কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
পঞ্চায়েত আইনে সংশোধনী এনে প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রে ঠিক হয়েছে, সাড়ে ছ’ মিটার উচ্চ বাড়ির ক্ষেত্রে যে কোনও প্ল্যান অনুমোদন করবে গ্রাম পঞ্চায়েত। সাড়ে ছ’ মিটার থেকে ১৫ মিটার উচ্চতার বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন করবে পঞ্চায়েত সমিতি। আর ১৫ মিটার ও তার বেশি উচ্চতার বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন করবে জেলা পরিষদ। তবে জেলা পরিষদ অনুমোদনের আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমোদন নেয় নির্মাণকারী সংস্থা। এই অনুমোদনের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি’র নামে টাকা নেয় গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি। কিন্তু পঞ্চায়েত আইনে এভাবে কোনও ডেভেলপমেন্ট ফি নেওয়ার সংস্থান নেই বলে জানিয়েছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের এক শীর্ষ আধিকারিক।
কিন্তু এ ধরনের উন্নয়ন ফি নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরে। ওই দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এম ভি রাওয়ের কাছেও এ ধরনের একটি অভিযোগ জমা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই অভিযোগ নবান্ন পর্যন্ত পৌঁছেছে। পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও সম্পত্তি কর, নিকাশি ব্যবস্থা বা প্ল্যান অনুমোদন ফি ছাড়া কিছু নেওয়া যাবে না। উন্নয়ন ফি’র নামে কাটমানি খাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। কাটমানি রুখতে চান নবান্নের শীর্ষকর্তারা।
নবান্নের নির্দেশে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তা একশো দিনের কাজ হোক, বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরি অথবা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরি করা হোক। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে জেলাস্তরে। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি যাতে কোনও অনিয়ম না করে, তার জন্য জেলাশাসকদের নজরদারি করতে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদ উন্নয়ন ফি’র নামে টাকা নিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পঞ্চায়েত দপ্তর জানিয়েছে।