মনোরম স্থানে সপরিবারে ভ্রমণ ও আনন্দ উপভোগ। সম্পত্তি সংরক্ষণে সচেষ্ট না হলে পরে ঝামেলায় পড়তে ... বিশদ
সম্প্রতি বাংলা ক্রিকেট দলের নাম ঘোষণা হয়েছে। সেই দলে জায়গা পেয়েছে অঙ্কিত। ফলে খুশির হাওয়া তার পরিবারে। খুশি ছড়িয়েছে বনগাঁজুড়েই। আগেই বাংলার অনূর্ধ্ব ১৩ এবং ১৯ দলে জায়গা পেয়েছিল। অনূর্ধ্ব ১৯ টিমের হয়ে নেমে বিনু মাঁকড় ট্রফিতে বাঁহাতি অঙ্কিত ৯১ বলে ১১৫ রান করে। এছাড়াও একটি শতরান এবং ৯২ রানের ইনিংস খেলেছিল। অনূর্ধ্ব ১৬ টিমের হয়ে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২২৪ বলে ১৮৮ রান করেছিল। নজরকাড়া খেলার জেরেই বাংলার রঞ্জি দলে জায়গা বলে মনে করছে সবাই।
বনগাঁর চালকির বাসিন্দা অঙ্কিতের সাফল্য রাতারাতি আসেনি। তাকে পেরতে হয়েছে অনেক আঁকাবাঁকা পথ। ভোর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলকাতা গিয়ে অনুশীলন করতে হয়েছে। ট্রেনে যেতে যেতে ক্লান্তিতে ঘুম নেমে আসত চোখে। বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন বারবার তার ঘুম ভাঙিয়েছে। ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা কঠোর পরিশ্রমে উদ্বুদ্ধ করেছে। তা থেকেই এসেছে সাফল্য। অঙ্কিতের বাবা অনুপ চট্টোপাধ্যায় ব্যবসায়ী। মা মিঠুদেবী গৃহবধূ। তাঁদের পাশাপাশি দুই দাদা সবসময় প্রেরণা দিয়ে গিয়েছে তাকে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে টিভিতে খেলা দেখে ক্রিকেটকে ভালোবেসে ফেলে অঙ্কিত। তার প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। ছেলের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা দেখে বাবা বল, ব্যাট কিনে দেন। সাড়ে আট বছর বয়সে বনগাঁ সোনালি স্পোর্টিং ক্লাবে কোচিংয়ে ভর্তি করে দেন। শিক্ষক দোলন গোলদারের প্রশিক্ষণে শুরু হয় পথচলা। ছাত্রের সাফল্যে গর্বিত দোলন। তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই ওর মধ্যে প্রতিভা দেখেছিলাম। যত দিন গিয়েছে ততই নিজেকে মেলে ধরেছে। ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে ওকে দেখতে চাই।›
বনগাঁ হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র অঙ্কিত। তার সাফল্যে খুশি স্কুলের শিক্ষকরা। কল্যাণীতে শুরু হয়েছে বাংলা দলের কোচিং। সেখানে যোগ দিয়েছে অঙ্কিত। সে জানিয়েছে, ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। দোলন স্যার আমাকে সর্বক্ষণ সাহস জুগিয়েছেন। বাবা-মার পাশাপাশি দাদারাও পাশে থেকেছেন। একটাই লক্ষ্য, ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া।’ নিজস্ব চিত্র