গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
যদিও সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মনসা বাজারে জোর করে বন্ধের নামে তাণ্ডব চালায় বিজেপির লোকজন। দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। অগ্নিসংযোগেরও ঘটনা ঘটে। বুদ্ধদেব প্রামাণিক, বাচস্পতি মৃধা, ভক্তিপদ মাজি এবং ফণী ধাপড়দের দোকানে হামলা চালানো হয়। কয়েকজনের দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও হামলা চলে। সোনাচূড়ার অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি দেবু রায়ের বাড়িতেও আক্রমণ করা হয়। তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করা হয়। আক্রান্ত হন গাংড়া নিমতলা বুথের নেতা সুবল মান্না। বাড়িতে তাণ্ডব চলে। হরপ্রসাদ জানা নামে আর এক তৃণমূল কর্মীর বাইক ছিনিয়ে নেওয়া হয়। তাঁর স্ত্রী ও দাদা বিজেপি কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স এলাকায় যাওয়ার সময় জ্যোতির মোড়ে বাহিনীকে বাধা দেয় বিজেপির লোকজন। তৃণমূল কর্মীরা বলেন, ২০০৭ সালে ১৪ মার্চের মতো পরিস্থিতি। প্রাণ বাঁচাতে যে যেদিকে পেরেছে পালিয়েছে। বারবার বাহিনী পাঠানোর জন্য আর্জি জানানো হয়। কিন্তু, বাহিনীকে আটকে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাত ২টো নাগাদ সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মনসাবাজার বুথে বিজেপির মহিলা কর্মী রথীবালা আড়ি(৫৬)-কে খুনের অভিযোগ ওঠে। তাঁর ছেলে সঞ্জয় আড়ি সহ আরও পাঁচজন জখম হয়েছেন। সঞ্জয়ের অবস্থা সঙ্কটজনক। রাতে তৃণমূলের লোকজন ৪০-৫০টি বাইকে এসে মনসাপুকুর বাজার বুথে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় রথীবালার মাথায় আঘাত করা হয়। তাঁকে তমলুক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোনাচূড়ায় ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার ভোর থেকে গোটা নন্দীগ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভোর ৪টে নাগাদ মেঘনাদ পালের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা থানায় হাজির হন। সকালেই নন্দীগ্রাম বাজারে মিছিল বের করে নন্দীগ্রাম বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। তারপরই নানা জায়গায় অবরোধ, বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই বিক্ষোভ চলাকালীন সোনাচূড়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে বিজেপি। মনসা বাজারে নিরীহ দোকানদারদের দোকান ভাঙচুর করা হয়। বিজেপির হাঙ্গামা বন্ধ করতে হিমশিম খায় পুলিস।
মেঘনাদবাবু বলেন, বুধবার নন্দীগ্রামে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেছেন। সেই সভা থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। বঁটি, হাতা খুন্তি নিয়ে রাস্তায় নামার পরামর্শ দিয়েছেন। তাতেই উৎসাহিত হয়ে রাতে দুই তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বাইক বাহিনী হামলা চালায়। আমাদের এক মহিলা কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত দুই নেতাকে গ্রেপ্তার না করলে গোটা নন্দীগ্রাম অচল হবে।
তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ নির্বাচনী কমিটির কনভেনার স্বদেশ দাস বলেন, সোনাচূড়া মনসা বাজারে আমাদের সংগঠন দুর্বল। সেখানে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। বিজেপির আদি-নব্য সংঘাতের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।