বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সূত্রের খবর, শুধুমাত্র রাস্তা চেয়ে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকা থেকে প্রায় ৪০ হাজার ফোন এসেছে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র হেল্পলাইনে। অনেক ক্ষেত্রে একই রাস্তার জন্য একাধিক আবেদন যেমন রয়েছে, করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আবার রাস্তা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ফোন করেছেন। যাবতীয় আবেদন ঝাড়াই- বাছাই করে প্রায় ২৫ হাজার রাস্তা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে পঞ্চায়েত দপ্তর। নির্বাচনী বিধিনিষেধ জারি থাকায় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আবেদনগুলি যাচাইয়ের কাজ করা যায়নি। এবার সেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক।
এবার গ্রামীণ রাস্তার কাজগুলি হবে পথশ্রী-৪ প্রকল্পের অধীনে। এর আগে পথশ্রী ১, পথশ্রী-রাস্তাশ্রী এবং পথশ্রী-৩ প্রকল্প রূপায়ণ করেছে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। পথশ্রী-৩ প্রকল্পের আওতায় ৩৪৭৫.৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ হাজার ৮৮৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ অনুমোদিত হয়েছে। এই কাজ অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে। তবে নির্বাচনের কারণে যেসব জায়গায় রাস্তা তৈরির কাজ শেষ করা যায়নি, সেখানে দ্রুত কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী হেল্পলাইনের মাধ্যমে নতুন করে প্রচুর আবেদন এসেছে। ফলে আগের কাজ দ্রুত শেষ করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। তাছাড়া, এবার যেহেতু প্রায় ২৫ হাজার রাস্তা তৈরির প্রয়োজন পড়ছে, তাই সম্পূর্ণ কাজটি দু’টি কিস্তিতে ভাগ করাও হতে পারে। যদিও কতগুলি কিস্তিতে এই কাজ হবে, সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা-৩ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে নতুন করে দু’ধাপে পাঁচ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। খরচ হবে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। যার ৬০ শতাংশ দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। বাকি টাকা দেবে রাজ্য। তবে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও এই খাতে এখনও কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ রাজ্যের খরচে পথশ্রী-৪ চালু করার দিকে এগচ্ছে রাজ্য সরকার। এই লোকসভার মতো ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই কাজের ‘সুফল’ রাজ্যের শাসক দল পাবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।