গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এদিন সায়নীকে ঘিরে এলাকাবাসীর উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। এক মহিলা তাঁকে স্থানীয় পুজোয় নিমন্ত্রণ করেন। ফুল-মালা-চকোলেট দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় সায়নীকে। এক মহিলা তাঁকে বলেন, তোমার জন্য লড়ছি, তুমি জিতবেই। এখানে প্রচার শেষ করে সায়নী চলে যান ভাঙড়ে। সেখানে তাঁর সমর্থনে জনসভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার এখানেই শেষ নয়, এরপর সন্ধ্যায় কলকাতা পুরসভার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন সায়নী। এই পর্বেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন অরূপ বিশ্বাস ও যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। সায়নী এই এলাকায় কয়েকটি পথসভাতেও অংশ নেন।
অন্যদিকে, যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য এদিন সকালে বারুইপুর স্টেশনে জনসংযোগ করেন। তারপর ডায়মন্ডহারবার লোকালে উঠে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর কল্যাণপুর স্টেশনে নেমে বারুইপুরের শিখরবালি ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে যান সৃজন। টোটোয় চেপে গ্রামের অলিগলি চষে বেড়ান প্রার্থী। সৃজনকে ঘিরে গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্দীপনা ছিল ভালোই। পথে কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রী ছুটে আসেন। তাঁর আব্দার, প্রার্থীর সঙ্গে ছবি তুলতেই হবে তাঁকে। হাসিমুখে সেই আব্দার পূরণ করেন সৃজন। কেউ বলেন, তুমি ইয়ং ছেলে লড়তে পারবে। এগিয়ে যাও। আর একটি গ্রামে যেতেই এক গৃহবধূ সৃজনের কাছে পানীয় জলের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সিপিএম প্রার্থী বলেন, তৃণমূল বুঝতে পারছে, তাদের পায়ের তলার মাটি আলগা হচ্ছে। এবার বুথ দখলের ক্ষমতা নেই বুঝে আগে থেকেই মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। মারধর করছে। তৃণমূল সিপিএমকে ভয় পাচ্ছে। এদিন সৃজনের হয়ে হরিনাভি ও যাদবপুরে প্রচার করেন সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতে ভোট লুটের জবাব দেবে মানুষ।
অন্যদিকে, এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের আই ব্লক থেকে প্রচার শুরু করেন। হুড খোলা জিপে চেপে তিনি প্রচার করেন। সন্ধ্যায় গড়িয়ার শীতলা মন্দির এলাকায় জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। এর মাঝে তিনি গিয়েছিলেন গড়িয়ায় বুদ্ধ বিহারে। সমাজের বিশিষ্ট মানুষজনের সঙ্গে তিনি বৈঠকও করেন এদিন।