বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
দেশে গত ৩১ মে’তে মিউচুয়াল ফান্ডে নিট লগ্নির পরিমাণ ছিল ৫৮ লক্ষ ৯১ হাজার কোটি টাকা। মাসের গড় লগ্নি ছিল ৫৮ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা। অথচ একমাস আগে এপ্রিলে লগ্নির অঙ্ক ছিল ৫৭ লক্ষ ২৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ অনেকটাই বেড়েছে লগ্নি। গত মাসের মোট বিনিয়োগের মধ্যে খুচরো লগ্নির অঙ্কই ছিল প্রায় ৩৩ লক্ষ ৭৩ হাজার কোটি টাকা, দাবি করেছে অ্যামফি।
মে শেষে মিউচুয়াল ফান্ডের মোট ‘ফোলিও’ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ। এটা সর্বকালীন রেকর্ড। অর্থাৎ, লগ্নিকারীদের লগ্নির সংখ্যাও এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ, দাবি করেছে অ্যামফি।
আসা যাক এসআইপি’র কথায়। দেশে মে মাস শেষে এসআইপি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৭৬ লক্ষ। শুধুমাত্র মে’তে নতুন করে এসআইপি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৪৯ লক্ষ ৭৬ হাজার। এসআইপি’তে এখনও পর্যন্ত লগ্নি হয়ে রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। সংখ্যাটি এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। শুধুমাত্র মে মাসেই এসআইপি’তে ২০ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে দেশে। একমাসের নিরিখে এত টাকা লগ্নি আগে হয়নি, এমনটাই দাবি অ্যামফির।
অ্যামফি কর্তাদের বক্তব্য, দেশে মিউচুয়াল ফান্ডের যে বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, তার মূল চালিকাশক্তি খুচরো লগ্নিকারীরা। করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষের বিকল্প পথে সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়ছে এবং বিশ্বজোড়া আর্থ-রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা সত্ত্বেও মানুষ মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে আয়কর কাঠামো চালু করেছে, তারই সুবাদে সাধারণ মানুষ মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি বাড়াচ্ছেন। এর একটা বড় অংশ চাকরিজীবী। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফল দেবে, এই ভরসা রাখছেন সাধারণ মানুষ। সেই কারণেই আরও বেশি পরিমাণে সাফল্য ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে এসআইপি।