প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার খড়গ্রাম থানার তেলসুন্দি গ্রামে কালীপুজোর টুনি বাল্ব জ্বালাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ বছরের নাবালকের। মৃতের নাম অনিকেত কোনাই। অনিকেত স্থানীয় জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল অনিকেত। বাবা বাসুদেব কর্মসূত্রে সৌদিতে থাকেন।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানান হয়েছিল, ওইদিন সকালে মৃতের দাদু মাঠে গিয়েছিলেন। সেইসময় ওই বালক তাঁর মায়ের কাছে কালীপুজোর টুনি বাল্ব কেনার বায়না ধরে। মা তাতে প্রথমে রাজি না হলেও ছেলের দীর্ঘক্ষনের বায়নার কাছে হার মানেন। টুনি বাল্ব কেনার জন্য ছেলের হাতে ১০০ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা পেয়েই ছেলে আত্মহারা হয়ে গ্রামের একটি দোকান থেকে মুহুর্তেই বাল্ব নিয়ে চলে আসে। এরপর মায়ের অলক্ষ্যে সেটি জ্বালানোর চেষ্টা করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। এই ঘটনার পর বড়ঞা থানার হলদি গ্রামেও কার্যত একই ঘটনা ঘটল। মৃতের পরিবারের দাবি, পেশায় চাষি ছিলেন মৃত বৃদ্ধ। এদিন গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা বাড়ির সামনে টুনি বাল্ব জ্বালিয়ে আলোকসজ্জা করছিলেন। তাই রঞ্জিতবাবুও সেটা করতে চেয়েছিলেন। বাড়িতেই ছিল গত বছরের টুনি বাল্ব। সেই টুনি বাল্ব এনে বিদ্যুৎ বোর্ডে তার লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কান্দি মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।মৃতের ভাই নিতাই চন্দ্র ঘোষ বলেন, গ্রামের সবাই বাড়ির সামনে টুনি বাল্ব লাগাচ্ছিলেন। দাদা সেগুলি দেখতে পেয়ে নিজের বাড়িতে টুনি লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। সেটা করতে গিয়েই দাদা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।