শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় শান্তিনিকেতনের বিনয়ভবন হেলিপ্যাডে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণ করে। রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালকে বিশ্বভারতীর রীতিতে বরণ করা হয়। রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও জেলাশাসক বিধান রায়। এরপর রাষ্ট্রপতির বিশাল কনভয় রওনা দেয় রথীন্দ্র অতিথিগৃহে। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর দুপুরের আহার গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি, তাঁর মেয়ে ও রাজ্যপাল সহ অন্যান্য অতিথিরা।
দুপুর আড়াইটায় রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপাল পৌঁছন উত্তরায়ণ প্রাঙ্গণে। উদয়ন গৃহের কবিকক্ষে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত চেয়ারে তাঁরা শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করেন। উদয়নের হলঘরে চারটি রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন সঙ্গীত ভবনের পড়ুয়ারা। এরপর প্রথা অনুযায়ী ভিজিটর বুকে সই করেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে কলাভবনে যান। গান্ধীমূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে কালোবাড়ি ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি। মাটি দিয়ে তৈরি ঐতিহ্যবাহী বাড়িটির বিষয়ে কৌতুহলও প্রকাশ করেন তিনি। সেখান থেকে সকলে আশ্রম প্রাঙ্গণও ঘুরে দেখেন। এরপর ঐতিহ্যবাহী ছাতিমতলায় শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপন করেন রাষ্ট্রপতি সহ অন্যান্যরা। সেখান থেকে সরাসরি সমাবর্তন উৎসবে যোগদান করেন।
বেদমন্ত্র ও জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সমাবর্তনের সূচনা হয়। ন’টি ভবনের অধ্যক্ষদের হাতে ছাতিম পাতা তুলে দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বক্তব্যে আগাগোড়াই রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বভারতীর প্রতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি। রবীন্দ্রনাথের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যে ভাবনা নিয়ে বিশ্বভারতীকে তিনি তৈরি করেছেন তার জন্য তাঁকে প্রণাম জানাই। স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন শান্তিনিকেতনের বিষয়ে অনেক ভালো কথা শুনেছিলাম। আমি শুনেছিলাম, শান্তিনিকেতনে গাছের তলায় ক্লাস করে ছোট পড়ুয়ারা। এখানে এসে শুনলাম রবীন্দ্রনাথও গাছের নীচে বসে যোগ(ধ্যান) করতেন। শুধু রবীন্দ্রনাথ নন, বিবেকানন্দ, বুদ্ধদেব প্রত্যেকেই গাছের নীচে বসেই সিদ্ধি ও জ্ঞানলাভ করেছিলেন। গাছের নীচে বসে পড়ার ভাবনা ভাবার জন্য রবীন্দ্রনাথকে আমি প্রণাম জানাই। এই ভাবনার জন্য তিনি নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিলেন। উপাচার্য বলেন, সমাবর্তনে আসার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানাই। বিশ্বভারতীই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যাকে খুব শীঘ্রই হেরিটেজ ঘোষণা করতে চলেছে ইউনেস্কো। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই তার সূচনা হবে। -নিজস্ব চিত্র