কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য বিরোধীদের কি আরও কিছুটা সময় দেওয়া উচিত ছিল রাজ্যপালের? আপনার কী প্রতিক্রিয়া? জবাবে মমতা বলেন, মনোনীত কিছু ব্যক্তি মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন। মনে রাখা উচিত, কেন্দ্রের সরকারও নির্বাচিত, তেমনই রাজ্য সরকারও। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো কীভাবে চলবে, তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সংবিধান। সেটা লঙ্ঘন করা কারও উচিত নয়। দৃশ্যত বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাজ্যে কী হচ্ছে আপনারা দেখছেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে মনোনীত ব্যক্তিরা কেন্দ্রকেও এড়িয়ে চলেছেন। কেন্দ্রের উচিত বিষয়টি দেখা।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর তাণ্ডব পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বেশ কয়েকটি প্রান্তে এখন ত্রাণ, উদ্ধারকাজ, পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনই সরকারের কাজের অগ্রাধিকারের তালিকায়। সেরকম একটা সময়ে বুধবার বিজেপির যুবমোর্চার কলকাতা পুরসভা চলো অভিযান নিয়ে তুলকালাম হয় শহরে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে গেরুয়া শিবিরের নাম না করে সেই প্রসঙ্গেও খোঁচা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে কিছু লোক রাজনৈতিক বিতর্ক করছেন, রাজনীতি করছেন, ভাঙচুর চালাচ্ছেন। তাঁদের বলব, মানুষের পাশে দাঁড়ান, এটা ভাঙচুরের সময় নয়। রাজনীতি সারা জীবন থাকবে। ভাঙা সহজ, কিন্তু গড়া অত্যন্ত কঠিন। এখন গড়ার সময়। আমরা রাজনীতি করছি না, সাইক্লোন বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই এখন একমাত্র কর্তব্য। বুলবুল পরবর্তী সময়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে নানা ইস্যুতে কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের। সেই বিষয়টি উপলব্ধিতে রয়েছে মমতার। তাঁর কথায়, নোংরা রাজনৈতিক খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। মানুষের স্বার্থ আগে, মানবিকতা আগে।
প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা, রাজস্ব আদায়, বিভিন্ন দপ্তরের কাজের খতিয়ান, অভ্যন্তরীণ সমন্বয় সহ নানা বিষয় উত্থাপিত হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্য থেকে সংগৃহীত টাকার ৪২ শতাংশ গোটা দেশে ভাগ করে দিত। আর্থিক বৃদ্ধির হার কম হতে থাকায় এবার তা হ্রাস পেয়েছে। এর জন্য প্রতিটি রাজ্য দুর্ভোগে পড়েছে। ৬৪০ কোটি টাকা আমরা পাইনি। মমতা বলেন, এত মন্দা ও বৃদ্ধির হার কম থাকা সত্ত্বেও এ রাজ্যের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ এখনও পর্যন্ত ঠিকই রয়েছে। বরং গতবারের তুলনায় তা বেড়েছে। মমতার কথায়, চলতি বছরের গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ৩৪,৮৮৮ কোটি টাকা। গতবার এই সময়ে যা ছিল ৩৩,৭৩৯ কোটি টাকা। তাঁর কথায়, কেন্দ্র অনেক ন্যায্য প্রাপ্য দিচ্ছে না। ১৭ হাজার কোটি টাকা পাই। তা মিলছে না। এই সময় পেলে বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা পুনর্গঠনে কাজে লাগত। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কেন্দ্র সাহায্য করবে বলেছে। আমরা আশা করি, কেন্দ্র সে কথা রাখবে।