বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছিল। তা অবশ্য সুখকর হয়নি। দু’টি ম্যাচেই ইনিংসে হেরেছিল টাইগার বাহিনী। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই আলাদা। পাকিস্তানে গিয়ে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়িয়েছে। ভারতীয় শিবিরের কাছ থেকে যথেষ্ট সমীহও পাচ্ছেন সাকিবরা। আসলে এই সিরিজ বাংলাদেশের থেকে রোহিত শর্মাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণটা অবশ্যই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার তাগিদ। বাংলাদেশ ছাড়াও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট রয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। তার মধ্যে পাঁচটি জিততে পারলেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলা কার্যত পাকা হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে মোটেও হাল্কাভাবে নিচ্ছেন না বিরাট কোহলিরা। আত্মবিশ্বাসে ফুটছে বাংলাদেশও। হেভিওয়েট প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চালালেন ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় দল খেলবে ঘরের মাঠে। আমরা জানি, লড়াই কতটা কঠিন। তবে আমাদের মনোবলও তুঙ্গে। পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে ধবল-ধোলাইয়ের পর দেশবাসীর মুখে চওড়া হাসি দেখেছি। উৎসবে মেতেছিলেন সকলে। সাফল্য বজায় রাখাই লক্ষ্য। আমরা ভারতের বিরুদ্ধে দুটো টেস্টেই জেতার জন্য ঝাঁপাব। সেজন্য অবশ্যই সুদৃঢ় পরিকল্পনা প্রয়োজন। আর সেই প্রস্তুতি সেরেই আমরা এখানে এসেছি। পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারলে আশানুরূপ ফল হবেই।’
ভারত-বাংলাদেশ দু’টি ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে স্পিনারদের উপর। কারণ, চেন্নাইয়ের পর দ্বিতীয় টেস্ট হবে কানপুরে। সাধারণত এই দু’টি ভেন্যুতে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পান। তবে চিপকের পিচে বাউন্সও থাকবে। সেই সুযোগ যারা কাজে লাগাতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে। সব দিক থেকেই অবশ্য পাল্লা ভারি ভারতের। প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও রোহিতদের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী। এই ব্যাপারগুলিকে অবশ্য পাত্তা দিতে নারাজ বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল। তাঁর যুক্তি, ‘র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে ভারত এগিয়ে ঠিকই, তবে আসল লড়াই হবে মাঠে। আমরা যেভাবে পারফর্ম করছি, তাতে ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে ম্যাচটা পঞ্চম দিন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। সেক্ষেত্রে যে কোনও দলের জেতার সম্ভাবনা থাকবে।’