বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞার অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে আগাম না জানিয়ে ডিভিসি প্রচুর জল ছেড়ে দেওয়ায় বানভাসি হয়েছে বহু এলাকা। ঝাড়খণ্ডে সুর্বণরেখার গালুডি বাঁধ থেকে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। মাইথন-পাঞ্চেতের ছাড়া জল বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত করেছে। গালুডির ছাড়া জলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর। বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে কংসাবতীর বাঁধ থেকে ৪০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। তবে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি, দামোদর অববাহিকা অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার জন্যই তাঁদের এত জল ছাড়তে হয়েছে। রাজ্য সরকার আরও জানিয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান জেলাও বন্যার কবলে পড়েছে। রূপনারায়ণ, দ্বারকেশর, শিলাবতী, কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, দুর্বাচটি সহ অন্যান্য নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। যে কোনও সময় আরও বিপত্তি ঘটতে পারে।
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে মঙ্গলবার আরও দু’জন মারা গিয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। এদিন পূর্ব বর্ধমানে দেওয়াল চাপা পড়ে একজন ও হুগলিতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে একজন মারা গিয়েছেন। চলতি বন্যা পরিস্থিতিতে মোট চারজন মারা গেলেন। বীরভূমে আরও একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রচুর কৃষিজমি জলের তলায় চলে যাওয়ার পাশাপাশি বহু মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। অজস্র রাস্তা, সেতু জলমগ্ন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে জানিয়েছেন, ১০টি জেলায় বন্যা মোকাবিলার দায়িত্ব দিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সচিবকে পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। জেলাশাসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যদুর্গত এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি টিমকে বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়েছে। ১৮০টি আশ্রয় শিবিরে এখনও পর্যন্ত ৭,৯৫২ জন দুর্গত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। প্রায় দু’লক্ষ ত্রিপল সহ অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী জেলায় পাঠানো হয়েছে। নবান্নে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি প্রতি জেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে বলে জানান তিনি।