মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এমনিতে বজবজ ২ এর রায়পুরের এই নদী বাঁধ চার ফুট চওড়া ছিল। অনেকটা অংশ জুড়ে এক ফুট ভেঙে আগেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে।
যতটুকু অবশিষ্ট ছিল, তাও রোজের জোয়ার-ভাটায় ভাঙতে ভাঙতে আরও বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেমাল ঘূর্ণিঝড় তা যে কোনও সময় উড়িয়ে দিতে পারে
বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রায়পুর বাজারের ব্যবসায়ীদের বড় অংশ। এলাকার মানুষ মুক্তিপদ মণ্ডল,
সুব্রত দাস থেকে প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, অনেকদিন ধরে এই ভাঙনের অংশের স্থায়ী মেরামতের দাবি করেছে
মানুষ। এখন রেমাল চলে আসায় জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। প্রদীপবাবু বলেন, ঝড়ের গতিবেগ যা শোনা যাচ্ছে, তাতে এখানে ভাঙন বিধ্বস্ত এই বাঁধ টপকে জল ঢুকে যেতে পারে গ্রামে। এটা হলে আড়াই হাজার পরিবার বসত থেকে উৎখাত হয়ে যাবে।
তবে মহকুমা শাসক তমোঘ্ন কর এবং বজবজ ২ এর বিডিও শুভব্রত চক্রবর্তী এদিন বলেন, এখনও সেই পরিস্থিতি হয়নি। তবুও সতর্কতা হিসেবে রিলিফ সেন্টারের ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। সেচদপ্তরের একটি টিম নজরদারি করছে ওই এলাকায়। সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। আসলে রায়পুরের ওই বাঁধ থেকে ৫০ ফুট দূর দিয়ে জাহাজ চলাচল করার চ্যানেল রয়েছে। রোজ জাহাজ যাওয়া ও আসার জন্য জলোচ্ছ্বাস হচ্ছে। তার ধাক্কা এসে ওখানকার নদী বাঁধের উপর আঘাত হানছে। ফলে তা আরও ভাঙছে। এই কারণে স্থায়ী কাজ করা যাচ্ছে না। রেমাল ও ভোট মিটে গেলে স্থায়ী কাজ করা হবে।