বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিকে, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় কারা থাকবেন, কারা বাদ পড়বেন আর কারাই বা হবেন নতুন মুখ, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। জোড়াফুল শিবিরের সঙ্গেই তা নিয়ে উৎসুক হয়ে রয়েছে বাম, কংগ্রেস ও গেরুয়া মহল। তৃণমূল সূত্রের খবর, বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের অন্যতম মুখ দাপুটে বিধায়ক ও সংগঠক অর্জুন সিংকে প্রার্থী করা হোক, এমন দাবি সামনে এসেছিল। এমনকী তা না হলে, অর্জুন তাঁর এক আত্মীয় বিধায়ককে নিয়ে বিজেপি শিবিরে নাম লেখাবেন, এমন জল্পনাও শুরু হয়েছিল। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বারাকপুরের বর্তমান সংসদ সদস্য দীনেশ ত্রিবেদি এবং অর্জুনকে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন নবান্নে। সেখানেই ঠিক হয়, অর্জুনই থাকবেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রচারের প্রধান কাণ্ডারী। একইসঙ্গে বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের কোন কোন আসনে তৃণমূল প্রার্থী দেবে, তাও ঠিক করবেন তিনি। অর্জুন জানান, দলের সৈনিক হিসেবে নেত্রীর নির্দেশ তিনি পালন করবেন।
লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার অনেক আগে থেকেই ঝাড়গ্রাম, আরামবাগ এবং মেদিনীপুর আসনে প্রার্থী বদল নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এদিন সেই তিন কেন্দ্রের তিন মহিলা সাংসদ যথাক্রমে উমা সোরেন, অপরূপা পোদ্দার এবং সন্ধ্যা রায়কে নবান্নে ডেকে পাঠান মমতা। দীর্ঘ আলোচনার পর তিনজন বেরিয়ে যান। বের হওয়ার সময় তাঁদের ‘শরীরী ভাষা’ দেখে প্রার্থী বদলের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম আসনে স্কুল শিক্ষিকা বীরবাহা টুডুর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে জোড়াফুল শিবিরের অন্দরে। জঙ্গলমহল তথা গোটা রাজ্যের আদিবাসী আন্দোলনের অন্যতম মুখ রবীন টুডুর স্ত্রী বীরবাহাদেবী। তিনি নিজেও সেই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। একইভাবে আরামবাগ আসনে মহিলা কমিশনের এক প্রাক্তন কর্ত্রী এবং মেদিনীপুর আসনে রাজ্যসভার এক সদস্যের নাম প্রার্থী হিসেবে সামনে উঠে এসেছে। সূত্রের খবর, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রেও প্রার্থী বদল করছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে প্রয়াত এক দাপুটে সিপিএম নেতার বড় ছেলে অথবা বাংলা সিনেমার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও, নদীয়ার এক মহিলা বিধায়ক এবং কলকাতা পুরসভার এক মেয়র পারিষদের নামও প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রাজ্যে সাত দফার নির্বাচনকে বিজেপি’র গেম প্ল্যান হিসেবে আখ্যা দিলেও, গোটা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জের আকারে নিয়েছেন মমতা। এদিন তাঁর দৃপ্ত ঘোষণা—সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশনকে সম্মান করি। কিন্তু এটা বিজেপি’র কৌশল। ওদের কাছে এটা ব্যুমেরাং হবে। সাত দফায় অনেক সময় পাব। হেসে-খেলে নির্বাচনটা করে নেব। মমতা বলেন, এত সময় পেলাম, অসম, উত্তর-পূর্ব ভারত, ঝাড়খণ্ড, বিহার সহ আরও কয়েকটি জায়গায় প্রচারে যেতে পারব। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, বিহার, উত্তরপ্রদেশ আর বাংলায় সাত দফায় ভোট হচ্ছে। ভালোই হয়েছে, আসলে নতুন সরকার গঠনে এই তিন রাজ্যই তো বড় ভূমিকা নেবে। বিজেপি বাংলার মানুষকে বারবার অপমান করছে। এর জবাব ওরা ভোটেই পাবে। মমতা সাংবাদিকদের বলেন, দেখেছেন, ১৯-এর ভোট, ১৯’এ ব্রিগেড আর ১৯ তারিখেই শেষ দফার ভোট। ১৯’ই বিজেপি’র শেষ। গেরুয়া শিবিরকে এহেন ভাষায় বিদ্ধ করার সঙ্গে একটি আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, অনেক প্রবীণ সাংবাদিকদের কাছ থেকে শুনলাম, তথাকথিত আরও একটা ‘স্ট্রাইক’ করার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি। তবে কী সেটা বলব না। এপ্রিল মাসে করতে চাইছে ওরা। তাই এত লম্বা সময় ধরে ভোটের প্রক্রিয়া। -নিজস্ব চিত্র