প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দীর্ঘ ১২ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খোয়ানো নিয়ে রোহিতের মন্তব্য, ‘ভারতে আমরা কত ম্যাচ জিতেছি, সেটাও একবার দেখুন। এক যুগ ধরে আমরা দাপট দেখিয়েছি দেশের মাটিতে। কঠিন পিচে ব্যাটাররা রান করেছে, ম্যাচ জিতিয়েছে। এই প্রথমবার আমরা ঘূর্ণি পিচে ব্যাট হাতে প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ হয়েছি। ১২ বছরে একবার তো এমন হতেই পারে। আসলে আমরা এতটাই ধারাবাহিক থেকেছি যে, জয়টাই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তার থেকে সমর্থকদের মনে বিশ্বাস জন্মেছে, দেশে আমরা কোনও ভুল করতে পারি না। কিন্তু বিপক্ষও তো প্রস্তুতি নিয়ে ভারতে আসছে।’
টম লাথামদের কাছে লজ্জার এই হারের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে চান রোহিত। তবে শিবিরে এমন পরিবেশ তৈরি করাও তাঁর লক্ষ্য নয়, যাতে ক্রিকেটাররা নিজেদের দক্ষতা নিয়েই সংশয়ে পড়ে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘কেউ অহেতুক চাপে পড়ুক, চাই না। এই সমষ্টিগত ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা খুঁজে বের করতে হবে। আরও তাগিদ দেখানো দরকার। ব্যাটারদের যাথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে ক্রিজে পৌঁছতে হবে। ওয়াংখেড়েতে জেতার জন্য ঝাঁপাব। আপাতত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার অঙ্ক মাথায় রাখছি না। এই সিরিজের হারে আমরা রক্তাক্ত। তার থেকে মুক্তি পেতে ভুল শুধরে জয়ের রাস্তায় ফিরতে চাইছি জলদি।’
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা, ক্রিকেটপ্রেমীদের তোপের মুখে দুই স্পিনার। রোহিত অবশ্য পাশে দাঁড়িয়েছেন দু’জনের। তাঁর কথায়, ‘ক্রিকেট দলগত খেলা। জিততে গেলে সবাইকে অবদান রাখতে হয়। ওরা দু’জন অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে পারফরম্যান্স করে আসছে। সেজন্যই ওদের কাছে প্রত্যাশা বেশি। কিন্তু প্রতিবারই অশ্বিন-জাদেজা বিপক্ষকে নাকানি-চোবানি খাওয়াবে ভাবাটা অনুচিত। একটা-দুটো ম্যাচ খারাপ যেতেই পারে। বাকিদের তখন দায়িত্ব নিতে হয়।’