নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: যত রাজনৈতিক আক্রমণ, তাঁর বিরুদ্ধেই করা হচ্ছে। অথচ কেউই তাঁর নাম মুখে নিচ্ছেন না। এই ইস্যু নিয়ে রবিবার বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সবাই ভাইপো বলে আমায় আক্রমণ করেছেন। কিন্তু কার‌ও বুকের পাটা নেই আমার নাম নিয়ে কিছু বলার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত আমার নাম নিতে পারেননি। কিন্তু আমি বিজেপি নেতাদের নাম নিতে ভয় পাই না। 
সুর চড়িয়ে তৃণমূলের যুবরাজ এদিনের সভা থেকে দিলীপ ঘোষকে গুন্ডা এবং অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের বহিরাগত বলে মন্তব্য করেন। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতা থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিন। অবশ্য এই বক্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, এতদিন ওরা গুন্ডামি করেছে, এবার আমি করব। আটকে দেখাক। কার কত বুকের পাটা আছে, তা সময়ই বলবে।
এর পাশাপাশি, ‘প্যারাসুট’ এবং ‘লিফ্ট’ নিয়েও কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের যুব সভাপতি। গত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের পালা চলছিল। এদিনও সেই ধারা বজায় রাখলেন ডায়মন্ডহারবারের সংসদ। তিনি বলেন, কেউ প্যারাসুট নিয়ে নেমে নেতা হয়নি। লিফ্টে উঠলে অনেকেই একাধিক পদ পেয়ে যেতেন। মঞ্চে উপস্থিত একাধিক বিধায়কের নাম নিয়ে সাংসদের বক্তব্য, অশোক দেব কিংবা সোনালি গুহরা লিফ্টে করে এলে শুধুমাত্র বিধানসভার সদস্য হয়ে থাকতেন না। রাজনৈতিক মহলের দাবি, প্যারাসুট এবং লিফ্টের ইস্যু তুলে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। এখানেই থেমে যাননি তৃণমূলের যুবরাজ। দলকে মায়ের সঙ্গে তুলনা করে পাল্টা আক্রমণ করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস মায়ের মতো। আর মায়ের সঙ্গে যিনি বিশ্বাসঘাতকতা করবেন, তাঁকে উচিত জবাব দেবেন তৃণমূলের কর্মীরা।
আগামী নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এদিন থেকেই নিজের লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রচার শুরু করে দিলেন অভিষেক। রাজনৈতিক আক্রমণের পাশাপাশি এলাকায় উন্নয়নের কাজ নিয়েও এদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিন মাসের মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা থাকা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের তিনটি ব্লকে ৫৫০টি টিউবওয়েল বসানোর কথা তিনি ঘোষণা করেছেন এদিন।