উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
বছর বত্রিশের রাজু রায় সেই রাতে জগাছার ধাড়সা পঞ্চাননতলার বাড়ি থেকে বন্ধু মঙ্গল সাউয়ের বাইকে করে বেরিয়েছিলেন। পরিবারের দাবি, দু’জনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। মঙ্গল পরে বাড়ি ফিরে এসে জানান, তাঁরা বাইকে করে লিলুয়া থানা এলাকার জয়পুর ব্রিজের দিকে গিয়েছিলেন। সেখানে বৃহন্নলাদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিসের একটি গাড়ি চলে আসায় তিনি বাইক নিয়ে পালিয়ে যান। খানিক বাদে সেখানে ফিরে এলে বৃহন্নলারা বলেন, পুলিস ওই যুবককে তুলে নিয়ে গিয়েছে।
লিলুয়া থানার দাবি, তারা সেদিন ওই নামের কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করেনি। তাহলে রাজু গেল কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একবার জগাছা, একবার লিলুয়া থানায় ছুটছে রাজুর পরিবার। রাজুর খোঁজ দিতে পারেনি কোনও থানাই। স্বভাবতই পুলিসের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর ভাই সঞ্জু রায়।
সঞ্জুর দাবি, দাদার বন্ধু মঙ্গল সাউ এবং জয়পুর ব্রিজের ধারে সেই রাতে দাঁড়িয়ে থাকা বৃহন্নলাদের বক্তব্যের মধ্যে ফারাক রয়েছে। অথচ তাঁদের কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি পুলিস। রাজুর পরিবারের অভিযোগ, প্রথম দিন থেকেই এই নিখোঁজ মামলায় গাছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছে হাওড়া সিটি পুলিস। তাঁদের দাবি, পুলিস শুধু মিসিং ডায়েরি করেই ফেলে রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে হাওড়া কমিশনারেটের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ঘটনার চার-পাঁচদিন পর ওই যুবককে জয়পুর ব্রিজ সংলগ্ন একটি হোটেলে দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি পরিবারকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে লিলুয়া থানা।