মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শুক্রবার বেলা দু’টোর সময় হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে সভা ছিল মমতার। সভা শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগে শুরু হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঝড়-বৃষ্টির কারণে একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়ে সভা। অন্যদিকে হাড়োয়াতে পৌঁছতে পারবেন না ধরে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর ফোনে সাধারণ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে তারপর কর্মী-সমর্থকদের অপেক্ষা করতে বলেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আবহাওয়া ভালো হলে আমি যাব।’ তারপর কথা রাখতে কিছুক্ষণ পর হাজির হন সভাস্থল হাড়োয়ার সার্কাস মাঠে। তখনও ঝিরঝির করে বৃষ্টি হচ্ছে। তারই মধ্যে দেখা গেল, আকাশে কপ্টার চক্কর কাটছে। ছাতা মাথায় দলের কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা ও কথা শোনার জন্য দাঁড়িয়ে রইলেন। বক্তব্য শুরু করে বলেন, ‘ভোটে জেতার পর আমি হাড়োয়াতে আসব। এখানে আসার জন্যও আমি এয়ারপোর্টে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আপনাদের ফোনে বার্তা দিয়েছি। কিন্তু তারপরও আমি আরও পাঁচ মিনিট সময় নেব।’ তারপর বিরোধিদের অনৈতিক কাজকর্মকে ফালাফালা করে ক্ষুরধার বক্তব্য শুরু করেন। উল্লাসে ফেটে পড়ে মাঠ। সন্দেশখালি ইস্যুতে মমতা বলেন, ‘মা-বোনেদের সম্মান নষ্ট করেছে বিজেপি। এরপরও তারা বড় বড় কথা বলছে। আগের ভোটের সময় মানুষকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু দেয়নি। এখন টাকা দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা করছে। বিজেপি নেতাদের গাড়িতে করে বস্তা ভরে টাকা আনতে দেখা যাচ্ছে। টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। আর পরে বলবেন ১৫ লক্ষ টাকা দিন। তারপর বিজেপিকে ভোট দেব।’ এরপর দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমরা বিজেপিকে হারাবই। এটাই আমাদের শপথ।’ দলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামকে ইভিএমে চার নম্বর বোতাম টিপে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘এই বাংলা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নজরুল ইসলামের বাংলা। সংস্কৃতির সেই ধারা আমরা বজায় রাখবই।’ বক্তব্যের মাঝেই মঞ্চে থাকা বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।
এদিন সভায় হাজির হন দাদপুর অঞ্চলের তৃণমূলের উপপ্রধান আব্দুল হাই। তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষের আবেগের অপর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আবার তা প্রমাণ হল। দুর্যোগ সত্ত্বেও দিদির উপস্থিতি আমাদের নতুন করে অক্সিজেন জোগাল।’ কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের কাছে অনেক ছোট। আমাদের কাছে বড় দুর্যোগ হল বিজেপি। তাই বিজেপিকে হটাতে আমাদের দুর্যোগ উপেক্ষা করে লড়তে হবে।’ মঞ্চের সামনে বসেছিলেন দীপা কর্মকার, সুহানা পারভিনরা। তাঁরা বলেন, ‘দিদি আসবে না শুনে মন খারাপ করে আমরা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চলে গিয়েছিলাম। যখনই শুনলাম দিদি আসছেন কোনওদিকে না তাকিয়ে চলে এসেছি। দিদি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সভায় এসেছেন। আমরা তাই ফিরে চলে এসেছি। কেন আসব না, দিদি আমাদের সারা জীবন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা দেবেন। আর বিজেপি তা বন্ধ করবে বলছে। এর জবাব আমরা দেব এক জুন।’