মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাও জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৪ সালটি বিশ্বের উষ্ণতম বছর ছিল। প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় এবারই প্রথম বিশ্বের গড় উষ্ণতা দেড় ডিগ্রির থেকে বেশি ছিল। এর আগে কখনও গড় তাপমাত্রা প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় দেড় ডিগ্রি অতিক্রম করেনি। ভারতে তাপমাত্রার হিসেব রাখার প্রক্রিয়া ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয়। তারপর থেকে ২০২৪ সালে প্রথম গড় দীর্ঘকালীন তাপমাত্রার তুলনায় তাপমাত্রা ০.৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এর আগে ২০১৬ সালের এটা ছিল ০.৫৪ ডিগ্রি বেশি।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। আবহাওয়া খামখেয়ালি আচরণ করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি এর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে এই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাইছেন না আবহাওয়াবিদরা। আগামী কয়েক বছরের প্রবণতা দেখার পর এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়ার ব্যবস্থা আরও উন্নত হওয়ার পরেও প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগজনক, এটা মানছেন আবহাওয়াবিদরা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্য বজ্রপাত ও ঝড়ে মৃত্যু এখন সবথেকে বেশি হয়। ২০২৪ সালে এই কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৩৭৪ জনের। ২০২৩ সালে বজ্রপাত ও ঝড়ের জন্য দেশে মারা গিয়েছিলেন ১৩৩৩ জন। ২০২৪ সালে ঘূর্ণিঝড়ে মারা গিয়েছেন ৭০ জন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩৬। গত বছরে বন্যা ও অতিবৃষ্টিজনিত কারণে দেশে মারা গিয়েছেন ১২৮৭ জন। এটাও ২০২৩ সালের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। অতিবৃষ্টি ও বন্যার জন্য ২০২৩ সালে মোট ৮৯০ জনের মৃত্যু হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে এরপরে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে তাপপ্রবাহের জন্য। ২০২৪ সালে তাপপ্রবাহের জন্য দেশে ৪৫৯ জন মারা গিয়েছেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৮১। অর্থাৎ সরাসরি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মৃত্যু বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২০২৪ সালে বেশি মৃত্যু হয়েছে, বিহার, কেরল, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে। এই রাজ্যগুলির প্রতিটিতে ৪০০ মানুষ বেশি মারা গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু অনেক কম, ৫০-এর আশপাশে। এখানে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাত ও ঝড়ের জন্য।