শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এই উদ্ধার হওয়া আইইডি এবং অস্ত্র পরীক্ষা করেছেন। টাইমার লাগানো এই আইইডিকে প্রয়োজনে গ্রেনেড বা প্রেশার বম্ব হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, উদ্ধার হওয়া এই বিস্ফোরক ও অস্ত্র এপারের কারও হাত দিয়ে পাচার করা হচ্ছিল। কিন্তু এই কনসাইনমেন্ট উত্তরবঙ্গে কার জন্য এসেছিল? কে পাঠিয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বড়সড় নাশকতার ছকই যে উদ্দেশ্য ছিল, এবিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মূলত জনবহুল এলাকাকেই টার্গেট করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক অনুমান, উত্তরবঙ্গের সক্রিয় কেএলও জঙ্গিদের হাতেই যেত এই মারণাস্ত্র। বিএসএফের কাছে এই খবর এলো কীভাবে? সূত্রের খবর, ফোন ট্যাপ করেই নির্দিষ্ট খবর পেয়েছিল তারা। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল।
অস্ত্র উদ্ধার তো হল। এরপরেই শুরু হয়ে যায় অন্য বিতর্ক। ওই রাতেই উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও রাসায়নিক পদার্থ ময়নাগুড়ি থানার হাতে তুলে দিতে যায় বিএসএফ। কিন্তু থানা তা গ্রহণ করতে অপারগ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। পুলিস সূত্রের খবর, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএফ জানিয়েছিল, ময়নাগুড়ি বাজার থেকে তা উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ ওই সব সামগ্রী থানায় হস্তান্তর করার সময় পুলিসকে বলা হয় ময়নাগুড়ি রোড হাট থেকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারের ঘটনাস্থল নিয়ে বিএসএফ দু’বার ভিন্ন স্থানের কথা বলায় তাঁরাও আর ঝুঁকি নিতে চায়নি বলে দাবি ময়নাগুড়ি থানার। এদিকে, শুক্রবার রাতে ওইসব সামগ্রী নিয়ে ফিরে আসার পর শনিবার দুপুরে ফের থানায় যান বিএসএফের জওয়ানরা। কিন্তু এদিনও তা গ্রহণ করেনি থানার পুলিস। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিস সুপার ওয়াংদেন ভুটিয়া জানান, বিএসএফ যে সামগ্রী গুলি পেয়েছে, সেগুলি আমরা আমাদের হেফাজতে নিইনি। কারণ আমাদের আলাদা তদন্ত চলছে। এবিষয়ে বিএসএফ অবশ্য কিছু বলতে চায়নি।