নিউ ইয়র্ক: আমেরিকা ও ভারতের কাছে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে অস্তিত্বের সঙ্কটে ছিল পাকিস্তান। রোহিত শর্মার দলের বিরুদ্ধে রবিবারের পরাজয়ের পর বাবর আজমদের উদ্দেশে ধেয়ে এসেছিল সমালোচনার ঝড়। তবে মঙ্গলবার গ্রুপ এ’র ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইটে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। ১৫ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল সবুজ জার্সিধারীরা (১০৭-৩)। রান তাড়ায় দলকে ভরসা দিলেন মহম্মদ রিজওয়ান (অপরাজিত ৫৩)। ৫৩ বলের ইনিংসে তিনি মারলেন দু’টি চার ও একটি ছয়। অধিনায়ক বাবর এদিন ওপেন করেননি। ব্যাটিং অর্ডারে পিছিয়ে গিয়ে সাইম আয়ুবকে ওপেন করতে পাঠান তিনি। তবে আয়ুব (৬) ব্যর্থ। তিনে নেমে বাবর করেন ৩৩। দ্বিতীয় উইকেটে রিজওয়ানের সঙ্গে বাবর যোগ করেন ৬৩। ফখর জামান (৪) যখন ফেরেন তখন অবশ্য পাকিস্তান জয়ের দোরগোড়ায়। শেষ পর্যন্ত উসমান খানকে (অপরাজিত ২) সঙ্গে নিয়ে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান।
পাকিস্তানের জয়ে বড় ভূমিকা থাকল বোলারদের। টস হেরে ব্যাট করতে নামা কানাডাকে সাত উইকেটে ১০৬ রানে আটকে রাখলেন পেসাররা। মহম্মদ আমির চার ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে নিলেন দুই উইকেট। হ্যারিস রউফের সংগ্রহও দুই উইকেট। শাহিন শাহ আফ্রিদি (১-২১) ও নাসিম শাহ (১-২৪) বাকি দুই উইকেট ভাগ করে নিলেন। তবে ইমাদ ওয়াসিম কোনও উইকেট পাননি।
অবশ্য প্রশংসা করতে হবে অ্যারন জনসনের। এদিন কানাডার হয়ে ব্যাট হাতে একা লড়লেন তিনি। ডানহাতি ওপেনার ৪৪ বলে করলেন ৫২। তাঁর ইনিংসে থাকল চারটি চার ও চারটি ছক্কা। জনসন ছাড়া কানাডার মাত্র দু’জন ব্যাটার দুই অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন। তাঁরা হলেন কালিম সানা (অপরাজিত ১৩) ও অধিনায়ক সাদ বিন জাফর (১০)। ভারতের বিরুদ্ধে বল হাতে নজর কেড়েছিলেন মহম্মদ আমির। এদিনও তিনি চার ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৩ রান খরচ করে নিলেন দু’উইকেট। সেই সুবাদে ম্যাচে সেরাও নির্বাচিত হন এই পাস পেসার।