কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে আমতা আমতা করতে থাকেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বলেন, ‘আসলে ৭ হাজার ৮৮০টি সাজেশন জমা পড়েছে এনটিএফে। সেগুলি দেখতেই সময় যাচ্ছে।’ সেই যুক্তি তেমন কর্ণপাত করেনি শীর্ষ আদালত। শুনানির পর্যবেক্ষণে সাফ জানানো হয়, ‘এনটিএফের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন’। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এনটিএফ-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে দীপাবলির পর।
এদিনও আদালতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন আন্দোলনকারী ডাক্তারদের একাংশের আইনজীবী। অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য কোনও কাজ হয়নি। যদিও সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাজ্য ছবি সহ তথ্য দিয়েছে। ফলে শুধু শুধু অভিযোগ করলেই তো হল না। রাজ্য সরকার ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ২৮টি মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা পরিকাঠামা মজবুত করেছে।’ রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে জানান, অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কাজ প্রায় শেষ। শুধু আর জি করে দেরি হচ্ছে। সিবিআই ৯ এবং ১৪ অক্টোবর অনুমতি দিয়েছে। ৩১ তারিখের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
সিবিআইও এদিন স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সুপ্রিম কোর্টে। তা খতিয়ে দেখে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ‘তদন্ত চলবে। ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পাশাপাশি আর্থিক অনিয়মেরও তদন্ত চলছে। সঞ্জয় রায় ছাড়া আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা দেখছে সিবিআই।’ আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্য সরকারও মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালগুলিতে ১ হাজার ৫১৪ জন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দী। প্রধান বিচারপতিও জানতে চান, কীভাবে এই নিয়োগ হচ্ছে? রাজ্য জানায়, ২০০৫ সালের কেন্দ্রীয় আইন মোতাবেকই নিয়োগ হয়েছে। যদিও এর আগে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তখনই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘কোন যোগ্যতায়, কীভাবে ওই সিভিক নিয়োগ হয়েছিল?’ শীর্ষ আদালত জানায়, যেহেতু মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার, তাই কোনও হাসপাতাল, স্কুলে যেন তাদের ডিউটি না দেওয়া হয়। ডাক্তারদের আন্দোলন, অনশন, ছাত্র সংসদের নির্বাচন ইস্যুতে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, প্রয়োজন মনে করলে হাইকোর্টে যান।