য। পুজোর ছুটির পর রাজ্য সরকারের অফিস খুলছে ২১ অক্টোবর। তারপর পরই জেলা প্রশাসনকে নিয়ে দুই দপ্তরই পর্যালোচনা বৈঠকে বসতে চলেছে। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ডেঙ্গু নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতির পর্যালোচনা ছাড়া আগামী তিনমাসের রূপরেখাও ঠিক হবে। শীতকালে যাতে কোনোভাবেই ডেঙ্গুর বাড়াবাড়ি না-হয়, সেই বিষয়টিতে বিশেষ নজর দিতে বলা হবে। সতর্ক করা হবে উৎসবের সময়ে জমাকৃত অতিরিক্ত আবর্জনা সরানো এবং জমা জল নিয়ে।
রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা আগাগোড়াই সতর্ক। কিন্তু, উৎসবের মরশুমে বা তারপরে পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায় এসব কাজে কোনোরকম শিথিলতা সরকার বরদাস্ত করবে না বলেও জানানো হবে।