মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
২০২১ সালের ২৬ মে। আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় যশ। তার তিন বছর বাদে সমসাময়িক সময়ে আবারও একটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রবেশ। এবার রেমাল। সেবারের ঘূর্ণিঝড়ের পর তছনছ হয়েও যাওয়া দীঘার সমুদ্র সৈকতের স্মৃতি আজও টাটকা ৬৬ বছরের অজিত হাজরার। শামুক-ঝিনুকের ঘর সাজানোর সামগ্রীর দোকান তাঁর। তিনি জানান, যখন শামুক, ঝিনুকের জিনিসগুলির দাম ছিল পাঁচ-১০ পয়সা তখন থেকে দোকান করছি। ভালোই চলছিল। কিন্চু যশ আমার জীবনের বড় ক্ষতি করে দিয়েছিল। এক মানুষ বুক সমান জল, ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দোকানপাট। সমুদ্র সৈকতে উপড়ে পড়েছিল লাইট পোস্ট। সাজানো পাড় ভেঙে তছনছ হয়ে গিয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতি আজও পূরণ হয়নি। রবিবার বেশি পর্যটক আসেন বলে বিক্রি বেশি হয়। সেই রবিবারই আবার আসছে ঝড়। এবার জিনিসপত্র নিয়ে রামনগরে বাড়ি চলে যাচ্ছি। ছেলে আশিস জিনিসপত্র গোছাচ্ছে। পুরনো দীঘার এক নম্বর ঘাটের কাছে দোকান কল্পনা জানার। তিনি বলেন, সেবারের দুর্যোগে দোকান ঘরের পেরেক পর্যন্ত দেওয়াল থেকে উপড়ে গিয়েছিল। মানসী সরকার নামে অন্য এক বিক্রেতা বলেন, মা গঙ্গার কাছে বারবার প্রার্থনা করছি এবারটা রক্ষা করে দাও। ব্যাগের দোকানদার তরুণ ত্রিপাঠী কাকভোরেই চলে আসেন নিজের দোকানে। তাঁর অন্যতম সহাই এই দোকান। তিনিও জিনিসপত্র প্যাকেটে ভরছেন। বলেন, দুর্যোগের পর দোকানের কী হবে জানি না। জিনিসগুলি নিয়ে যাচ্ছি। দেখি যদি পরে রাস্তার উপর প্লাস্টিক পেতে বিক্রি করতে পারি। দীঘার সমুদ্র সৈকত এখন অদ্ভুতভাবে নীরব। কোনও কোলাহল নেই। দোকানদারদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ। আতঙ্ক। আরও খারাপ অবস্থা গুমটি ও প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া দোকানগুলির। সেই দোকানদারদের বক্তব্য, ঈশ্বরই জানেন এবার কী হবে।