প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বেলদায় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম বড় বাজির বাজার ছিল। বেলদা বাজার থেকে কলেজ যাওয়ার রাস্তার মাঝে সাত-আটটি বাজির দোকান ছিল। এছাড়া, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বাজি বিক্রি হতো। খড়্গপুর, মেদিনীপুর, এগরা সহ নানা এলাকা থেকে মানুষ এখানে বাজি কিনতে আসতেন। কিন্তু গত বছর থেকেই তা বন্ধ। হাইকোর্টের নির্দেশের পর থেকে প্রশাসনিক কড়াকড়িতে প্রকাশ্যে বাজি বিক্রি একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেলদা থানার গুড়দলা সহ একাধিক জায়গায় বাজি তৈরি হতো। কিন্তু এখন বারবার প্রশাসনিক অভিযানে তা প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে। বাজির বদলে এখন নানাধরনের চাইনিজ আলোকমালার দোকান বসছে। মোমবাতি, মাটির প্রদীপের বিক্রি বেড়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকার যেভাবে কড়াকড়ি করেছে, তাতে বাজারের ভিতরে বাজির ব্যবসা করা যাবে না। যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, এবার বেলদা থানা এলাকায় বেশকিছু ব্যবসায়ীকে গ্রিন বাজি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া যারা বাজির ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বাজি বিক্রি নিয়ে কড়াকড়ি থাকলেও বেলদা সহ আশপাশের বেশকিছু জায়গায় চোরাগোপ্তা শব্দবাজি বিক্রি হয়েছে। বুধবার রাতে দেউলী এলাকায় বেআইনিভাবে বাজি বিক্রির অভিযোগে পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দাঁতন থানার বেশকিছু জায়গায় বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি ও অন্য নিষিদ্ধ আতশবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ঘটনায় একজন আটক হয়েছে।