বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
৪-৩-৩ ফর্মেশনে এদিন দল সাজিয়েছিলেন মহমেডান স্পোর্টিং কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ। প্রথমার্ধে নর্থইস্টের চোখে চোখ রেখেই লড়াই করে সাদা-কালো ব্রিগেড। এই পর্বে মাঝমাঠে অমরজিত্, কাসিমভদের দাপটে ডুরান্ড জেতা নর্থইস্ট তেমন গোলের সুযোগ তৈরিই করতে পারল না। পাশাপাশি উইং দিয়ে জিতিন, পার্থিবদের আক্রমণও বারবার খেই হারিয়ে ফেলে। বোঝাই যাচ্ছিল, ডুরান্ড চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে যথেষ্ট হোম ওয়ার্ক করেছেন মহমেডানের রুশ কোচ। বরং অচেনা প্রতিপক্ষ সিংহভাগ সময় ধাঁধা হয়েই থাকল নর্থইস্ট কোচ পেড্রোর কাছে।
মহমেডানের এই দলে নর্থইস্টে খেলা একাধিক ফুটবলার রয়েছে। তাই প্রতিপক্ষের আটঘাঁট জেনেই পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন চেরনিশভ। পাশাপাশি গত বছরের কোর টিম ধরে রেখেছে রেড রোডের পাশের ক্লাব। তাই মাঝমাঠে কাসিমভ-অ্যালেক্সিসদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব ছিল না। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্ল্যান বি’র পথে হাঁটেন নর্থইস্ট কোচ। নেস্টরকে তুলে মরক্কোর আলেইদিন আজারেইকে মাঠে নামান বেনালি। আর সেটাই তাঁর মাস্টার স্ট্রোক। সংযোজিত সময়ে বক্সের বাঁ দিকে থই সিংয়ের সাজিয়ে দেওয়া বলে জাল কাঁপিয়ে দলকে মূল্যবান তিন পয়েন্ট এনে দিলেন আলেইদিন (১-০)। তবে এই হার দিয়ে মহমেডানের খেলাকে বিশ্লেষণ করলে ভুল হবে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে পুরো ৯০ মিনিট বেগ দিয়েছে চেরনিশভ-ব্রিগেড। ৮২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অ্যালেক্সিসের শট লক্ষ্যে রাখতে পারলে ফল ভিন্ন হতেই পারত।
মহমেডান: পদম, জুডিকা, গৌরভ, আদজে, অ্যাডিঙ্গা, কাসিমভ, অমরজিত্ (ইরশাদ), অ্যালেক্সিস (আঙ্গুসানা), মাকন (বিকাশ), রেমসাঙ্গা ও মানজোকি।
মহমেডান স্পোর্টিং-০ : নর্থইস্ট-১
(আলেইদিন)