গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ভোটের দু’দিন আগে থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কোনও বহিরাগত সংশ্লিষ্ট জেলায় থাকতে পারবেন না। তাঁদের জেলা ছাড়তে হবে। সেইমতো পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। বাইরে থেকে আসা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত কেউই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর এই জেলায় থাকতে পারবেন না। পর্যটকের আড়ালে রাজনৈতিক দলের লোকজনও দীঘার হোটেলে আশ্রয় নিতে পারে। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেল মালিকদের জানানো হয়েছে, এই জেলার বাসিন্দা নন, এমন কেউ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে হোটেলে থাকতে পারবেন না। ২৪ ও ২৫ তারিখ এই নিয়ম বলবৎ থাকবে।
২৫ মে শনিবার ষষ্ঠ দফায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নির্বাচন। ৪২লক্ষ ৩০হাজার মানুষ ভোটদানে অংশ নেবেন। তমলুক এবং কাঁথি লোকসভার দিকে নজর রয়েছে গোটা রাজ্যবাসীর। ভোট নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কমিশনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একশো শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ২৩৭ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে এই জেলায় ভোট হবে। কোনও বহিরাগত যাতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই নির্বাচনকে বানচাল করতে না পারে সেজন্য সতর্ক প্রশাসন। জেলাশাসক গোটা জেলায় ১৪৪ধারা জারি করেছেন। বহিরাগতরা যাতে ভোট প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য হোটেল, লজ, রিসর্টের উপর নজরদারি চলছে। দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর কিংবা শঙ্করপুরে হোটেলে বহিরাগতরা জড়ো হচ্ছে কি না, মনিটরিং চলছে। পর্যটকের আড়ালে যাতে বহিরাগতরা থাকতে না পারেন, সেটাই নিশ্চিত করা হচ্ছে। হোটেল মালিকদের সঙ্গে আলোচনাও করেছে প্রশাসন।
কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে জেলার বাইরের কেউ থাকতে পারবেন না। সেটা দীঘা, মন্দারমণির হোটেলেও কার্যকর হবে। হোটেল মালিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ভোটের সময় হোটেল কর্মীরা ভোট দিতে নিজের বাড়িতে যান। এইসময় পর্যটকের আনাগোনা থাকে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাইরের পর্যটকদের না রাখার বিষয়ে আমাদের জানানো হয়েছে।