ব্যবসায় বেচাকেনা বেশ ভালো হবে। কাজকর্মে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির আনুকূল্য লাভ ও ভাগ্যোন্নতি। ... বিশদ
দু’টি ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রার পাশাপাশি এদিন ধনেখালি থেকে চন্দননগর, এবং চণ্ডীতলায় একাধিক রথযাত্রা হয়। সেগুলিতেও আমজনতার ভিড় ছিল নজরকাড়া। চণ্ডীতলার গরলগাছার মুখোপাধ্যায় বাড়ির রথ এবারে ১৭৫ বছরে পা দিয়েছে। সেখানেও স্থানীয় মানুষের ভিড় ছিল। হুগলি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সর্বত্র নিরাপদে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে। ভ্যাপসা গরমের হাত থেকেও হুগলির মানুষের রেহাই মেলেনি। রথযাত্রার দিনও বেশ গরম পড়েছিল। তারমধ্যেই সকাল থেকে মাহেশের মন্দিরে অগণিত ভক্তের ভিড় জমতে শুরু করে। এবারে জগন্নাথের স্নান উৎসবের জন্য বিশেষ মোক্ষযোগ ছিল। প্রায় ৪৭বছর পরে সেই যোগের কারণেই বিপুল ভিড় হওয়ার আভাস সেবায়েতরা দিয়েছিলেন। সেই পূর্বভাস মিলিয়ে সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল নামে মাহেশের মন্দিরে। নানা রীতি রেওয়াজ ও পুজোর আয়োজন সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। দুপুরে ভিড় প্রবল আকার নেয়। বিকেলে জগন্নাথদেবকে মাসির বাড়ি রথে করে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভক্তদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলাশাসক মুক্তা আর্য সহ বিশিষ্টরা। রবিবার বিকেলে রথের রশি টানতেও ভক্তদের মধ্যে হুড়োহুড়ি দেখা গিয়েছে। পুলিস কর্মীদের বারবার ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে মাহেশের রথকে কেন্দ্র করে পুলিস ও প্রশাসনের প্রস্তুতি ছিল নিবিড়। এদিন সকাল থেকে ড্রোন নজরদারি শুরু করেছিল পুলিস। সিসি ক্যামেরা, বিরাট পুলিস বাহিনি, একাধিক ওয়াচ টাওয়ার, কুইক রেসপন্স টিমের তৎপরতা দেখা গিয়েছে। গুপ্তিপাড়ার রথকে কেন্দ্র করে সিসি ক্যামেরার নজরদারির পাশাপাশি জলপথে বাড়তি নজর দিয়েছিল প্রশাসন। নদীয়া জেলা ও গুপ্তিপাড়ার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে গঙ্গা। সেখানে ফেরি যোগাযোগ আছে। ফলে গুপ্তিপাড়ার রথের দিন নদীয়া থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। এদিন দুপুর থেকে ভক্তদের ঢল নেমেছিল গুপ্তিপাড়ার রথের সড়কে। রথের পাশাপাশি মেলাকে ঘিরেও ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা দেখা দেয়। তবে মেলা শুধু গুপ্তিপাড়াতে ছিল তা নয়, চুঁচুড়াতেও বসেছিল মেলা। বাতাসে জিলিপি আর পাঁপড়ের গন্ধ দুপুর থেকেই পাক খেয়েছে।