পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
তিনি জানান, সত্তরের দশকে রাজনীতিতে পা রাখা। অবিভক্ত সোনারপুরের কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন দীর্ঘদিন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের অন্যতম নেতা। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক। তৃতীয়বারের জন্য টিকিট না পাওয়ায় প্রথমে খারাপ লেগেছিল। তবে পরে দলের সিদ্ধান্ত মন থেকে মেনে নেন। কিন্তু দলের কাজকর্ম থেকে ক্রমশ তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা চলতে থাকে। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের পর হঠাৎ করে দল যে কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা বন্ধ করে দেয়। কেন এমন হল, সেটা জানি না। তারপর থেকে আর রাজনীতি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাইনি।’ তিনি অবশ্য জানালেন, দলের শীর্ষ নেতারা খোঁজ-খবর নেন। তবে স্থানীয় নেতৃত্ব কোনও যোগাযোগই রাখেনি।
ফলে জীবনবাবু এখন বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই কাটান। দলের কাজকর্ম নিয়ে খুব একটা খোঁজখবর রাখেন না। আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘বিধায়ক থাকার সময় সারাদিনই ব্যস্ততার মধ্যে কাটত। এখন ক্ষমতা নেই। কোনও পদ নেই। তাই এখন সময়ই সময়। কেউ কেউ দরকারে বাড়িতে দেখা করতে আসেন। এর বাইরে সারাদিন বই পড়ে কাটে।’ তিনটি বই প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেগুলি নিয়েই এখন কাজ করছেন। রাস্তাঘাটে কারও সঙ্গে দেখা হলে সৌজন্য প্রকাশ করেন। ওইটুকুই। দলের স্থানীয় নেতারা এভাবে ব্রাত্য করে দেবেন তা বুঝতে পারেননি। এখনও মেনে নিতে পারেন না। তবে কেউ পরামর্শ চাইলে, ‘না করবেন না’ বলে জানিয়েছেন। সোনারপুর দক্ষিণের নেতা এবং রাজপুর টাউন তৃণমূল সভাপতি শিবু ঘোষ বলেন, ‘উনি মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। বয়স তো হয়েছে। তাই ওঁকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে চাইলে দলের অনুষ্ঠানে আসতেই পারেন। আমাদের দলের মধ্যে এ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’ নিজস্ব চিত্র