কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনের বৈঠকে পিএইচই, পূর্ত, উচ্চশিক্ষা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, আইন সহ আরও কয়েকটি দপ্তরের শ্লথগতির কাজের কৈফিয়ত চান মুখ্যমন্ত্রী। টেন্ডারে এস্টিমেট বাড়িয়ে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আসে পূর্ত দপ্তরের বিরুদ্ধে। নগরোন্নয়ন দপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন কেএমডিএ একটি প্রকল্পের জন্য কেন ১১ বার টেন্ডার করেছে, তাও জানতে চান মমতা। নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই প্রকল্পে টেন্ডারে এমন শর্ত আরোপিত ছিল, যাতে কেউ অংশগ্রহণ করতে চাইছিল না। সেই শর্ত এখন শিথিল হয়েছে। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, বিভিন্ন দপ্তরের অভ্যন্তরীণ ফাইল চালাচালির ক্ষেত্রে সচিবদের বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। ফাইল পাঠিয়েই ক্ষান্ত থাকলে হবে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবদের নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলে নিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ক্রমেই পাহাড়প্রমাণ হয়ে ওঠায় উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা। আইন দপ্তরের আধিকারিকদের দ্রুত তা মেটানোর নিদান দেন তিনি। পিএইচই এবং ভূমি-রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব একই ব্যক্তি। তা সত্ত্বেও পিএইচই’র বিভিন্ন প্রকল্প কেন জমিজটে আটকে থাকছে, তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দপ্তর সম্প্রতি তাদের অফিস স্থানান্তর করেছে। স্থানান্তর পর্বে নতুন করে দপ্তর সাজাতে খরচ করা হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। এই বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে তাদের পড়ে থাকা জমিতে একটি গলফ কোর্স তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। ৭০ লক্ষ টাকার ওই প্রকল্পের বিষয়টি উল্লেখ করে কেন একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গলফ কোর্স বানাতে যাবে, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাতিল হচ্ছে ওই প্রস্তাব। আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও কেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর একের পর এক প্রকল্পের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়ে চলেছে, তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। হাতে থাকা প্রকল্পগুলিই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সরকারি কাজের যে সমস্ত ক্ষেত্রে ধীর গতি রয়েছে, তা কীভাবে গতিময় করা যায়, এদিনের বৈঠকে তা নিয়ে বিভিন্ন আধিকারিকদের ‘পাঠদান’ করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। শিক্ষার্থী হিসেবে সেখানে ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। কীভাবে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে, কীভাবে প্রকল্প বাবদ অর্থ জোগাড় করা যাবে, কীভাবে কেন্দ্রের কাছ থেকে আদায় করতে হবে অর্থ এবং সর্বোপরি কীভাবে বজায় রাখতে হবে সরকারি অনুশাসন, এই সব বিষয় নিয়েই সবাইকে অবহিত করেন মুখ্যসচিব।