কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
এনসিআরবি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গোটা দেশে নারী পাচারের ২৫ শতাংশের ভাগীদার ছিল বাংলা। মানবপাচারের ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে এই রাজ্যের শেয়ার ছিল ৪৪ শতাংশ। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন একটা পরিস্থিতিতে মানবপাচার রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পিত পথে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় রাজ্য পুলিস চালু করেছিল ‘স্বয়ংসিদ্ধা’ প্রকল্প। পাচাররোধে সচেতনতা বাড়ানো, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে মারাত্মক বিপদ সম্পর্কে উপলব্ধি বৃদ্ধি, কুপ্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধে এনজিও, সিআইডি’র মতো তদন্ত সংস্থা, বিএসএফ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে লাগাতার প্রচার এই সবই ছিল প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। মানবপাচার রোধে শক্তপোক্ত নীতি রূপায়ণের লক্ষ্যে তৈরি হয় ‘স্টেট প্ল্যান অব অ্যাকশন টু কমব্যাট অ্যান্ড প্রিভেন্ট ট্রাফিকিং’ সংক্ষেপে এসপিএএইচটি। পাশাপাশি নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে মাথায় রেখে রাজ্য স্তরে একটি কমিটি গঠন করা হয়। একইভাবে বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য সচিব পর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। ঘনঘন বৈঠকে বসে এই দুই কমিটি মানবপাচার রোধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার পর্যালোচনা করে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বয়ংসিদ্ধাকে সাফল্যের মুখ দেখাতে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছে কন্যাশ্রী। এতে একদিকে যেমন স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে, তেমনই আবার সবুজসাথী, খাদ্যসাথীর মতো নানা সরকারি প্রকল্প পডুয়াদের মূল স্রোতে থাকতে কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে। আর তার জেরেই কমেছে নারী ও শিশু পাচার। গত ২০১৬ সালের এনসিআরবি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য থেকে পাচার হয়েছিল মোট ৩,৫৭৯ জন। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা ৯০ শতাংশ কমে হয়েছে ৩৫৭। এর পরের বছরের (২০১৮) রিপোর্ট এনসিআরবি এখনও প্রকাশ না করলেও, জানা গিয়েছে পাচার সংখ্যা কমার ধারা অব্যাহত রয়েছে। এনসিআরবি বলছে, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গোটা দেশের শিশু পাচারের ২০.৬৪ শতাংশই হয়েছে বাংলা থেকে। দেশের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি। ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা নেমে ১৬.১ শতাংশ হয়েছে। পাচার কমার সঙ্গেই বেড়েছে উদ্ধার হওয়ার ঘটনা। ২০১৬ সালে উদ্ধার করা হয়েছিল ২৩,৬২৪ জনকে। সেই সংখ্যা দু’গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ৫৩,৩৪৫ জন।