প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মূল গেটের পাশেই দ্বিতল ভবনটি আদতে রোগীর আত্মীয়দের জন্য প্রতীক্ষালয়। যার পোশাকি নাম, ‘আশ্রয়’। বছর দশেক আগে তৎকালীন ডোমকলের বিধায়ক আনিসুর রহমানের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের টাকায় সেটি তৈরি করা হয়েছিল। অভিযোগ, প্রথমের দিকে ঠিকঠাক চললেও বছর পাঁচেকেরও বেশি সময় ধরে প্রতীক্ষালয়টি বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেটি বর্তমানে কিছুটা বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডোমকল শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। প্রাথমিক ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলি ছাড়াও প্রতিদিন আশেপাশের শয়ে শয়ে রোগী ভিড় জমান হাসপাতালে। শুধু ডোমকল নয়, নদীয়ার একাংশের রোগীও এই হাসপাতালে ভিড় করেন। এত বড় হাসপাতালে এত মানুষের আনাগোনা হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে ওই প্রতীক্ষালয়টি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। আর রোগীর আত্মীয়দের নির্ঘুম রাত কাটছে হাসপাতাল চত্বরের খোলা আকাশের নীচে।
গাজলুর শেখ নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, স্ত্রী সদ্য প্রসব করেছেন। ও এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে। জরুরি অবস্থায় ওষুধপত্রের প্রয়োজন পড়লে এনে দিতে হবে ভেবে বাড়ি যাইনি। হাসপাতাল চত্বরে থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। মশার কামড় খেয়ে সারা রাত জাগতে হয়েছে। হাসপাতালের প্রতীক্ষালয় আবার চালু করা হোক। তাহলে আমাদের এত দূর্ভোগ পোহাতে হবে না।
ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সৌরভ শীল বলেন, ওই প্রতীক্ষালয়টি চালু করার জন্য এলাকার বিধায়ক ও পুরসভাকে জানানো হয়েছে। ডোমকলের বিধায়ক তথা ডোমকল পুরসভার প্রশাসক জাফিকুল ইসলাম বলেন , ওই রাত্রিনিবাসটা হাসপাতালের মূল বিল্ডিং থেকে কিছুটা দূরে। তাই আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাসপাতালের মূল বিল্ডিংয়ের পাশেই একটি ফাঁকা জায়গায় রোগীর আত্মীয়দের জন্য রাত্রিনিবাস গড়া হবে। ওই প্রজেক্টের সবকিছুই মোটামুটি ঠিক হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুতই কাজ শুরু হবে।