পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
উত্তর কলকাতার তৃণমূল কাউন্সিলারদের পাশাপাশি স্থানীয় নেতাকর্মীরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু তাঁরাও এবার জয়ের ব্যবধান নিয়ে কিছুটা সংশয়ে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এই আসনের অন্তর্ভুক্ত ৬০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। জোড়াসাঁকো বিধানসভার অধীনে থাকা সাতটি ওয়ার্ডেই (২২, ২৩, ২৫, ২৭, ৩৮, ৪১, ৪২) ব্যাকফুটে ছিল ঘাসফুল শিবির। তরপরই ছিল শ্যামপুকুর বিধানসভা। সেখানে পাঁচটি ওয়ার্ডে (১৮, ২০, ২১, ২৪, ২৬) পিছিয়ে ছিল মমতার দল। এছাড়া, চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্রে চারটি ওয়ার্ড (৪৫, ৪৭, ৫০, ৫১), মানিকতলায় দু’টি ওয়ার্ড (১৩ ও ৩১), এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্র ( ৫৮ নম্বর ওয়ার্ড) ও কাশীপুর-বেলগাছিয়ায় (৬ নম্বর ওয়ার্ড) একটি করে ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিল রাজ্যের শাসক দল। সূত্রের খবর, এবারও জোড়াসাঁকো আসন নিয়ে তৃণমূলের চিন্তা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ আলোচনায় তা স্বীকারও করছে দলীয় নেতৃত্ব। শ্যামপুকুর বিধানসভায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজার সৌজন্যে তৃণমূল ‘নিশ্চিন্ত’ থাকলেও সব ওয়ার্ডে এগিয়ে থাকা নিয়ে দোলাচলে রয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় ভোট-ম্যানেজাররা। গতবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের মোট ব্যবধান ছিল ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৫। এবার ওই মার্জিন ধরে রাখাটাই মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে জোড়াফুল শিবির। কাউন্সিলারদের কয়েকজনের কথায়, ‘তাপস রায় প্রতিপক্ষ না হলে লড়াই আরও সহজ হতো। কিন্তু, ঘরভেদী বিভীষণ কোথায় কী ঘুঁটি সাজাচ্ছেন, সেটাই চিন্তার।’ সেই সঙ্গে উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের এক ‘সিনিয়র’ পদাধিকারী সহ একাধিক কাউন্সিলার গা-ছাড়া মনোভাব তাদের চিন্তায় রাখছে বলে খবর।
এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডগুলিতে বাড়তি নজর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। দলের যুব সংগঠনকে প্রথম থেকেই ময়দানে নামানো হয়েছে। তৈরি হচ্ছে রঙিন ট্যাবলো। তাতে মাইকে চলবে বিদায়ী সাংসদের কণ্ঠে তাঁর করা উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ। উত্তর কলকাতার যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তিরঞ্জন কুণ্ডুর কথায়, ‘দুই বেলা প্রতিটি ওয়ার্ডে এই ট্যাবলো ঘুরবে। ছোট পথসভায় জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রার্থীকে নিয়ে যুবর তরফে কয়েকটি জনসভাও করা হবে। কিছু নেতিবাচক মনোভাব থাকতেই পারে। কিন্তু আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের মনোনীত প্রার্থী। তাই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’ কলকাতা উত্তরে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করেন তিনি।