কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
আর জি কর-কাণ্ড পরবর্তী প্রায় দেড় মাস পরিস্থিতি ছিল অন্যরকম। এর মধ্যেই গত ১৬ আগস্ট আর জি করের ঘটনার দোষীর ফাঁসির দাবিতে পদযাত্রা করেন তৃণমূল নেত্রী। তার আগে ১৪ আগস্ট বেহালা ও হাজরা মোড়ে ‘মধ্যরাতের স্বাধীনতা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে অংশ নেন মমতা। ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতেও ছিলেন তিনি। সেখানে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে ধর্ষণ বিরোধী ‘অপরাজিতা বিল’। আর জি করের ঘটনায় দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়ে সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়িয়েছে তৃণমূল। অভিষেকও উল্লেখ করেছেন, গত ১০ বছরে কোনও তদন্তের ফয়সালা করতে পারেনি সিবিআই।
এরমধ্যে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ। দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে জেলায় জেলায় ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। দিন কয়েকের মধ্যেই শুরু দুর্গোৎসব। ডায়মন্ডহারবার এলাকায় ঘরে ঘরে উৎসবের উপহার পৌঁছে দিচ্ছেন স্থানীয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী, বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃত্ব উৎসব উপলক্ষ্যে বস্ত্র সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন মানুষের হাতে।
সামগ্রিক এই আবহে তৃণমূল একটি সাংগঠনিক বৈঠক ডাকতে চাইছে। লোকসভা ভোটে জয়ের পর সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। দলের রাজ্যস্তরের একাধিক নেতার বক্তব্য, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত উৎসব মরশুম চলবে। ২০২৫ সাল সাংগঠনিক দিক থেকে তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ২০২৬ সালেই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। তাই সাংগঠনিক রদবদল সেরে নিয়ে যাবতীয় স্ট্র্যাটেজি এখন থেকেই গ্রহণ করা উচিত। দল কোন পথে দল চলবে, সেসম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশিকার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতারা।