গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এই কেন্দ্রের একটা ইতিহাস রয়েছে। এখানে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী ছিলেন অক্ষয়কান্তি বম। তিনি ইতিমধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বিজেপির বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে নির্দল প্রার্থী ছাড়া লড়ছে এসইউসিআই, বহুজন সমাজ পার্টি, অখিল ভারতীয় পরিবার পার্টি ও জনসঙ্ঘ পার্টি। বাম দল এসইউসিআইয়ের দাবি, ইন্দোরে এখন লড়াই বিজেপির সঙ্গে এসইউসিআইয়ের। এমত অবস্থায় বিজেপিকে হারাতে নোটাতে ভোটদানের আবেদন করেছে সিপিএম। এসইউসিআইয়ের পলিটব্যুরো সদস্য স্বপন ঘোষ বলেন, ‘মধ্যপ্রদেশে দলের এক প্রবীণ সদস্যকে ফোন করে বিজেপির এক সমাজবিরোধী নাম প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সম্পাদক প্রতাপ শামল সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষের পরামর্শে প্রার্থী প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ এসইউসিআই নেতৃত্বের বক্তব্য, ‘প্রার্থীকে ফোন করেও নানা রকমের চাপ দেওয়া হয়েছিল। কোনও রকম চাপের কাছে আমাদের দলের প্রার্থী মাথা নিচু করেননি। নোটাতে ভোট দিয়ে সিপিএম কীভাবে বিজেপিকে আটকাবে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এটা হাস্যকর!’ আবার অদ্ভুতভাবে সিপিআই বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, ‘এসইউসিআই প্রার্থীকে আমরা সমর্থন করব। ইন্দোরে আমাদের আর কতটুকু ক্ষমতা! তার মধ্যেও আমরা কিন্তু লড়াই করছি।’
এক কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আর এক কমিউনিস্ট পার্টির কেন এমন মনোভাব? এর জবাবে সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘এই প্রশ্ন ওঠা অত্যন্ত স্বাভাবিক। ওরা কমিউনিস্ট পার্টি কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ওরা যা ভূমিকা নিয়েছে এমনকী বাংলাতেও, তা কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা নয়। নীতিগত অবস্থান থেকেই এটা বলেছে। নোটায় ভোট দেওয়ার অধিকার সকলের রয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক বিষয় হল, ওরা ইন্ডিয়া জোটের শরিক নয়। তাই ওদের সমর্থন করার প্রশ্ন নেই।’