কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
এক্ষেত্রে দু’টি মত পাওয়া গিয়েছে। একটি ক্ষেত্রে নতুন বছরের প্রথম মাসের শুরুতেই নির্বাচন করানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। আবার ফেব্রুয়ারি মাসেও নির্বাচন করানো হতে পারে। ছাত্র সংগঠনের একটি সূত্রের মতে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে তারপরে কলেজের দিকে নজর দেওয়া হবে। সেইভাবেই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট চূড়ান্ত হবে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতৃত্ব অবশ্য নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য নির্বাচনী নির্ঘণ্ট নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, যেদিনই নির্বাচন হোক আমরা তার জন্যে তৈরি। এক্ষেত্রে ক’দফায় নির্বাচন হচ্ছে তা নিয়ে আমরা ভাবছি না। সদ্য প্রেসিডেন্সির নির্বাচনী সাফল্যে উৎসাহিত এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমৃতেন্দু দাস বলেন, বহিরাগতদের দিয়ে ভোট লুটের পরিকল্পনা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ একাধিক দফায় নির্বাচন করাতে পারে, সেই অনুমান আমাদের আছে। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে যেমন প্রেসিডেন্সি পথ দেখায় ছাত্র সংসদের ক্ষেত্রেও তেমনি ওই ফলাফলই ছাত্র সমাজকে পথ দেখাবে।
কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আদৌ করানো হবে কি না এনিয়েই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্দরে একসময় দ্বিধা ছিল। গত কয়েক মাসে পরিস্থিতিতে বড় বদল আসে। দল এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফেও নির্বাচন করানো নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি হয়। বিষয়টি আরও বেশি করে প্রকাশ্যে আসে শাসকদলের ছাত্র সংগঠন রাজ্যের কলেজগুলিতে সমীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেওয়ায়। পুজোর আগেই জেলাগুলিতে সংগঠনের সভাপতিদের কাছে কলেজগুলির পরিস্থিতি জানতে চেয়ে ছাপানো ফরম্যাটে সমীক্ষার নির্দেশ পাঠানো। সম্প্রতি সেই নির্দেশিকাতে কিছুটা বদল এনে আরও কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকাও ইতিমধ্যেই জেলাতে জেলাতে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনী রণনীতিও প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে শাসকদল ও তার ছাত্র সংগঠন।
শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা ধরে একাধিক দফায় রাজ্যের কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করানোর পরিকল্পনা হয়েছে। অবস্থা বুঝে প্রত্যেক দফায় তিনটি করে জেলাকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলির নির্বাচন প্রথম দফায় করানো হবে। দ্বিতীয় দফায় দুই ২৪ পরগনার এবং বর্ধমানের একাংশের নির্বাচন করানো হতে পারে। তৃতীয় দফায় ও চতুর্থ দফায় দক্ষিণবঙ্গের বাকি কলেজগুলির নির্বাচন করিয়ে দেওয়া হবে। মালদহ সহ দুই দিনাজপুর ও উত্তরের বাকি জেলাগুলিকে পরবর্তী দু’দফায় আনা হতে পারে। তবে দফাভিত্তিক জেলার নামে বদল এলেও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের নির্বাচন করানোর পরেই উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পাশাপাশি, কলকাতা সহ একাধিক জেলার নির্বাচন মিটে গেলে রাজ্য নেতৃত্বকে উত্তরের জেলাগুলির দায়িত্ব দিয়ে পাঠানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত সংগঠনের নির্বাচনী কৌশলের সঠিক রূপায়ণের জন্যেই দফায় দফায় ছাত্রভোট করানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে শেষ লোকসভার নির্বাচনী ফলাফলও কৌশল নির্ধারণে ভূমিকা নিয়েছে। যদিও জানুয়ারি না ফেব্রুয়ারি কেন মাস থেকে ভোট শুরু হবে তা চূড়ান্ত হয়নি।