মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
কুলতলির দেউলবাড়ির আদুলের ট্যাঁক, মুসলিমপাড়, কৈখালি সহ মৈপীঠের ভুবনেশ্বরীতে নদীবাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। বহু জায়গাতেই রয়েছে মাটির বাঁধ। রবিবার সকাল থেকে মাতলা, ঠাকুরান, মাকরি নদীতে জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। সংলগ্ন গ্রামের উদ্বিগ্ন মানুষ বাঁধের দিকে নজর রাখছেন। দেউলবাড়ির আদুলের ট্যাঁক এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। মশারির ভিতর বেঁধে রাখা হয়েছে গবাদি পশু। গৃহবধূ আমিনা বেগম বলেন, অবস্থা খারাপ হচ্ছে ধীরে ধীরে। যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে গ্রামে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করবে। বাসিন্দা কাজল হালদার বলেন, আমাদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। নদীতে জল বাড়ছে। বৃষ্টির মধ্যেও বাঁধ পাহারা দিতে যেতে হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে গোটা কুলতলিতে চলছে লোডশেডিং। জামতলা মোড় থেকে শুরু করে কুলতলির বিভিন্ন রাস্তায় লোকজন চলাচল অন্যদিনের তুলনায় কম ছিল। দোকানপাট সকাল থেকে খোলা থাকলেও বৃষ্টির তেজ বাড়ায় দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। অনেক গ্রামে ইতিমধ্যেই চাষের জমিতে জল জমতে শুরু করেছে। রাস্তাতেও জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
আবার উল্টো ছবিও দেখা গিয়েছে। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাতলা, ঠাকুরান নদীর পাড়ে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারাও বাইক নিয়ে আসতে থাকেন এখানে। কেউ জলের ঢেউয়ের ছবি মোবাইল বন্দি করছেন। কেউ আনন্দে নদীতে স্নান করতে নেমে গিয়েছেন। যদিও সকাল থেকেও নদীর পাড়ে কুলতলির পুলিস ও প্রশাসনের লোকজনের দেখা মেলেনি। হয়নি কোনও মাইকিং। তবে মৈপীঠের পুলিস গ্রামের লোকজনকে নিয়ে বাঁধ মেরামতের কাজের তদারকিতে নেমেছিলেন। পুলিস প্রশাসনের বিধি উড়িয়ে নৌকাও চলতে দেখা গিয়েছে নদীতে। কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডল বেলার দিকে ফ্লাড সেন্টার ও কৈখালি, দেউলবাড়িতে নদীর বাঁধ দেখতে গিয়েছিলেন। কুলতলি ব্লকের বিডিও সুচন্দন বৈদ্য বলেন, আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি পরিস্থিতির উপরে। তিনটি জায়গায় বাঁধের অবস্থা খারাপ। ৬২টি ফ্লাড সেন্টার আর স্কুলগুলিকে তৈরি রাখা হয়েছে। সেখানে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।