বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
বছরের শেষ রবিবার নদীয়ার চাকদহ থেকে এই অভয়ারণ্যে এসেছিলেন বিকাশ ঘোষ। বিশাল জঙ্গলের সীমানা ঘুরে কয়েকটি হরিণের দর্শন পান তিনি। হতাশার সুরে তিনি বলেন, জঙ্গলের ভিতরে ঢুকতে জনপ্রতি ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কয়েকটি হরিণ ছাড়া দেখার তেমন কিছু নেই। একই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন হালিশহরের বাসিন্দা জে পি বিশ্বাস। অভয়ারণ্যের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদীতে নৌকাবিহারও ছিল পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। নদীতে কচুরিপানা থাকায় সেই সুযোগেও ধাক্কা লেগেছে। স্থানীয় মাঝিরা নদীর কিছুটা পরিষ্কার করে কোনওমতে নৌকা চালাচ্ছেন।
কয়েক বছর আগেও এখানে বেশ কয়েকটি ময়ূর ছিল। বর্তমানে দু’টি মাত্র ময়ূর রয়েছে। কয়েকটি দেশি, বিদেশি পায়রা ও পাখি রয়েছে এখানে। অভয়ারণ্যে প্রবেশে জনপ্রতি ১০০ টাকা। পিকনিক করলে সেটাই হচ্ছে ১৩০ টাকা। এর উপর বাস বা ট্রাকের ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা। ছোট গাড়ির ক্ষেত্রে ৬০ টাকা টিকিট। এবিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বনাধিকারিক অভিজিৎ কর বলেন, পর্যটক কম আসার মূল কারণ মাইকের ব্যবহার বন্ধ করা। আমরা পশুপাখির কথা ভেবে মাইক ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করেছি। প্রবেশ মূল্য কিছুটা কমানো হয়েছে পর্যটকদের কথা ভেবেই। তিনি আরও বলেন, জঙ্গলের ভিতর সরকারি একটি অতিথিশালা ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। ফলে দূর থেকে অনেকেই আসছেন না। আমরা চেষ্টা করছি সেটি ফের চালু করার।
বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যের মোট আয়তন ৯৩.৭ হেক্টর। এর মধ্যে ৬৪ হেক্টর জমি হরিণদের জন্য সংরক্ষিত। এখানে মূলত চিত্রা হরিণ দেখা যায়। বর্তমানে প্রায় ২৫০টিরও বেশি হরিণ রয়েছে পারমদনে। বিশাল জঙ্গলে ঘেরা পারমদন অভয়ারণ্য শিমুল, পলাশ, শিরিষ, অর্জুন প্রভৃতি গাছের সমারোহ প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে খুবই পছন্দের।