ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
গত ১৯ নভেম্বর বেলা ১টা নাগাদ বণ্টন সংস্থার তমলুকের স্টেশন ম্যানেজার শেখ জনাবের নেতৃত্বে একটি টিম শহরের মানিকতলা কালীমন্দির লাগোয়া গণেশচন্দ্র জানার বাড়িতে হানা দেয়। ওই বাড়িতে গণেশবাবু ও তাঁর ছেলের নামে দু’টি কমার্শিয়াল সংযোগ রয়েছে। একটি ঘরে নিজেদের আইসক্রিম, চা, কফি দোকান। অভিযোগ, সেই দোকানে চুরি করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছিল। বিদ্যুৎ চুরি করেই চালানো হচ্ছিল ফ্রিজ। বাড়ির দোতলায় আর একটি পৃথক সংযোগ রয়েছে। ওই অংশটি একটি অফিসের কাজে ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে। সেখানে হুকিং করে চালানো হচ্ছে এসি।
স্টেশন ম্যানেজার এবং তাঁর টিম হুকিং করার ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। ঘটনাস্থল থেকে হুকিংয়ের তার বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপরই তমলুক থানায় গিয়ে সপুত্র ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন স্টেশন ম্যানেজার। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এভাবে হুকিংয়ের ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে। একই দিনে তমলুক থানার ধলহরা গ্রামে শেখ আসফারুদ্দিন এবং আলিনান গ্রামে হাজরা বিবি নামে আরও দু’জনের বিরুদ্ধে হুকিংয়ের অভিযোগে এফআইআর হয়েছে।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তমলুকের স্টেশন ম্যানেজার বলেন, মানিকতলায় বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে দু’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। বাবা ও ছেলের নামে দু’টি বাণিজ্যিক সংযোগ ছিল। জোড়া মিটার বক্স রয়েছে। অথচ, দু’টি আলাদা জায়গা থেকে হুকিং করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হতো। হুকিংয়ে ব্যবহৃত তার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দু’টি সংযোগের জন্য প্রায় চার লক্ষ টাকা ফাইনের নোটিস ধরানো হয়েছে। অভিযুক্ত গণেশচন্দ্র জানা বলেন, হুকিংয়ের বিষয়টি আমাদের নজরে ছিল না। ১৯ তারিখ বণ্টন সংস্থার টিম এসেছিল। তারা এফআইআর করেছে বলে শুনেছি।
হুকিং আটকে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার আর্থিক লোকসান কমানোর জন্য প্রত্যেক স্টেশন ম্যানেজারকে অভিযানে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইমতো তমলুক, পাঁশকুড়া, ময়না, এগরা নন্দীগ্রাম, কাঁথি, পটাশপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় হুকিংবিরোধী অভিযান চলছে। গত ১০দিনে ৫০টির বেশি এফআইআর দায়ের হয়েছে। এছাড়াও তমলুক এবং কাঁথির এসঅ্যান্ডএলপি(সিকিউরিটি অ্যান্ড লস প্রিভেনশন সেল) টিম বিভিন্ন এলাকায় হুকিং বিরোধী অভিযানে সক্রিয় হয়ে ওঠেছে। পুজোর মরশুম থেকে বণ্টন সংস্থার প্রতিটি সাপ্লাই এলাকাতেও হুকিং বিরোধী অভিযান করা হচ্ছে।